খেলাধুলা

চট্টগ্রামকে স্রেফ উড়িয়ে দিলো রংপুর

নাঈম শেখ ও রনি তালুকদার শুরুতে আক্রমণ চালালেন। ভালো শুরুর পর দুজন ড্রেসিংরুমে ফিরলেও রংপুর রাইডার্সকে বিপদে পড়তে দেননি প্রথমবার মাঠে নামা রহমতউল্লাহ গুরবাজ।

গতকাল রাতে দলের সঙ্গে যোগ দিয়ে আজ মাঠে নেমেই স্রেফ এলোমেলো করে দিলেন চট্টগ্রামের বোলিং আক্রমণ। তাতে রংপুর পেয়ে গেল প্রত্যাশিত জয়। মিরপুরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের দেওয়া ১৩৩ রানের লক্ষ্য রংপুর ছুঁয়ে ফেলে ১৬ ওভারে, ৭ উইকেট হাতে রেখে।

রংপুরের জয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ার থেকে ছিটকেই গেল ফরচুন বরিশাল। ১৪ পয়েন্ট নিয়ে তাদের অবস্থান চারে। শেষ ম্যাচে তারা জিতলেও লাভ হচ্ছে না। কারণ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স ও রংপুর রাইডার্স শেষ ম্যাচে মুখোমুখি হবে। দুই দলেরই পয়েন্ট ১৪।

শুক্রবার দুপুরের ম্যাচে যারা জিতবে তারা ১৬ পয়েন্ট নিয়ে প্রথম কোয়ালিফায়ার খেলবে সিলেট স্ট্রাইকার্সের বিপক্ষে। ১৮ পয়েন্ট নিয়ে সিলেট এরই মধ্যে নিজেদের জায়গা সুরক্ষিত করেছে।

লক্ষ্য তাড়ায় নাঈম শেখ ১২ বলে ২০ রান করেন ৩ চার ও ১ ছক্কায়। রনি ২৭ বলে ২৮ রান করেন ৫ চারে। তবে ২২ গজে ঝড় তোলেন গুরবাজ। আফগানিস্তান ওপেনার ৩০ বলে ৪৬ রান করেন ৭ চার ও ১ ছক্কায়। নিহাদুজ্জামানের বলে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে ডানহাতি ব্যাটসম্যান স্টাম্পড হন। জয়ের বাকি কাজ সারেন নুরুল হাসান ও কাডমোর। সোহান ১৫ ও কাডমোরের ব্যাট থেকে আসে ২০ রান।

এর আগে, টস জিতে ব্যাটিং নিলেও চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানরা রান তুলতে পারেননি। টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান ড্রেসিংরুমে ফিরে যান ২৯ রানে। রান খরায় থাকা আফিফ হোসেন ১৫ রানের বেশি করতে পারেননি। প্রথমবার খেলতে নামা তৌফিক খান চেষ্টা চালিয়েছেন। কিন্তু ২৬ বলে ২৮ রানের বেশি করতে পারেননি।

আগের, ম্যাচের মতো চট্টগ্রামের দলকে টানেন জিয়াউর রহমান। ২৫ বলে ৩৩ রান আসে তার ব্যাট থেকে। ২ চার ও ৩ ছক্কায় সাজান ইনিংসটি। শেষ দিকে মৃত্যুঞ্জয়ের ১৭ ও বিশ্বকান্থের ১১ রানে ১৩২ রানের পুঁজি পায় চট্টগ্রাম। যা জয়ের জন্য একদমই যথেষ্ট ছিল না।

বল হাতে রংপুরের হয়ে দ্যুতি ছড়িয়েছেন হারিস রউফ ও রাকিবুল হাসান। রউফ ১৪ রানে ২ উইকেট নেন। রাকিবুল হাসান ২৬ রানে পেয়েছেন ২ উইকেট। ১টি করে উইকেট নেন আজমতউল্লাহ, হাসান মাহমুদ ও রিপন মন্ডল।

দারুণ জয়ে রংপুর শুধু টপ টুয়ে যাওয়ার লড়াইয়েও এগিয়ে থাকলো না, প্রতিযোগিতার শেষ দিকে এসে নিজেদেরকে আরো শক্তিশালী প্রমাণ করলো।