খেলাধুলা

আইপিএলে ২৪ দিনের এনওসি পাবেন সাকিব-লিটন!

সাকিব আল হাসানের জন্য ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) একদম চেনা আঙিনা। ২০১১ সাল থেকেই নিয়মিত খেলছেন। কলকাতা নাইট রাইডার্স তার পুরোনো ঠিকানা। খেলেছেন সাত মৌসুম। ২০২৩ সালে আবারও কলকাতার জার্সিতেই দেখা যাবে বাংলাদেশের সুপারস্টারকে। অষ্টমবারের মতো এই দলে খেলার অপেক্ষায় সাকিব।

এক আসর পর বিশ্বের এক নম্বর ফ্র্যাঞ্চাইজি প্রতিযোগিতায় ফিরলেও বাঁহাতি অলরাউন্ডারের তেমন উচ্ছ্বাস নেই। ঢাকা টেস্টের পর সংবাদ সম্মেলনে আইপিএল ও কলকাতা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই যেমন বললেন, ‘একই রকম... নতুন কিছু না।’ 

সাকিবের জন্য এই রোমাঞ্চ, উচ্ছ্বাস পুরোনো হলেও প্রথমবারের মতো সুযোগ পাওয়া লিটন দাসের একেবারেই তরতাজা। সাকিবের আগে লিটনকে কলকাতা দলে ভেড়ায়। তার উচ্ছ্বাস বেশি থাকার কথা। কিন্তু সাকিবের মতো লিটনও লুকিয়ে রাখলেন আবেগ, ‘ওরকম কোনও কিছু না (অনুভূতি)… এখনও দেরি আছে, অনেক দূর (আইপিএলের)। আগে যাই, তার পর অনুভূতি হবে।’ 

তবে এই উচ্ছ্বাস আকাশ ছোঁয়ার মতো না থাকারও কারণ থাকতে পারে। খোঁজ নিয়ে জানা গেলো, আইপিএলের পুরোটা সময় থাকতে পারবেন না বাংলাদেশের এই দুই তারকা। ২০২৩ সালে আইপিএল চলবে মধ্য মার্চ থেকে মে পর্যন্ত। প্রাথমিক সূচি অনুযায়ী, মোট ৬৮ দিনের টুর্নামেন্টে ম্যাচ হবে ৭৪টি। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা শুরুর দিকে এবং শেষ দিকে থাকতে পারবেন না। মাঝে ২৪ দিনের জন্য তারা পাবেন অনাপত্তিপত্র (এনওসি)। 

বিসিবি থেকে আয়োজকদের জানানো হয়েছে, বাংলাদেশর ক্রিকেটারদের পাওয়া যাবে স্বল্প সময়ের জন্য। কারণ জাতীয় দলের ওই সময়ে খেলা থাকবে। ফেব্রুয়ারির শেষ সপ্তাহে ইংল্যান্ড আসবে তিনটা ওয়ানডে ও তিনটি টি-টোয়েন্টি খেলতে। মার্চে আয়ারল্যান্ড আসবে এক টেস্ট ও তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি খেলতে। ফিরতি সফরে এপ্রিলের শেষ দিকে বাংলাদেশ আয়ারল্যান্ডে যাবে তিন ওয়ানডে ও চার টি-টোয়েন্টি খেলতে। বিসিবি থেকে বিসিসিআইকে পাঠানো ইমেইলে জানানো হয়েছে, ‘আইপিএলে আয়ারল্যান্ড সিরিজে নির্বাচিত খেলোয়াড়রা ৮ এপ্রিল থেকে ১ মে পর্যন্ত উন্মুক্ত থাকবে।’

মূলত আয়ারল্যান্ড সিরিজের জন্যই সাকিব, লিটনকে আইপিএলের পুরোটা সময় পাওয়া যাবে না। মোস্তাফিজুর রহমানের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা আবার ভিন্ন। দিল্লি ক্যাপিটালস বাংলাদেশের পেসারকে রিটেইন করেছে। তার টেস্টে খেলার সম্ভাবনা একেবারেই নেই। ফলে সাকিব-লিটনের চেয়ে কিছুটা সময় তাকে বেশি পাওয়া যাবে। 

লিটন ও সাকিবকে এবার ভিত্তিমূল্যে পেয়েছে কলকাতা। লিটনকে ৫০ লাখ রুপিতে এবং সাকিবকে দেড় কোটি রুপিতে দলে পায় আইপিএলের দুইবারের চ্যাম্পিয়নরা। কলকাতার হয়ে সাকিবের পারফরম্যান্স বেশি উজ্জ্বল। ৫৭ ম্যাচে তার উইকেট ৪৮টি। রান করেছেন ৫৯০, ফিফটি দুইটি।