খেলাধুলা

পেসারদের সাফল্যে বাহবা কুড়াতে চান না ডোনাল্ড 

বল হাতে যেভাবে বাংলাদেশের পেসাররা প্রতিপক্ষের ব্যাটিং শিবিরে কাঁপন ধরিয়ে দিচ্ছেন, এক কথায় বলা যায় পেসারদের সোনালী সময় যাচ্ছে। তাসকিন আহমেদ-হাসান মাহমুদদের তোপ দাগানো বোলিংয়ের পেছনের মাস্টারমাইন্ড অ্যালান ডোনাল্ড।

গতবছর দক্ষিণ আফ্রিকা সফর থেকে টাইগারদের ডাগআউটে থাকছেন ডোনাল্ড। সেই সিরিজ থেকেই ধরা দিয়েছে সাফল্য। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে তাসকিন ফাইফার নেওয়ার ইতিহাস গড়েন। সেই যে পথচলা শুরু, ঘরের মাঠে স্পিনিং উইকেটেও বাংলাদেশের জয়ে পেসাররা রাখছেন দারুণ অবদান।

পেসারদের এমন সাফল্যের পেছনে গুরু ডোনাল্ডের অবদান অনস্বীকার্য। তবে সেটির কৃতিত্ব কিংবা বাহবা নিতে চান না দক্ষিণ আফ্রিকান এই কোচ।

‘কোচ হিসেবে আমরা এখানে বাহবা নিতে না, ইমপ্যাক্ট তৈরি করতে এসেছি। আমি অনেক সাক্ষাৎকারে বলেছি, এখানে শুধু একটা প্রোডাক্ট বিক্রি করতে পারেন। এরপর ক্রিকেটাররা সেটাতে বিশ্বাস করতে পারে অথবা অন্তত চেষ্টা করতে পারে এমনকি আগ্রহী নাও হতে পারে’ -সিলেটে সাংবাদিকদের এভাবেই বলছিলেন ডোনাল্ড।

ইংল্যান্ড সিরিজে তাসকিনের বোলিং ভড়কে গিয়েছিলেন জস বাটলারের মতো পরীক্ষিত ব্যাটসম্যানরা। তার বোলিং দেখেই অনুপ্রাণিত হয়ে পরে ঘুরে দাঁড়ান আর্চার-উডরা। ইংলিশদের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টিতে তিন পেসার নিয়েছেন ১০ উইকেট। সর্বোচ্চ ৪টি নেন তাসকিন। আর ওয়ানডেতে নিয়েছেন ৭ উইকেট। এখানেও তাসকিন নেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট। উইকেটের চেয়েও তাদের আগুণঝরা বোলিংয়ে চাপে পড়েছিলেন প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানরা।

আয়ারল্যান্ড সিরিজেও দাপট চলছে পেসারদের। সিলেটের ব্যাটিংবন্ধব উইকেটে এবাদত প্রথম ওয়ানডেতে নেনে ৪ উইকেট। ২ উইকেট নেন তাসকিন। বাকি ৪ উইকেট স্পিনারদের। এভাবে প্রতিটি সিরিজে পেসারদের এমন আগ্রাসী বোলিং দিচ্ছে পেস আক্রমণের সুদিন।

ডোনাল্ড বলেন, ‘এটা দেখা অসাধারণ যেভাবে আমরা প্রথম ম্যাচে বল করেছি। সবার ইমপ্যাক্ট ছিল, প্রশ্ন তৈরি করতে পেরেছি, সুযোগও বানিয়েছে। খুবই আনন্দিত এসব দেখে। আমাদের বলতে হবে এখানকার কিউরেটর খুব ভালো উইকেট দিয়েছে। এই উইকেটে পেস ও বাউন্স আছে, ধারাবাহিকভাবে ক্যারি করেছে, গতিও ছিল। এজন্য ব্যাটাররাও রান পাচ্ছে।’

সবশেষ ১০টি টেস্টে বাংলাদেশের পেসাররা নিয়েছেন ৫৪ উইকেট, ১০টি ওয়ানডেতে নিয়েছেন ৩৩টি উইকেট ও ১০টি টি-টোয়েন্টিতে নিয়েছেন ৩৭ উইকেট। প্রতিকূল কন্ডিশনে যেভাবে তারা পারফরম্যান্স করে যাচ্ছে তাতে খুশি ডোনাল্ড।

‘আমি যেটা বলছি, এটা দেখা অসাধারণ যেভাবে পুরো একটা গ্রুপের ছেলেরা...শুধু গত ম্যাচে যারা খেলেছে, তারাই নয়। এখানে যারা নেই তারাও। হাসান মাহমুদ, শরিফুল, খালেদ; সবাই এই যাত্রার অংশ। এটা খুবই ভালো লাগছে। এটা দেখা অসাধারণ যে নতুন এপ্রোচ ও ভাবনার সঙ্গে মানিয়ে নিয়েছি’ -এভাবেই বলেছেন তাসকিনদের পেস বোলিং কোচ।