খেলাধুলা

‘ড্রাইভিং সিটে আমার জীবনের সেরা দিন’

দ্বিতল বাসকে কেটে ছাদখোলা বানানো হয়েছে বাংলাদেশ নারী ফুটবলারদের সংবর্ধনা দেওয়ার জন্য। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগেই দেশে প্রথম ছাদখোল বাসে সংবর্ধনা পেয়েছেন খেলোয়াড়রা। দেশের ক্রীড়াঙ্গনে এমন ঘটনা রোজকার নয়। তাই সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের শিরোপা জেতার পর দেশে ফিরে রাজসিক সংবর্ধনা পাচ্ছেন সাবিনা, সানজিদারা।

তাদের জন্য বিআরটিসির একটি বাস সাজিয়েছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। সামনে বড় করে লিখা, সাফ চ্যাম্পিয়ন ২০২২। বাসের দুই পাশের পোস্টারে শোভা পেয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি। এছাড়া মেয়েদের শিরোপা নিয়ে উল্লাসের ছবিও পোস্টারে দেয়া হয়েছে। এই বাসে চড়েই বিমানবন্দর থেকে নিজেদের গন্তব্য বাফুফেতে যাচ্ছেন দক্ষিণ এশিয়ার ফুটবলের রানীরা।

তাদেরকে নিজের বাসে উঠাতে পেরে বেশ আনন্দিত চালক মো. আব্দুল কালাম। জানালেন, তার ড্রাইভিং ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা দিন এটি। রাইজিংবিডিকে আব্দুল কালাম বলেন, ‘আমার ড্রাইভিং জীবনের অন্যতম সেরা দিন। আমি ভাবতেও পারিনি, নারী ফুটবলাররা সাফ ফুটবল জিতে আসবে আর আমি তাদেরকে চালক হিসেবে বহন করে নিয়ে যাবো...এটা কোনোদিন কল্পনাও করিনি।’

নিজের আনন্দ লুকাতে পারেননি আব্দুল কালাম, ‘আমি অত্যন্ত আনন্দিত, খুশি। এরকম স্মৃতি জীবনে আর নেই আমার। এমনিতে জাহাঙ্গীরনরগর ইউনিভার্সিটির গাড়ী চালাই। বাসে উঠলে ছেলেরা-মেয়েরা আনন্দ করে। সেটা আমিও উপভোগ করি। কিন্তু এভাবে ফুটবলাররা জিতে আসবে এবং আমি তাদেরকে নিয়ে যাবে সেটা ভাবতে পারিনি কখনো। আমাকে বিভিন্নজন ফোন করে বলছে, তোমাকে টিভিতে দেখা যাচ্ছে। আমার পরিবারও খুব খুশি। ২৪ বছর ধরে গাড়ি চালাচ্ছি। ১৯৯৯ সাল থেকে। এখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ব বিদ্যালয়ের বাস চালাচ্ছি।’

সাবিনা, সানজিদা, মারিয়ারা নিজেদের সেরা ফুটবল খেলে বাংলাদেশকে জিতিয়েছেন। আব্দুল কালাম বিশ্বাস করেন, সামনে আরও ভালো খেলবে বাংলাদেশ দল, ‘এই মেয়েরা বাংলাদেশের গর্ব। মেয়েরা যে সম্পদ সেটাই প্রমাণ করে। ভবিষ্যতে তারা আরও জিতে আসবে, আরও নারী ফুটবলার জন্ম নেবে।’