খেলাধুলা

বাংলাদেশকে উড়িয়ে ৯ বছর পর জিম্বাবুয়ের সিরিজ জয়

বাংলাদেশের দেওয়া ২৯০ রান তাড়া করে ৫ উইকেটে জিতলো জিম্বাবুয়ে। এতে ১ ম্যাচ হাতে রেখেই নিশ্চিত হলো সিরিজ। এর আগে সবশেষ ২০১৩ সালে বাংলাদেশকে সিরিজ হারিয়েছিলে জিম্বাবুয়ে। প্রথম ম্যাচে কাইয়া-রাজা এবার রাজা-চাকাভার মহাকাব্যিক ইনিংসে জিতলো জিম্বাবুয়ে। ৪৯ রানে চার উইকেট পতনের পর শুরু হয় রাজা-চাকাভার গল্প। থামেন ২০১ রান করে। জিম্বাবুয়ের ইতিহাসে পঞ্চম উইকেটে সর্বোচ্চ জুটি। চাকাভা ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি (১০২) করে ফিরলেও রাজা ১১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন। আগের ম্যাচে রাজা অপরাজিত ছিলেন ১৩৫ রানে। শেষে অভিষিক্ত টনি খেলেন মারকুটে ইনিংস। তিনি ১৬ বলে ৩০ রান যোগ করেন। তাতে ১৫ বল হাতে রেখেই ম্যাচ জিতে যায় জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশের বোলিং-ফিল্ডিং শুরুতে আঁটসাঁট হলেও সময় বাড়ার সঙ্গে খেই হারিয়ে ফেলে। শরিফুল ছিলেন এলোমেলো, ৯ ওভারে ৭৭ রান দেন। আর তাসকিন সমান ওভারে দেন ৬২। ২টি করে উইকেট নেন হাসান-মিরাজ। 

বাংলাদেশ: ২৯০/৯ (৫০ ওভার)

জিম্বাবুয়ে: ২৯১/৫ (৪৭.৩ ওভার) 

চাকাভা ফিরলেও রাজার ব্যাটে জয়ের পথে জিম্বাবুয়ে

চাকাভা ফিরলেও রাজার ব্যাটে জয়ের পথে জিম্বাবুয়ে। তার সঙ্গী টনি। রাজা ১১৬ ও টনি ৬ রানে ব্যাটিং করছেন। ২৪ বলে তাদের প্রয়োজন ২৫ রান। আজ জিতলেই সিরিজ নিশ্চিত হবে জিম্বাবুয়ের।

রাজার পর ছক্কা মেরে ৭৩ বলে চাকাভার প্রথম সেঞ্চুরি

তার পরেই ছক্কা মেরে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পেলেন চাকাভা। শরিফুলকে মিডউইকেটে দারুণ ছক্কায় ক্যারিয়ারের প্রথম শতকের দেখা পান জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক। এর আগে তার সর্বোচ্চ ছিল ৮৪ রান। এবার ছাড়িয়ে গেলেন নিজেকে। ইনিংসটি সাজানো ছিল ১০ চার ও ২ ছক্কায়। এর আগে তাসকিনকে টানা তিন চারে মাত্র ৩৬ বলে ফিফটি করেন চাকাভা। সেঞ্চুরির পর অবশ্য বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি। মাত্র ১ রান যোগ করেই মিরাজের বলে তামিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ৭৫ বলে ১০২ রান করেন তিনি। ক্রিজে রাজার সঙ্গী টনি। তার আউটে ভেঙে যায় ২০০ রানের জুটি। যে কোনো দেশের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে এটি জিম্বাবুয়ের সর্বোচ্চ রান। 

রাজার জোড়া সেঞ্চুরি 

টানা দ্বিতীয় ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকালেন রাজা। ১১৫ বলে ৭ চার ও ৪ ছয়ে তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করেন রাজা। এর আগের ম্যাচে ১৩৫ রানে অপরাজিত ছিলেন। তার আগে জিম্বাবুয়ের হয়ে ব্যাক টু ব্যাক সেঞ্চুরি করেছেন দুজন। তারা হলে এলটন চিগম্বুরা ও ব্রেন্ডন টেলর। এটি রাজার ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি। ৪২ রানে রাজাকে নিশ্চিত রানআউট করতে পারেননি মিরাজ। তারই খেসারত দিতে হচ্ছে সেঞ্চুরি হজম করে। 

