খেলাধুলা

নিজেকে ফিট মনে হচ্ছে, এশিয়া কাপে খেলতে পারবো: ইয়াসির

বেশ কদিন ধরে অনুশীলন শুরু করেছেন ইয়াসির আলী রাব্বি। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের শুরুতেই পিঠের ইনজুরিতে ছিটকে গিয়েছিলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে শুরু করেন ব্যাটিং-রানিং। সামনে ঝুঁকে কোনো শট খেলতে গেলেই ব্যথা অনুভব করছিলেন প্রথম দিকে। ধীরে ধীরে সেটিও কেটে যায়। এখন ব্যথাহীন অনুশীলন করছেন পুরোদমে।

সামনেই আরব আমিরাতে আছে এশিয়া কাপ। উপমহাদেশের সবচেয়ে বড় এই টুর্নামেন্টকে পাখির চোখ করেছেন ইয়াসির। অর্থ্যাৎ মরুর বুকে ২২ গজে ফিরতে মরিয়া তিনি। রাইজিংবিডির সঙ্গে সোমবার (১ আগস্ট) বিকেলে মুঠোফোনে ইয়াসির জানিয়েছেন নিজের বর্তামন নিয়ে আর সামনের দিনের পরিকল্পনার কথা।

এশিয়া কাপের আগে খেলার জন্য ফিট হতে পারবেন? এমন প্রশ্নে ইয়াসির বলেন, ‘এশিয়া কাপে আল্লাহর রহমতে ফিট হয়ে খেলতে পারবো। এখনো হাতে সময় আছে। এ কয়দিন ভালোভাবে কাজ করলে আরও বুঝতে পারবো। আশা করছি এশিয়া কাপ দিয়ে ফিরতে পারবো মাঠে। যদিও আমি দলে থাকবো কি থাকবো না এটা নিয়ে কারও সঙ্গে কথা হয়নি। আমি নিজের প্রস্তুতি নিয়ে রাখছি। নিজেকে প্রস্তুত রাখব।’

উইন্ডিজ সফরের আগেই মুশফিকুর রহিম ছুটিতে চলে যান। ইয়াসিরের দায়িত্ব আরও বাড়ে। তাকে খেলতে হবে মিস্টার ডিপেন্ডেবলের জায়গায়, যিনি শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সবশেষ দুই টেস্টেই সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। দীর্ঘদিন ধরে জাতীয় দলে সার্ভিস দিয়ে আসা মুশফিকের জায়গায় নিজেকে দেখা চাট্টিখানি কথা নয়। ইয়াসিরও মানসিকভাবে সেই প্রস্তুতিই নিচ্ছিলেন। কিন্তু ইয়াসিরের কপালে এই সিরিজ লেখা ছিল না। পিঠের ইনজুরিতে প্রথমে টেস্ট সিরিজ শেষ হয়ে যায়।

উইন্ডিজে প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিন ব্যাটিংয়ের সময় পিঠের ইনজুরিতে পড়েন তিনি। রিটায়ার্ড হার্ট হয়ে মাঠ থেকে উঠে যান। পরবর্তীতে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রাখা হয় এবং এমআরআই করানো হয়। স্ক্যানে তার লাম্বার মেরুদণ্ডে ডিসকোজেনিক ব্যাক পেইন ধরা পড়েছে। এরপর দেশে ফিরে বিসিবির মেডিকেল টিমের অধীনে পুনর্বাসন প্রক্রিয়ার মধ্যে থাকেন। চলমান জিম্বাবুয়ে সিরিজের আগে ফিট না হওয়াতে এখানেও ছিলেন না ইয়াসির।

এখন কি অবস্থা ফিটনেসের? মুঠোফনে ইয়াসির যেটা শোনালেন সেটা অবশ্যই স্বস্তির, ‘ফিটনেসের অবস্থা আলহামদুলিল্লাহ। আগের চেয়ে অনেক ভালো। নিজেকে ফিট মনে হচ্ছে। ভালো বিষয় হলো আগে যেমন ব্যথা ছিলে এখন কোনো ব্যথা অনুভব করি না। মেডিক্যাল টিম থেকে পর্যবেক্ষণ হলে ম্যাচ ফিট কি না বুঝতে পারবো। এমনিতে আমার কোনো সমস্যা হচ্ছে না।’

ধীরে ধীরে অনুশীলন শুরু করেছেন ইয়াসির। পর্যায়ক্রমে বাড়িয়েছেন অনুশীলনের গতি। এখন করছেন পুরোদমেই। ব্যাটিং-রানিং কোনো কিছুতেই হচ্ছে না সমস্যা। ইয়াসিরের ভাষ্য, ‘অনুশীলন শুরু করেছি বেশ কয়েকদিন হলো। শুরুটা করেছি আস্তে আস্তে। কাজের ভলিউম কম ছিল। এখন ডে বাই ডে কাজের ভলিউম বাড়াচ্ছি। স্বস্তির বিষয় হলো— কোনো সমস্যা মনে হচ্ছে না। ব্যাটিং-রানিং করতে পারছি আগের মতোই।’

শুধু ইয়াসির নয়, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) চিকিৎসক মনজুর হোসেনও শুনিয়েছেন স্বস্তির কথা। রাইজিংবিডিকে মনজুর বলেন, ‘উনার এখন কোনো সমস্যা নেই। ব্যাটিং-রানিং-স্কিল ট্রেনিং সব করতে পারছেন সুস্থভাবে। কোনো ব্যথা নেই। নতুন কোনো ইনজুরি না বাঁধলে সামনে খেলতে কোনো সমস্যা নেই।’