খেলাধুলা

শাহীন ওই ওভারটা করতে পারলে ফল ভিন্নও হতে পারতো: বাবর

শাদাব খানের করা ১৩তম ওভারের তৃতীয় বল লং-অফ দিয়ে উড়িয়ে মারতে গিয়ে শাহীন আফ্রিদির হাতে ধরা পড়েন হ্যারি ব্রুক। পাকিস্তান শিবির উল্লাসে মেতে ওঠে। কিন্তু শাহীন আফ্রিদি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে থাকেন পায়ে চোট পেয়ে।

পরে তাকে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে মাঠের বাইরে চলে যেতে দেখা যায়। ১৬তম ওভারে তিনি আবার ফেরেন। কিন্তু একটি বল করার পরই আবার মাঠের বাইরে চলে যান। বাকি ৫টি বল করেন ইফতিখার আহমেদ। তিনি ১ চার ও ১ ছক্কায় ১৩ রান দেন। ওই ওভারটি পাকিস্তানের হারের পথ উন্মুক্ত করে দেয়। পাকিস্তানের আঁটসাঁট বোলিংয়ে ইংল্যান্ডের ওপর যে চাপ তৈরি হয়েছিল সেটি থেকে বেরিয়ে যায় তারা। এরপর বাটলার ও মঈন আলী হাত খুলে মারতে শুরু করেন এবং পাকিস্তান ১৯তম ওভারেই হেরে যায়।

তবে শাহীন আফ্রিদি মাঠ না ছাড়লে কিংবা অন্তত ওই ওভারটা করতে পারলে হয়তো ম্যাচের ফল ভিন্নও হতে পারতো। তাকে হয়তো স্টোকস ও মঈন আলী খুব বেশি মারতে পারতেন না। ম্যাচ শেষে বিষয়টি স্বীকার করেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজমও।

ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘হয়তো শাহীন যদি ওই ওভারটা বল করতে পারতো তাহলে ফল ভিন্নও হতে পারতো। যেহেতু সেই সময় ইংল্যান্ডের দুজন বাহাতি ব্যাটসম্যান ছিলেন, সে কারণে আমি অফ-স্পিনার আনি বোলিংয়ে।’

তিনি আরও বলেন ব্যাটিংয়ে ভালো পার্টনারশিপ গড়তে না পেরে তারা ব্যাকফুটে চলে যায়, ‘তাছাড়া আমরা ভালো পার্টনারশিপ গড়তে পারিনি। তাতে করে আমরা ব্যাকফুটে চলে যাই। ইংল্যান্ডের বোলাররা অসাধারণ বোলিং করেছে। তবে এটা কোনো অজুহাত নয়। আমরা পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার চেষ্টা করেছি। অবশ্য শেষ ওভার পর্যন্ত আমাদের ওপর চাপ ছিল। ইংল্যান্ডকেও আমরা চাপে রেখেছিলাম। তবে শাহীন তার শেষ দুটি ওভার করতে পারলে ফল হয়তো ভিন্নও হতে পারতো।’

পাকিস্তানের হারের জন্য কি তাদের মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা দায়ী? বাবর অবশ্য তাদের দায়ী করছেন না, ‘আমাদের হারের জন্য মিডল অর্ডারকে দায়ী করবো না। আমরা আসলে দল হিসেবে খেলেই হারি কিংবা জিতি। ১১ ওভার শেষে আমাদের রান ছিল ৮৪। সেখান থেকে আমাদের অন্ততপক্ষে ১৫০ করা উচিত ছিল। তবে এটাই ক্রিকেটের সৌন্দর্য্য। এখানে প্রত্যেক দিন একরকম হবে না।’

‘ফাইনালে হেরে অবশ্যই খারাপ লাগছে। তবে শেষ চারটি ম্যাচ আমরা যেভাবে খেলেছি সেটার জন্য ছেলেরা ক্রেডিট পাওয়ার যোগ্য।’ যোগ করেন তিনি।