রাজা-চাকাভার ব্যাটে চড়ে জিম্বাবুয়ের ২০০ পার

১৩৩ বলে রাজা-চাকাভার জুটি দেড়শ পেরিয়ে যায়। এটি পঞ্চম উইকেটে বাংলাদেশের বিপক্ষে সর্বোচ্চ। দুজনের জুটিতে ২২৩ বলে জিম্বাবুয়ে ২০০ পূর্ণ করে। দুজনে আশির ঘর পার করে সেঞ্চুরির দিকে। এর আগের ম্যাচে কাইয়া-রাজা জুটি গড়ে জোড়া সেঞ্চুরি করেছেন এবার রাজা-চাকাভা জুটি গড়ে শতকের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। আর জিম্বাবুয়ে যাচ্ছে জয়ের দিকে। শরিফুল কিংবা তাসকিন; কোনো বোলারকেই পাত্তা দিচ্ছেন তারা। 

জুটি গড়ে বাংলাদেশের বিপক্ষে রাজা-চাকাভার রেকর্ড

তাইজুলকে থার্ডম্যান অঞ্চলে বাউন্ডারি হাঁকান চাকাভা। তাতে রাজার সঙ্গে পঞ্চম উইকেটের জুটির ১২৫ রান পূর্ণ হয়। যা বাংলাদেশের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে সর্বোচ্চ। ৪৯ রানে ৪ উইকেট পড়ে গেলে দুজনে জুটি গড়েন। দলকে বিপর্যয় থেকে তুলে এখন ধীরে ধীরে বসছেন চালকের আসনে।

তাসকিনকে টানা চার চারে চাকাভার ফিফটি পার

তাসকিনের প্রথম বলে মিডউইকেট দিয়ে দারুণ চার। এরপর আরও টানা তিন চার হাঁকান চাকাভা। তিন চারের পরেই দেখা পান ক্যারিয়ারের পঞ্চম ফিফটি। মাত্র ৩৬ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ছয় চার ও এক চারে এই ফিফটি করেন চাকাভা। রাজার সঙ্গে জুটির শতরান পূর্ণ হয় ৮৭ বলে। তাসকিন এই ওভারে ১৮ রান দেন।

জীবন দেওয়া মিরাজকেই ছক্কা মেরে রাজার ফিফটি

জীবন দেওয়া মিরাজকেই ছক্কা মেরে রাজার ফিফটি। এক্সট্রা কাভারে উড়িয়ে মেরে বাউন্ডারি পার করেন রাজা। মিরাজকে মারা এই ছয়ে ৬৭ বলে ২১তম ফিফটির দেখা পান রাজা। এর আগের ম্যাচে ১৩৫ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। 

মিরাজের ভুলে নিশ্চিত রানআউট থেকে বাঁচলেন রাজা

বিহাইন্ড দ্য উইকেটে অনসাইডে খেলেন রাজা। ননস্ট্রাইক প্রান্তে থাকা চাকাভা রান নিতে দেন ভোঁ দৌড়। রাজা ততক্ষণে দেরি করে ফেলেন। ফিল্ডার দ্রুত নন-স্ট্রাইক প্রান্তে থাকা বোলার মিরাজকে দিলেও ভুল করে বসেন। রাজা পৌঁছার আগেই বল দিয়ে উইকেট ভাঙেন ঠিকই কিন্তু আরেক হাত আগেই স্ট্যাম্পে লাগিয়ে ফেলেন। বেশ কিছুক্ষণ রিপ্লে দেখার পর আম্পায়ার নট আউট দেন। নিশ্চিত রানআউট থেকে বেঁচে যান রাজা। ৪২ রানে পেলেন জীবন। 

