খেলাধুলা

ওয়েলসকে উড়িয়ে শেষ ষোলোতে ইংল্যান্ড

মঙ্গলবার বাংলাদেশ সময় রাত ১টায় আল রায়ানের আহমেদ বিন আলী স্টেডিয়ামে ‘লোকাল ডার্বি’ খেলতে নেমেছে বৃহত্তর ব্রিটেনের দুই দেশ।

ওয়েলসে ৩-০ গোলে উড়িয়ে বিশ্বকাপের শেষ ষোলোতে ইংল্যান্ড। ওয়েলস বলতে গেলে পাত্তাই পায়নি। এক রাশফোর্ডের বিপর্যস্ত ছিল দলটি। ইংলিশরা দারুণ দারুণ সব সুযোগ মিস করে। নাহয় গোলের সংখ্যা নিশ্চিতভাবে আরও বাড়তো। বিরতির পর ফিরেই দুই মিনিটে দুই গোল করে এগিয়ে দেন রাশফোর্ড-ফোডেন। এরপর আরও ১টি গোল করেন রাশফোর্ড। ২০০৬ বিশ্বকাপ থেকে এই প্রথম কোনো বিশ্বকাপে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ ষোলোতে আসে ইংল্যান্ড। ৩ ম্যাচে ১০ গোল করেছে দলটি। 

দুর্দান্ত রাশফোর্ডে বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের গোলের সেঞ্চুরি 

দুর্দান্ত রাশফোর্ডের জোড়া গোল। ৬৮ মিনিটে ডান দিকে একাই ডি বক্সে ডুকে দুজনকে ফাঁকি দিয়ে নিখুঁত শটে তৃতীয়বারের মতো ওয়েলসের জালে বল জড়ান রাশফোর্ড। এটি রাশফোর্ডের দ্বিতীয় গোল। ৩-০ গোলে এগিয়ে ইংল্যান্ড। রাশফোর্ডের এই গোলের মাধ্যমে বিশ্বকাপের মঞ্চে ১০০ গোলের মাইলফলক অর্জন করে ইংল্যান্ড। ৭৪ মিনিটে রাশফোর্ডকে উঠিয়ে নেন কোচ। নামেন গ্রিলিশ। 

বিরতির পর দুই মিনিটে ইংল্যান্ডের দুই গোল

বিরতির পর দুই মিনিটে ইংল্যান্ডের দুই গোল। ৫১ মিনিটে নিজেদের ডিফেন্সে রাশফোর্ডের কাছে বল হারায় ইরান। এগিয়ে আসা বল পেয়েই বাম দিকে বাড়িয়ে দেন কেন। সেখানে থাকা ফোডেন দারুণ ক্রস শটে জড়িয়ে দেন জালে। এর আগে সহজ সুযোগ মিস করেছেন। এবার আর মিস হয়নি। 

ফ্রি-কিকে রাশফোর্ডের দুর্দান্ত গোল

অবশেষে রাশফোর্ডের গোল। ৫০ মিনিটে তিনি লক্ষ্যভেদ করেন।  ৫০ মিনিটে ফ্রি কিক পায় ইংল্যান্ড। ডান পায়ের জোরালো শটে বাম কোনা দিয়ে ঢুকিয়ে দেন ওয়েলসের জালে। হতভম্ব হয়ে যান গোলরক্ষক

মিসের মহড়ায় প্রথমার্ধে গোল পায়নি ইংল্যান্ড

বারবার সুযোগ মিসের খেসারত দিয়েছে ইংল্যান্ড। প্রথমার্ধে থাকতে হয়েছে গোলশূন্য। ইংল্যান্ড বারবার আক্রমণের চেষ্টা করে উঠে এসেছে। বেশ কয়েকটি সুযোগও পেয়েছিল। কিন্তু নিখুঁত ফিনিশিংয়ের অভাবে গোলের দেখা পায়নি। রাশফোর্ড হতে শুরু করে কেন, সকলেই মিস করেন। মোট ৯টি শট নেয় তারা, ২টি ছিল অনটার্গেট। অন্যদিকে ওয়েলসের দুটি শটই ছিল লক্ষ্যহীন।

বারের বাইরে মেরে দেন ফোডেন 

৩৫ মিনিটে ডি বক্সে বল পেয়েছিলেন ফোডেন। প্রয়োজন ছিল একটি নিখুঁত শটের। বাঁ পায়ে জোরালো শট নিয়েছিলেন। কিন্তু মেরে দেন বাইরে। 

রাশফোর্ডের মিসে সহজ সুযোগ হারালো ইংল্যান্ড

২৪ মিনিটে ডি বক্সের  একটু সামনে থেকে নিখুঁত এক পাস দেন কেন। সামনে ছিলেন রাশফোর্ড। গোলরক্ষককে একা পেয়েও রাশফোর্ড গোল দিতে পারেননি। মেরে দেন গোলরক্ষক ওয়ার্ডের সোজাসুজি। এখন পর্যন্ত ইংলিশরা ৪টি শট নেয়, যার মধ্যে এটিই ছিল অন টার্গেট।  

ওয়েলস (৪-২-৩-১)

ওয়ার্ড, এন উইলিয়ামস, মেফাম, রডন, ডেভিস, আমপাদু, অ্যালেন, বেল, রামসে, জেমস, মুর।

ইংল্যান্ড (৪-১-২-৩)

পিকফোর্ড; ওয়াকার, স্টোনস, ম্যাগুয়ার, শ; রাইস, হেন্ডারসন, বেলিংহাম; ফোডেন, কেন, রাশফোর্ড। 

ইংল্যান্ড নাকি ওয়েলস 

ইরানকে ৬-২ গোলে উড়িয়ে দিয়ে বিশ্বকাপ শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্স ধরে রাখতে পারেনি তারা দ্বিতীয় ম্যাচে। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে নিষ্প্রাণ ড্র করে গোলশূন্য ব্যবধানে। ‘বি’ গ্রুপে ৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা ইংল্যান্ডের জন্য বাদ পড়া বলতে গেলে ‘অসম্ভব’। ওয়েলসের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে ৪ গোলের ব্যবধানে না হারলেই হলো, উঠে যাবে দ্বিতীয় রাউন্ডে।

বেলদের জিততে হবে চার গোলে 

যুক্তরাষ্ট্রকে ১-১ গোলে রুখে দেওয়া ওয়েলস ইরানের কাছে ২-০ তে হেরে ২ ম্যাচ শেষে সবার শেষে, তবুও তাদের সুযোগ আছে শেষ ষোলোতে ওঠার। এজন্য ইংল্যান্ডকে যে কোনও ব্যবধানে হারানোর সঙ্গে কামনা থাকবে যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের ম্যাচটি যেন ড্র হয়। যদি যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ইরানের ম্যাচে পয়েন্ট ভাগাভাগি না হয়, তবে নকআউটে উঠতে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চার গোলে হারাতে হবে ওয়েলসকে।

সমালোচনায় বেল 

ইরানের কাছে যোগ করা সময়ে দুই গোল খেয়ে অপ্রত্যাশিত হারের পর সমালোচনায় ভাসছেন ওয়েলসের তারকা ফরোয়ার্ড গ্যারেথ বেল। তবে জোর গলায় বললেন, দলকে জেতানোর দায়িত্ব তার একার নয়, ‘আমরা একটি দল। আমরা একটি জাতি এবং একে অন্যের জন্য অনেক পরিশ্রম করি। আমাদের একটি দল হিসেবে পারফরম্যান্স করতে হবে। এখানে শুধু একজন ব্যক্তি কোনও কিছু করতে পারবে না।’