খেলাধুলা

মেসি বনাম চুয়ামেনি, এমবাপ্পে বনাম মোলিনা, কে হাসবেন?

আর্জেন্টিনা-ফ্রান্স ফুটবল যুদ্ধ দেখতে তর সইছে না কারোরই। কে জিতবে যুদ্ধে? তার আগে জানতে হবে যুদ্ধের ভেতর যুদ্ধের কথা। আর্জেন্টিনার আছে মেসি, ফ্রান্সের আছে এমবাপ্পে। তাদের বোতলবন্দি করে রাখবেন কে? রোবাবার রাতের এই ফাইনালের তিন যুদ্ধ নিয়েই এই প্রতিবেদন।

ব্রিটিশ দৈনিক ডেইলি মেইলে প্রকাশিত ক্রিশ শাটনের প্রতিবেদন থেকে করা লড়াইগুলো হলো…

গ্রিজম্যান-ফার্নান্দেজ: ক্লাব ফুটবলে যা তা হোক না কেন দেশের জার্সি জড়ালেই আঁতোয়ান গ্রিজম্যান যেন জাঁদরেল প্লে মেকার। নামের সঙ্গে ট্যাগলাইন ফরোয়ার্ড হলেও মিডফিল্ডার কম নয় বৈকি। মরক্কোর সঙ্গে সেমিফাইনালে বল যেখানে গ্রিজম্যান ছিলেন সেখানে। ৬ ম্যাচ খেলে তিনি গোলের দেখা পাননি, তবে করিয়েছেন ৩টি। এখন পর্যন্ত গোলে তার অবদান ২৩ শতাংশ। ফাইনালে মাঝমাঠের লড়াইয়ে তার সঙ্গে যুদ্ধ হবে আর্জেন্টিনার তরুন তুর্কি এনজো ফার্নান্দেজের। যিনি এই বিশ্বকাপে একটি গোল করেছেন, আরেকটি করিয়েছেন। দুজনের যুদ্ধে গ্রিজম্যান অনেক অভিজ্ঞ। কিন্তু এনজো ছাড় দেবেন না একটুও।

এমবাপ্পে-মোলিনা: এই ম্যাচে আলবিসিলেস্তেদের একটাই লক্ষ্য হতে পারে, এমবাপ্পেকে বোতলবন্দি করে রাখা। তাকে মুক্ত রাখাই যে আর্জেন্টিনার বড় চ্যালেঞ্জ। বিদ্যুৎ গতিতে যে কোনো সময় ঢুকে পড়বেন ডিফেন্সে। তারপরের গল্প সবার জানা, নিখুঁত শটে লক্ষ্যভেদ করবেন। তাকে আটকে রাখার প্রধান দায়িত্ব নাহুয়েল মোলিনার। যে কাজ ইংল্যান্ডের  ম্যাচে করেছিলেন কাইল ওয়াকার। মোলিনা শুধু এম্বাপ্পেকে আটকে রাখবেন যে তা না, যে কোনো সময় গোলমুখে হানা দিতে পারেন। মেসির পাস থেকে একটি গোলও করেছেন এ বিশ্বকাপে। তবে এই ম্যাচে তার প্রধান দায়িত্ব এমবাপ্পেকে আটকে রাখা। 

মেসি বনাম চুয়ামেনি: সানডে নাইটে ফুটবল বিশ্বকাপে সবার নজর থাকবে লিওনেল মেসির উপর। আর্জেন্টিনার প্রাণভোমরা যে কোনো মুহুর্তে ফরাসিদের বিধ্বস্ত করে দিতে পারেন। ফরাসিরা ৬ ম্যাচে ৫ গোল করা মেসিকে আটকে রাখার জন্য মরিয়া হয়ে থাকবেন। আর এই দায়িত্ব বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা চুয়ামেনির উপর। মেসিকে জায়গা না দিলে বা যত কম সময় বল তার পায়ে থাকে ততই ফ্রান্সের জন্য ভালো। দিদিয়ের দেশমের অস্ত্র কি পারবে মেসিকে আটকে রাখতে?