রাজা-চাকাভার ফিফটির জুটি দিচ্ছে চোখ রাঙানি  

আগের ম্যাচে কাইয়া-রাজা ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিলেন। এবার পঞ্চম উইকেটে ফিফটির জুটি গড়ে চোখ রাঙানি দিচ্ছেন রাজা-চাকাভা। ৫৫ বলে তারা ফিফটির জুটি পূর্ণ করেন। সুযোগ পেলেই দুজনে মারছেন চার-ছয়। ওভার প্রতি তুলছেন ৪.৩৬ রান করে। শরিফুলের করা ২৫তম ওভারে তিন চারে দুজনে নিয়েছেন ১৪ রান।

হাসানের পর মিরাজের আক্রমণে ফিল্ডিংয়ে দারুণ শুরু

পরপর ২ ওভারে হাসান মাহমুদের ২ উইকেটের পর এবার অষ্টম ওভারে মিরাজের আক্রমণ। তিনি ফেরান মাধেভেরেকে। ১৬ বলে ২ রান করা মাধেভেরে সুইপ করতে গিয়ে এলবিডব্লিউ হন। ২৭ রানে জিম্বাবুয়ের তিন উইকেট নিলো বাংলাদেশ। ক্রিজে আছেন রাজা-মারুমানি। পাওয়ার প্লেতে জিম্বাবুয়ে ৩ উইকেটে ৩০ রান করে।

এবার প্রথম ম্যাচের সেঞ্চুরিয়ান কাইয়াকে ফেরালেন হাসান 

ইনিংসের তৃতীয় বলেই উইকেট নিলেন হাসান মাহমুদ। কাইটানোকে ফেরান শূন্য রানে। প্রথম ওভারের তৃতীয় বল। আউটসাইড অফে পিচ করা বল খোঁচা দেন কাইটানো। বল যায় উইকেটরক্ষক মুশফিকের গ্লাভসে। উল্লাসে ভাসে বাংলাদেশ। তৃতীয় ওভারে এসেই এবার ফেরান আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি করা কাইয়াকে। এবারও আউটসাইড অফে পিচ করা বলে পরাস্ত কাইয়া। ব্যাটের কানায় লেগে বল যায় মুশফিকের হাতে। আগের ম্যাচে শতক হাঁকিয়ে জিম্বাবুয়েকে জিতিয়েছিলেন কাইয়া, এবার আর পারলেন না। হাসানের তোপে ফিরতে হলো দুই অঙ্কের ঘর ছোঁয়ার আগেই (৭)। ২ ওভারে ৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন এই ডানহাতি পেসার। 

সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে ২৯১ রানের লক্ষ্য দিলো বাংলাদেশ

টস হেরে আগে ব্যাটিং করে ৯ উইকেটে ২৯০ রান করে বাংলাদেশ। তামিমের ব্যাটে শুরুটা হয় দারুণ। ৫০ রান করে ফেরেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। শুরুতে রানরেট ছয়ের উপর থাকলেও মাঝে নেমে আসে পাঁচের নিচে। মুশফিক-শান্তর ৫০ রানের জুটি গড়ে এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। মুশফিক ২৫ ও শান্ত ৩৮ রান করেন। এরপর খেলার হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ-আফিফ। দুজনে ৮১ রানের জুটি গড়েন। আফিফ ৪১ রানে আউট হলেও মাহমুদউল্লাহ ৮০ রানে অপরাজিত। ৮৪ বলে ৩টি করে চার-ছয়ে এ রান করেন মাহমুদউল্লাহ। শেষ বলে রানআউট হন শরিফুল। জিম্বাবুয়ের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন রাজা। 

রাজার শিকার এবার তাসকিন, লড়ছেন মাহমুদউল্লাহ

মিরাজকে সাজঘরে পাঠানোর পর তাসকিন এলবিডব্লিউ করে আউট করেন রাজা। ২ বলে ১ রান করেন তসকিন। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী তাইজুল। ৭৬ বলে ৬৫ রানে ক্রিজে আছেন। 

