খেলাধুলা

টস জিতে বোলিং নেওয়া ঠিক ছিল, বোলাররা বাজে করেছে - বলেছেন তামিম

দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মিরপুরের উইকেট নিয়ে দুই অধিনায়ক ছিলেন দুই মেরুতে। বোলাররা সুবিধা পাবে ভেবে বাংলাদেশের অধিনায়ক তামিম বোলিংয়ে আগ্রহী ছিলেন। কিন্তু জস বাটলার ব‌্যাটিংয়ের জন‌্য উৎগ্রীব ছিলেন।

বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিমের হাতে ছিল সিদ্ধান্ত নেওয়ার এখতিয়ার। টস জিতে যে কারণে ফিল্ডিং নিলেন সেটি ভুল প্রমাণিত হলো। অন্যদিকে জস বাটলাররা ব‌্যাটিং করতে চেয়েছিলেন। ব‌্যাটিং পেয়ে তাদের মুখে যেমন হাসি ফুটেছিল, ম‌্যাচের শেষটাতে তা আরো চওড়া হয়েছে। কারণ বাংলাদেশকে তারা স্রেফ উড়িয়ে দিয়েছে।

ব্যাটিং করতে নেমে জেসন রয়ের সেঞ্চুরিতে (১৩২) ৩২৭ রানের লক্ষ্য দেয় ইংল্যান্ড। রান তাড়া করতে ১৯৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ১৩২ রানে হারের সঙ্গে সিরিজও খোয়ায় লাল সবুজের দল। 

উইকেট দেখে দুই অধিনায়কের দুই রকম চাওয়া কেন? ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নে তামিম নিজের সিদ্ধান্তের পক্ষে যুক্তি দেখিয়ে বলেছেন, ‘সিদ্ধান্ত সঠিক ছিল, কিন্তু বোলাররা পরিকল্পনামাফিক ভালো বোলিং করতে পারেননি।’ 

তার ভাষ‌্য,‘প্রতিপক্ষ অধিনায়ক কী বলেছে তা নিয়ে আমি একদমই চিন্তিত নই। সে হয়তো বলেছে আগে ব্যাট করতে চেয়েছিল। আমিও অনেক সময় টস হেরে এমন কথা বলেছি। এটি আমার কাছে তেমন চিন্তার কিছু নয়।’ 

নিজের সিদ্ধান্তের ব‌্যাখ‌্যাও দিয়েছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘আমি ও আমার ম্যানেজম্যান্টের মনে হয়েছে, উইকেট কিছুটা চিটচিটে এবং এটি তা-ই ছিল। তবে যতই চিটচিটে ভাব থাকুক অথবা সাহায্য থাকুক, আপনি ঠিক জায়গায় বোলিং না করেন তাহলে আপনার ওপর মার পড়বে।’

আগের দিনও একইরকম উইকেট ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাটিং নিয়ে সুবিধা করতে পারেনি। ২০৯ রান করে হারতে হয় ৩ উইকেটে। দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিংয়ের পরিবর্তে ফিল্ডিং নিলো। ইংল্যান্ড পিচ বুঝে তাদের সেরাটা নিংড়ে দিয়েছে। শুরুতেই দুই প্রান্ত থেকে স্পিন আক্রমণ করে বাংলাদেশ। কিন্তু সাকিব আল হাসান-তাইজুল ইসলামদের সাবলীলভাবে খেলে যান রয়-সল্টরা। বাংলাদেশ উইকেটের দেখা পায় তাসকিন আহমেদের করা পঞ্চম ওভারে। 

ফিল্ডিংয়ে খুব একটা সাফল্যের দেখা পায়নি বাংলাদেশ। যখন উইকেট এসেছে তখন বড্ড দেরি। বোলাররা রান দিয়েছেন হাত খুলে। লাইন-লেন্থ ঠিক রেখে বোলিং করতে পারেননি। তাসকিন শুরুতে আঁটসাঁট বোলিং করলেও শেষ দিকে এলোমেলো বোলিং করেন। 

মোস্তাফিজুর রহমান শুরু থেকেই ছিলেন খাপছাড়া। দুই বাঁহাতি স্পিনার সাকিব-তাইজুলেরও দিন ছিল না আজ। বোলিংয়ে চ্যালেঞ্জ তৈরি করতে পারেননি। আর মিরাজ উইকেটের দেখা পেলেও রান দিয়েছেন সর্বোচ্চ (৭৩)। একমাত্র তাইজুল (৫৮) ছাড়া বাকি বোলারদের রান ছিল ষাটের বেশি। 

তামিমের সহজ সরল স্বীকারোক্তি, ‘এর বেশি কিছু বলার নেই। আমরা ভালো বোলিং করিনি।’

ইংলিশ ব্যাটসম্যানরা যেন পুরো ইনিংস জুড়েই ছিলেন সাবলীল। জেসন রয়ের সেঞ্চুরির পর জস বাটলারের ফিফটি আর মঈন আলী-স্যাম কারানের ক্যামিওতে ৭ উইকেটে ৩২৬ রান করে ইংল্যান্ড। তামিম তাদেরও কৃতিত্ব দিতে ভুলেননি। 

‘ওরা যেভাবে খেলেছে, কৃতিত্ব দিতেই হবে। ওরা সুযোগ নিয়েছে। সুইপ খেলেছে, রিভার্স সুইপ খেলেছে। এগুলো কাজে লেগেছে। ওদেরকে কৃতিত্ব দিতে হবে।’