খেলাধুলা

তিনে লিটন, চারে সাকিব!

নিউ জিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের ব্যাটিং অর্ডারে পরিবর্তন দেখা দিতে পারে। নিয়মিত তিনে খেলা অধিনায়ক সাকিব আল হাসান পছন্দের জায়গা ছেড়ে চারে ব্যাটিং করতে পারেন। লিটন কুমার দাসকে দেখা যেতে পারে তিনে। দলীয় সূত্রে এমনটাই নিশ্চিত হওয়া গেছে৷

আজ ব্যাটিং কোচ সিডন্সের কণ্ঠেও কিছুটা আভাস পাওয়া গেছে, ‘সাব্বির ও মিরাজের মতো ছেলেরা ব্যাটিং ওপেন করছে, তামিম-লিটনের ওপেন করার চেয়ে এটা পুরোই আলাদা। লিটন যদিও আছে, তিন বা চার নম্বরে। সিনিয়র ক্রিকেটার এখনও আছে। তবে তরুণরা খুবই রোমাঞ্চকর এবং প্রাণবন্ত। আশা করছি, তারা সেভাবেই নিজেদের মেলে ধরবে।’

টি-টোয়েন্টিতে ওপেনিংয়ে বাংলাদেশ ভুগছে শেষ কয়েক বছর ধরেই। তামিম ইকবাল নিজ থেকে সরে যাওয়ার পর তেমন কেউই তার জায়গা নিতে পারেননি। লিটন নিজের অবস্থান তৈরি করে নিলেও সমর্থনের জুটি গড়ার মতো সতীর্থ পাননি। এ পজিশনে একাধিক খেলোয়াড়কে পরীক্ষা করানো হয়েছে। কিন্তু পরীক্ষিত কোন ওপেনারই জায়গা থিতু করতে পারেননি।

এশিয়া কাপে নিজেদের শেষ ম্যাচে সাব্বির মিরাজ ওপেনিং করেন। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে সিরিজেও তারা ছিলেন ইনিংস উদ্বোধনে। মিরাজ নিজের সামর্থের ছাপ রাখলেও সাব্বির পারেননি। তবে তাদের ওপর ভরসা রাখছে টিম ম্যানেজমেন্ট। এজন্য লিটনকে তিনে নামিয়ে ব্যাটিং অর্ডার লম্বা করতে চায় দল। একই সঙ্গে সাকিব লম্বা সময় যেন ক্রিজে থাকতে পারে, ইনিংস শেষ করে আসতে পারেন সেজন্য চারে ব্যাটিং করবেন। অধিনায়ক দলের এমন পরিকল্পনায় রাজি হয়েছেন বোঝা গেছে।

ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে সাকিব যে ছয় ম্যাচ খেলেছেন প্রতিটিতেই নেমেছিলেন চার নম্বরে। তবে একটা ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরি বাদে বাকি ইনিংসে বলার মতো রান নেই। প্রথম দুটো ইনিংসে গোল্ডেন ডাক, আর দুই কোয়ালিফায়ারেও হাসেনি তার ব্যাট। ১০১ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে সাকিব ৪০ ইনিংসে তিনে ব্যাটিং করেছেন। যেখানে তার গড় রান ২৮.৭২। ক্যারিয়ার সেরা ৮৪ রানের ইনিংসটিও খেলেছেন তিনে। সেটাও আট বছর আগে। এছাড়া চারে ৩৬ ইনিংসে ২২ গড়ে ৬৮২ রান করেছেন। চারের থেকে তিনে সাকিবের ব্যক্তিগত পারফরম্যান্স উজ্জ্বল। কিন্তু দলীয় স্বার্থে পছন্দের জায়গা ছেড়ে দিতেই হচ্ছে তাকে।