মিরাজের আউটের পর মাহমুদউল্লাহর ফিফটি 

বিমার ছুঁড়েছিলেন চিভাঙ্গা। উড়িয়ে মেরেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। মিডউইকেটে ধরাও পড়েন। কিন্তু নো বলে বেঁচে যান। ২ রান নিলে ফিফটি হয় মাহমুদউল্লাহ। ক্যারিয়ারের ২৬তম ফিফটি করেন ৬৯ বলে। পরের বল ফ্রি হিট হলেও নেন মাত্র ২ রান। এর পরের বলে ৬ হাঁকান অবশ্য। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী তাসকিন। আর বাকি মাত্র ৩ ওভার। 

সুইপ করতে গিয়ে মিরাজের বিদায় 

একটু আগেই আফিফ আউট হয়েছেন রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে। মিরাজ শিক্ষা নেননি। রাজাকে রিভার্সসুইপ করতে গিয়ে বিদায় নেন মিরাজ। ২ চারে ১২ বলে ১৫ রান করেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। 

রিভার্সসুইপ খেলতে গিয়ে ৪১ রানে আউট আফিফ

দারুণ খেলতে থাকা আফিফ বিদায় নিলেন রিভার্সসুইপ খেলতে গিয়ে। চিভাঙ্গাকে রিভার্স সুইপ করতে গিয়ে ধরা পড়েন রাজার হাতে। ৪ চারে ৪১ বলে ৪১ রান করেন এই বাঁহাতি। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী মিরাজ। তার আউটে ভেঙে যায় ৮২ বলে ৮১ রানের জুটি। 

২৩৬ বলে বাংলাদেশের ২০০  

দারুণ শুরুর পরও মাঝে রানের চাকা নেমে আসে পাঁচের নিচে। এখন ক্রিজে আছেন মাহমুদউল্লাহ-আফিফ। আফিফ কিছুটা আগ্রাসী খেললেও মাহমুদউল্লাহ খেলছেন ধীরগতিতে। বাংলাদেশ ২০০ রান করে ২৩৬ বলে (৩৯.২ ওভার)।

হঠাৎ চাপে বাংলাদেশ 

তামিম-এনামুলে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। পাওয়ার প্লেতে রান এসেছে ওভার প্রতি ছয়ের ওপরে। তামিম যখন আউট হন তখন রানরেট সাতের কাছাকাছি ছিল। ফিফটির পরেই ফেরেন তামিম। এনামুলও বেশিদূর এগোতে পারেননি। অসাবধানতায় রানআউট হয়ে বিদায় নেন। এ দুজনের বিদায়ের পর রানরেটের গতি কিছুটা কমতে থাকে। তবুও সামলে নিয়েছিলেন শান্ত-মুশফিক। দুজনে ফিফটির জুটি গড়েন ৬৪ বলে। মুশফিকের বিদায়ের পর রানের চাকা আরও থেমে যায়। মাহমুদউল্লাহ-শান্ত ৩৮ বলে যোগ করেন ২১ রান। এখন ক্রিজে মাহমুদউল্লাহ-আফিফ। দুজনে খেলছেন ধীরগতিতে। ৪০ বলে ২৫ রানের জুটি গড়ে ক্রিজে আছেন দুজনে। ওভারপ্রতি রান এখন পাঁচেরও নিচে।

৫৫ বলে ৩৮ রানে আউট শান্ত

মাধেভেরের আউটসাইড অফের বল খেলতে দেরি করে ফেলেন শান্ত। তাতেই কাটা পড়েন। বল ব্যাটের কানায় লেগে যায় উইকেটের পেছনে। ৫ চারে ৫৫ বলে ৩৮ রান করেন এই বাঁহাতি। ক্রিজে মাহমুদউল্লাহর সঙ্গী আফিফ।

ফিরলেন মুশফিক 

নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে তৃতীয় উইকেটে ৫০ রান তুলে আউট হন মুশফিকুর রহিম। ব্যক্তিগত ২৫ রানে ওয়েসলি মাধেভেরের বলে ডিপ মিডউইকেটে টন মুনইয়ঙ্গার হাতে ধরা পড়ে সাজঘরে ফেরেন। ৩১ বলে খেলা তার ইনিংসে ১টি চারের মার ছিল।

