খেলাধুলা

প্রথমবার পাকিস্তানকে ধরাশায়ী করলো আফগানিস্তান

২০১৩ সাল থেকে পাকিস্তানের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি খেলছে আফগানিস্তান। এর আগে কখনোই তাদের হারাতে পারেনি তারা। কিন্তু শুক্রবার রাতে শারজাহ ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তারা গড়লো নতুন ইতিহাস। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথমটায় পাকিস্তানকে হারিয়ে দিয়েছে ৬ উইকেটে। তাও আবার ১৩ বল হাতে রেখে!

এদিন টস জিতে ব্যাট করতে নেমে আফগানিস্তানের বোলারদের তোপের মুখে পড়ে পাকিস্তান। মোহাম্মদ নবী, মুজিব উর রহমান ও ফজল হক ফারুকির বলে দিশেহারা হয়ে যায় তারা। শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে মাত্র ৯২ রান তুলতে পারে শাদাব বাহিনী।

ব্যাট হাতে পাকিস্তানের মাত্র চারজন দুই অঙ্কের কোটায় রান পান। তাদের মধ্যে ইমাদ ওয়াসিম সর্বোচ্চ ১৮, সাইম আইয়ুব ১৭, তৈয়ব তাহির ১৬ ও শাদাব খান ১২ রান করেন।

আফগানিস্তানের ছয়জন বোলারের সবাই উইকেট নেন। তার মধ্যে ফারুকি ৪ ওভারে ১৩ রান দিয়ে ২টি, নবী ৩ ওভারে ১২ রানে ২টি ও মুজিব ৪ ওভারে মাত্র ৯ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। আর নাভিন-উল-হক, রশিদ খান ও আজমতউল্লাহ ওমরজাই ১টি করে উইকেট নেন।

রান তাড়া করতে নেমে অবশ্য আফগানিস্তানও সুবিধা করতে পারেনি। ৪৫ রান তুলতেই তারা হারিয়ে বসে ৪ উইকেট। ইব্রাহিম জাদরান ৯, গুলবাদিন নায়েব ০, রহমানুল্লাহ গুরবাজ ১৬ ও করিম জানাত ৭ রান করে আউট হন।

সেখান থেকে দলের হাল ধরেন মোহাম্মদ নবী ও নাজিবুল্লাহ জাদরান। তারা দুজন অবিচ্ছিন্ন ৫৩ রানের জুটি গড়ে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। নবী ৩৮ বলে ৩ চার ও ১ ছক্কায় অপরাজিত ৩৮ রান করেন। তার সঙ্গে নাজিবুল্লাহ ২৩ বলে ২ চারে করেন অপরাজিত ১৭ রান।

পাকিস্তানের ইহসানউল্লাহ ১৭ রান দিয়ে ২টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন নাসিম শাহ ও ইমাদ ওয়াসিম।

বল হাতে ১২ রান দিয়ে ২ উইকেট ও ব্যাট হাতে অপরাজিত ৩৮ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচসেরা হন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর দলে ফেরা ৩৮ বছর বয়সী মোহাম্মদ নবী।