বন্দরনগরী চট্টগ্রামের উত্তর কাট্টলী এলাকায় সমুদ্র তীর ঘেষা মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে বঙ্গবন্ধুর ছোট ছেলে শেখ রাসেলের নামে নব নির্মিত মিনি স্টেডিয়াম যাত্রা শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (১৮ অক্টোবর) দুপুরে শেখ রাসেলের জন্মদিনে এই স্টেডিয়ামের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হয়েছে। এই স্টেডিয়ামের উদ্যোক্তা চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এম মনজুর আলম। মনজুর আলমের পারিবারিক প্রতিষ্ঠান হোসনে আরা মনজুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের অর্থায়নে নির্মিত হয়েছে স্টেডিয়ামটি।
মনজুর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালক, চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। স্টেডিয়াম উদ্বোধন শেষে ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের পুরস্কার বিতরণ করেন সীতাকুণ্ড আসনের সংসদ সদস্য দিদারুল আলম। বিশেষ অতিথি ছিলেন মোস্তফা হাকিম গ্রুপ ও হোসনে আরা মনজুর ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের পরিচালক মোহাম্মদ সাইফুল আলম, আমরা রাসেল স্মৃতি পরিষদের সভাপতি ও মনজুর আলমের দৌহিত্র নাবিদ আব্দুল্লাহ মনজুর আলম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেন, ক্রীড়ামোদীদের জন্য এটা সুখবর যে, চট্টগ্রামে আরেকটি স্টেডিয়াম নির্মিত হলো। আমরা খুবই আনন্দিত। এর মাধ্যমে চট্টগ্রাম থেকে আরও বেশি খেলোয়াড় তৈরি হবে। চট্টগ্রাম ক্রীড়া সংস্থা থেকে সাবেক মেয়র মনজুর আলমকে শেখ রাসেলের নামে এই স্টেডিয়াম নির্মাণ করার জন্য আমরা ধন্যবাদ জানাচ্ছি। স্টেডিয়ামকে আরও আধুনিকায়ন ও যুগোপযোগী করতে সার্বিক পরামর্শসহ আমার আন্তরিকতা চলমান থাকবে।
মনজুর আলম বলেন, এই স্টেডিয়াম দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। ৩৩০ ফুট দীর্ঘ ও ২০০ ফুট প্রস্থের স্টেডিয়ামে গ্যালারি, ড্রেসিং রুম, চারদিকে নিরাপত্তা ব্যবস্থা, বিশুদ্ধ পানি সরবরাহ, বিদ্যুৎ, ফুটবল, ক্রিকেট, বাস্কেটবলসহ খেলাধুলার উপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে। আমি এবং আমার পরিবার বঙ্গবন্ধুর আদর্শের একটি পরিবার। জাতির পিতা, বঙ্গমাতা ও শেখ রাসেলের আত্মার মাগফিরাতের জন্য আমাদের থাকে বিভিন্ন কর্মসূচি। আমি মনে করি এই স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে স্বাধীনতার স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারের জন্য দোয়া ও মাগফিরাত কামনা করা আমাদের দায়িত্ব।
তিনি আরও বলেন, আজ তিনি নেই কিন্তু তাঁর আদর্শ আমাদের অনুসরণ করতে হবে। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর মতো একজন প্রকৃত দেশপ্রেমিক। তাঁর হাত ধরে আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের সারিতে উন্নীত হতে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, বিপথগামী ঘাতকরা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ১১ বছরের সেই ছোট্ট ছেলেকেও নির্মমভাবে হত্যা করেছিল। আমরা আজ স্মরণ করছি শেখ রাসেলকে। শেখ রাসেলকে তরুণ প্রজন্মের নিকট চির স্মরণীয় করে রাখতে আজ থেকে যাত্রা শুরু হলো শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামের। ১৮ অক্টোবর শেখ রাসেলের জন্মদিন। আমরা চাই শেখ রাসেল বেঁচে থাকুক তরুণ প্রজন্মের হৃদয়ে।
অনুষ্ঠানে কেক কেটে শেখ রাসেলের জন্মদিন পালন ও উপস্থিত সবাইকে মিষ্টি ও খাবার বিতরণ করা হয়।