শতরান পেরিয়ে বাংলাদেশ

ফিফটি রান করে তামিম ইকবাল ও অসাবধানতায় এনামুল হক বিজয় আউট হওয়ার পর বাংলাদেশ দলকে টেনে নিচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিম। ইতোমধ্যে দলীয় সংগ্রহ শতরান পেরিয়েছে। ২২.৩ ওভার শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ১২৭ রান। শান্ত-মুশফিকের জুটির ফিফটি রানও পূর্ণ হয়েছে। ১০ ওভারে তারা দুজন ৫০ রান তোলেন।

অসাবধানতায় রানআউট হয়ে বিজয়ের বিদায়

অসাবধানতায় রানআউট হয়ে ফিরলেন এনামুল হক বিজয়। শান্তর স্ট্রেইট ড্রাইভে আউট বিজয়!  সোজাসুজি খেলেনে বাঁহাতি শান্ত, বল নন স্ট্রাইক প্রান্ত দিয়ে যেতেই সচেতন চিভাঙ্গা স্পর্শ করেন বল, যা সরাসরি ভেঙে দেয় উইকেট। ততক্ষণে বক্স থেকে বেরিয়ে গেছেন বিজয়, অসাবধানতার বশে উইকেট বিলিয়ে আসলেন এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। ২৫ বলে ২০ রান করেন এনামুল। ক্রিজে দুই নতুন ব্যাটসম্যান শান্ত-মুশফিক।

ফিফটির পর তামিমের বিদায়

ফিফটির পর তামিমের বিদায়। চিভাঙ্গার শর্ট বলে পুল করতে চেয়েছিলেন দুর্দান্ত খেলতে থাকা তামিম। কিন্তু মিসটাইমিংয়ে গড়বড় হয়ে যায়। ডিপ স্কয়ার লেগে ধরা পড়েন কাইটানোর হাতে। সমাপ্তি হয় দারুণ এক ইনিংসের। ১০ চার ও ১ ছয়ে ৪৫ বলে ৫০ করেন তামিম। ক্রিজে এনামুলের সঙ্গী শান্ত। 

এবার ৪৩ বলে তামিমের হাফ সেঞ্চুরি

৪৩ বলে ক্যারিয়ারের ৫৫তম ফিফটির দেখা পেলেন তামিম। প্রথম ম্যাচে ৭৯ বলে ফিফটি করেছিলেন। ধীরগতির ব্যাটিংয়ের কারণে বাংলাদেশ দলীয়ভাবে কিছুটা রান কম পায়। এবার আর সেই পথে হাঁটছেন না তামিম। শুরু থেকেই দেখা যাচ্ছে আগ্রাসী। চার মেরে তুলে নেন ফিফটি। তার ফিফটির ইনিংসে চারের মার ছিল ১০টি আর ছয়ের মার ১টি। 

ফিফটির জুটিতে তামিমের একারই ৪২ 

চিভাঙ্গাকে চার মেরে দলীয় রান পঞ্চাশ পার করে তামিম। ৫৩ বলে ফিফটির জুটি পূর্ন হয়। তাতে তামিমের একারই রান ৪২ আর এনামুলের ৯। শুরু থেকেই আগ্রাসী দেখা যাচ্ছে তামিমকে। এনামুল ঠিকমতো স্ট্রাইকরেট পাচ্ছেন না। 

আগ্রাসী তামিমে বাংলাদেশের দারুণ শুরু

৭ ওভারে বাংলাদেশের রান ৪৫। আর ওপেনার তামিমের একারই রান ৩৭! পঞ্চম ওভারে হাঁকিয়েছেন ২ চার ও ১ ছয়। ৩৩ বলে ৭ চার ও ১ ছয়ে এই রান করেন তামিম। প্রায় প্রতি ওভারেই হাঁকাচ্ছেন বাউন্ডারি। অপর ওপেনার এনামুলের রান ১০ বলে ৭ রান। ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা দারুণ হয়েছে বাংলাদেশের।  প্রথম ম্যাচে ধীরগতির শুরু কারণে ভুগতে হয়েছে বাংলাদেশকে। এই ম্যাচে ওভার প্রতি আসছে প্রায় ৭ রান করে। যা ইতিবাচক বাংলাদেশের জন্য।  

