খেলাধুলা

লিটনের অফুরন্ত ব‌্যাটিংয়ে কীসের বার্তা?

চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামের উত্তর পাশের নেটে যখন ব‌্যাটিং করছিলেন লিটন দাস, সূর্য তখন পূব আকাশ থেকে পশ্চিমের পথে। সরাসরি আলো চোখে এসে পড়ছিল বলেই সানগ্লাস পড়ে অনুশীলনে লিটন।

এমন দৃশ‌্য সচরাচর দেখা যায় না অনুশীলনে। কিন্তু, চোখে সানগ্লাস নিয়েও লিটনের ব‌্যাট দিব‌্যি ছুটল। দৃষ্টিনন্দন কাভার ড্রাইভ, লেন্থ বল সাজোরে স্ট্রেইট ড্রাইভ, জায়গায় দাঁড়িয়ে স্পিনারদের পুল খেলেছেন স্বাচ্ছন্দ‌্যে।

ব‌্যতিক্রমী কিছু করার চেষ্টাতেও ছিলেন ডানহাতি ব‌্যাটার। প্রথমত, দুপুর ২টায় শুরু হওয়া অনুশীলনে আজ সবচেয়ে বেশি ব‌্যাটিং করেছেন। দ্বিতীয়ত, হেলিকপ্টার শট খেলার চেষ্টা। নেটে নেমে আজ অফুরন্ত ব‌্যাটিং করেছেন লিটন। সচরাচর দেখা যায়, অনুশীলনে তার যতটুকুর প্রয়োজন হয়, তার চেয়ে বেশি সময় দেন না। অথচ, রানে থাকা লিটন আজ ব‌্যাটিং করলেন সারা দিন। কখনো ড্রেসিংরুমের পাশের নেটে, কখনো মিডিয়া বক্সের কাছের নেটে। বোলার ও থ্রো-ডাউন খেলা শেষে বোলিং মেশিন নিয়ে গ্রানাইট স্লাবেও ব‌্যাটিং করতে দেখা গেছে তাকে।

অনুশীলন শেষ করেছেন সেন্টার উইকেটে ফ্রি শট খেলে। সিডন্সের হাওয়ায় ভাসানো বল দৃষ্টিসীমানার বাইরে পাঠিয়েছেন কয়েকবার। আর প্রায় ইয়র্কার ও ফুলটস ডেলিভারিতে হেলিকপ্টার শট খেলার চেষ্টা ছিল নিয়মিত। কখনো সফল হয়েছেন, কখনো নিজের ওপর বিরক্ত। তাতে অনুশীলন থামেনি। সব ব‌্যাটসম‌্যান-বোলার যখন ড্রেসিংরুমে, তখনও লিটনের অনুশীলন থামছিল না!

কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের সঙ্গে তাকে দীর্ঘক্ষণ কথা বলতেও দেখা গেছে। হাথুরুসিংহে বারবার তার কোমড়ের পজিশন শুধরে দিচ্ছিলেন। সঙ্গে ব‌্যাকলিফট নিয়েও কথা বলতে দেখা গেছে। ব‌্যাটিংয়ের সময় তাকে ব‌্যাট নাড়াতে দেখা যায় না। হাথুরুসিংহে তাকে ব‌্যাট নাড়ানোর কথা বলছিলেন বলেই মনে হলো।

নতুন কোনো লক্ষ‌্য ঠিক করেই হয়ত নতুন মিশনে লিটন। তার এই কঠোর পরিশ্রম বলে দিচ্ছে, সামনে বড় থেকে বড় কিছুই হয়ত আসছে। আর তার ব‌্যাট হাসলেই হাসবে বাংলাদেশও।