খেলাধুলা

রিজওয়ান-মোসাদ্দেকে কুমিল্লার সহজ জয় 

লক্ষ্য বেশি ছিল না কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের সামনে। রান তাড়া করতে নেমে সেভাবেই দেখে-শুনে খেলে মোহাম্মদ রিজওয়ান-মোসাদ্দেক হোসেনের ব্যাটে ভর করে সহজে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নরা। 

মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় চট্টগ্রাম। দুই ফিফটিতে দলটি সংগ্রহ করে ৭ উইকেট ১৫৬ রান। টার্গেটে খেলতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ৬ বল হাতে রেখে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে কুমিল্লা।

শুরু থেকে একপ্রান্তে আগলে রাখেন রিজওয়ান। তবে ইনিংস শেষ করে আসতে পারেননি। ৪৭ বলে ৬১ রান করেন এই পাকিস্তানি। তার ইনিংসটি সাজানো ছিল ৫টি চার ও ২ ছয়ে।

রিজওয়ান আউট হয়ে গেলেও কুমিল্লাকে সমস্যায় পড়তে হয়নি। মোসাদ্দেক দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। ২৭ বলে ৩৭ রান করেন এই অলরাউন্ডার। ৭ বলে ১০ রানে অপরাজিত ছিলেন জাকের আলী অনিক।

চট্টগ্রামের হয়ে ২টি করে উইকেট নেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরী ও জিয়াউর রহমান।

এর আগে আফিফ হোসেন ধ্রুব ও উসমান খানের হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সকে ১৫৭ রানের লক্ষ্য দেয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স।

শূন্যরানে ওপেনার মেহেদী মারুফ ফেরার পর তিনে নামা খাজা নাফেও (২) আউট হয়ে গেলে আফিফ তৃতীয় ওভারে ব্যাটিংয়ে আসেন। ইনিংসের শেষ ওভারে গিয়ে সাজঘরে ফেরেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান।

যাওয়ার আগে ৪৯ বলে ৬টি চার ও ২টি ছয়ে ৬৬ রান করেন। ফিফটি করেন ৪০ বলে। ওপেনিংয়ে নামা উসমানকে সঙ্গে নিয়ে এগোতে থাকেন। উসমান ৪১ বলে ৫২ রান করে ফিরে গেলে আফিফ থাকেন শেষ ওভার পর্যন্ত। দুজনের তৃতীয় উইকেটের জুটিতে আসে ৮৮ রান।

শেষ দিকে ডারউইশ রাসুলি ঝড় তোলেন। মাত্র ৯ বলে ২১ রান করেন তিনি। হাঁকান দুটি ছয় ও ১টি চার। এ ছাড়া ১০ বলে ১২ রান করেন অধিনায়ক শুভাগত হোম।

কুমিল্লার হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট করে নেন তানভীর ইসলাম ও হাসান আলী। ১টি উইকেট নেন সৈকত আলী। মোস্তাফিজুর রহমান ছিলেন খরুচে। ৪ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে উইকেট শূন্য ছিলেন বাঁহাতি এই পেসার।

কুমিল্লার প্লে’অফ আগেই নিশ্চিত হয়ে গেছে। ১০ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১৪। অন্যদিকে সমান ম্যাচে চট্টগ্রামের জয় মাত্র ২টিতে। এর আগেরবার প্লে’অফ খেললেও এবার ছিটকে গেছে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।