একাদশে তিন পরিবর্তন, ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশ

জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে টস হেরেছেন বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম ইকবাল। টস জিতে বাংলাদেশকে ব্যাটিং-এর আমন্ত্রণ জানিয়েছে জিম্বাবুয়ে। বাংলাদেশ সময় দুপুর সোয়া ১টায় শুরু হয়েছে ম্যাচটি। বাংলাদেশ দলে ৩টি পরিবর্তন আনা হয়েছে। আর জিম্বাবুয়ে দলে পরিবর্তন আনা হয়েছে ৫টি। ইনজুরিতে পড়া লিটন দাস ও মোস্তাফিজুর রহমানের পরিবর্তে বাংলাদেশের একাদশে এসেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও হাসান মাহমুদ। এ ছাড়া মোসাদ্দেক হোসেনের পরিবর্তে খেলছেন তাইজুল ইসলাম। 

বাংলাদেশের একাদশ

তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), নাজমুল হোসেন শান্ত , এনামুল হক বিজয়, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, আফিফ হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, শরীফুল ইসলাম , নাসুম আহমেদ ও হাসান মাহমুদ/মোসাদ্দেক হোসেন।

জিম্বাবুয়ে একাদশ

আগের ম্যাচের একাদশ থেকে বাদ পড়েছেন রায়ান বার্ল, ওয়েলিংটন মাসাকাদজা, তারিসাই মুসাকান্দা, রিচার্ড এনগারাভা ও মিল্ডন শুম্বা। তাদের জায়গায় এলেন তানাকা চিভাঙ্গা, ব্র্যাডলি ইভান্স, তাকুদওয়ানাশে কাইতানো, তাদিওয়ানশে মারুমানি ও টনি মুনিয়োঙ্গা। অভিষেক হয়েছে ব্র্যাডলি ইভান্স ও টনি মুনিয়োঙ্গার।

একাদশে যারা রেগিস চাকাভা (অধিনায়ক), তানাকা চিভাঙ্গা, ব্র্যাডলি ইভান্স, তাকুদওয়ানাশে কাইতানো, লুক জংওয়ে, ইনোসেন্ট কাইয়া, ওয়েসলে মাধেভের, তাদিওয়ানশে মারুমানি, টনি মুনিয়োঙ্গা, ভিক্টর নাইউচি ও সিকান্দার রাজা।

সিরিজ বাঁচানোর লড়াই 

ওয়ানডেতে উড়তে থাকা বাংলাদেশ এটা ঘুনাক্ষরেও ভাবেনি হয়তো। দক্ষিণ আফ্রিকা কিংবা উইন্ডিজকে তাদের মাটিতে ধরাশয়ী করার পর কে-ইবা এমন ভাবতে পারে। তাও যে দলটির বিপক্ষে ২০১৩ সাল থেকে টানা ১৯ ম্যাচে কোনো হার ছিল না। সেই দলটিই যেন নাস্তানাবুদ করে ছাড়লো। হারের ক্ষতে দ্রুত প্রলেপ দিয়ে বাংলাদেশকে এবার প্রস্তুত থাকতে হবে সিরিজ বাঁচাতে। প্রথম ওয়ানডে ৫ উইকেটে জিতে নিয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে স্প্রিং বকরা। আজ জিতলে ৯ বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জিতবে তারা। আর বাংলাদেশ জিতলে সিরিজে ফিরবে সমতা।

হেরাথের বিশ্বাস ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ 

স্পিন কোচ রঙ্গনা হেরাথ মনে করছেন তার শিষ্যরা ঘুরে দাঁড়াবে। ‘খেলোয়াড় হিসেবে, ব্যক্তি হিসেবে, দলের সদস্য হিসেবে এমন সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছি আমি। তবে ব্যাপারটা (হলো), কীভাবে শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পারি। আমি নিশ্চিত ছেলেরা ঘুরে দাঁড়াবে। হারাটা কখনোই ভালো কিছু নয়, তবে এটি তো খেলার অংশ। আমি নিশ্চিত ছেলেরা আরও তরতাজা হয়ে ফিরে আসবে।’