খেলাধুলা

আলোচনায় উইকেট, আশায় বাংলাদেশ

সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের উইকেটে কাজ করছিলেন চট্টগ্রাম থেকে উড়ে আসা কিউরেটর প্রবীন হিনগানিকর। মাঠে ঢুকছিলেল বাংলাদেশ দলের কোচ একে এম মাহমুদ। চট্টগ্রাম থেকে তো কিউরেটর আসলো এবার উইকেট ঠিক হবে? এমন প্রশ্ন করতেই মাহমুদ হেসে বললেন, ‘আশা করছি, দেখা যাক।’

গুরু মাহমুদের মতো আশায় আছেন শিষ্য সানজিদা আক্তার মেঘলাও, ‘সকালে যখন খেলি, বৃষ্টি ও কুয়াশা থাকে, মাঠে ফিল্ড আরেকটু গ্রেসি থাকে। সেক্ষেত্রে লাঞ্চের পর যখন আমরা খেলবো, উইকেট আলাদা থাকবে, রোদ থাকবে। আশা করা যায় তখন উইকেট একটু ফ্ল্যাট হবে।’

সিলেটে চলমান নারী এশিয়া কাপে আলোচনায় এখন গ্রাউন্ড টু'র উইকেট। যার সমালোচনা করেছেন খোদ ক্রিকেটার-কোচরা। বল নিঁচু হয়ে আসে, হঠাৎ করে ভেতরে ঢুকে কিংবা টার্ন করে বেরিয়ে যায়। স্পিনের জন্য স্বর্গ হলেও ব্যাটারদের জন্য তা দুর্বোধ্য। এমন উইকেটে বিধ্বস্ত হয়েছে বাংলাদেশ।

গ্রাউন্ড টু-তে খেলা শেষ। বৃহস্পতিবার থেকে গ্রাউন্ড ওয়ানে খেলা হবে। দুপুরেই মালয়েশিয়ার বিপক্ষে নামবে নিগার সুলতানা জ্যোতির দল। এই ম্যাচের আগে আজ অনুশীলন সারে স্বাগতিক দল। উইকেট পরখ করতে গিয়ে পিচে শুয়েও পড়েন এক ক্রিকেটার।

আজ অনুশীলন শেষে মেঘলা বলেন, ‘দেখুন, প্রথমত আমরা এনসিএল এখানে খেলে গেছি। দুইটা মাঠেই সমানভাবে খেলা ছিল। যেহেতু গত ম্যাচে পাকিস্তানের সঙ্গে স্পিন উইকেট ছিল, এক নম্বর মাঠেও স্পিন আছে। এটা নির্ভর করছে পিচ কীভাবে মেইনটেইন হচ্ছে যেহেতু এটা নতুন ইভেন্ট।’

গ্রাউন্ড ওয়ানের সেই উইকেট নিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলকে (এসিসি) জানায় বাংলাদেশ টিম ম্যানেজম্যান্ট। এরপর সিলেটের কিউরেটর সঞ্জীব আগারওয়াল থাকা সত্বেও চট্টগ্রাম থেকে প্রবীণকে উড়িয়ে আনা হয়। আজ দুপুর পর্যন্ত তাকে উইকেটে কাজ করতে দেখা গেছে।

এবার কি উইকেট বদলাবে? নাকি নিজেদের খোঁড়া গর্তেই আবার পড়তে হবে বাংলাদেশকে! সেটা অবশ্য সময়ই বলে দেবে।