ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগে (ডিপিডিসিএল) সব দল হারের স্বাদ পেলেও আবাহনী লিমিটেডের জয়রথ ছুটছিল। অবশেষে নবম রাউন্ডে এসে প্রথম হারের স্বাদ পেলো ঐতিহ্যবাহী ক্লাবটি।
মিরপুরে শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সোমবার (১০ এপ্রিল) আবাহনীকে ৪ উইকেটে হারিয়েছে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব।
টস জিতে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেটে ২৫০ রান করে আবাহনী। রান তাড়া করতে নেমে ৬ উইকেট হারিয়ে ৪৯.১ ওভারে লক্ষ্যে পৌঁছে যায় শেখ জামাল।
তৌহিদ হৃদয়-তাইবুর রহমানের ফিফটিতে জয়ের ভিত পায় শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব। ৭৭ বলে ৫টি চার ও ১টি ছয়ে ৭২ রান করেন হৃদয়। ফিফটি করেন ৫৪ বলে। অন্যদিকে, ৮৭ বলে ফিফটি করা তাইবুর থামেন ৬৩ রানে। ১০০ বলে ৪টি চারের মারে এ রান করেন তাইবুর। এছাড়া, সাইফ হাসান ৩৯ ও ফজলে মাহমুদ রাব্বি ৩৮ রান করেন। নুরুল হাসান সোহান ২০ ও পারভেজ রসুল ২ রানে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। আবাহনীর হয়ে ২টি করে উইকেট নেন রাকিবুল হাসান ও দানিশ আজিজ। ১টি করে উইকেট নেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও আফিফ হোসেন ধ্রুব।
এর আগে জাকের আলী অনিক ও নাঈম শেখের ফিফটিতে স্কোরবোর্ডে ২৫০ রানের পুঁজি গড়ে আবাহনী। ১১৯ বলে সর্বোচ্চ ৭৯ রান করেন জাকের। ৬টি চারে তার ধীরগতির ইনিংসটি সাজানো ছিল।
এনামুল হক বিজয় রানের দেখা না পেলেও এক প্রান্তে ঝড়ো ব্যাটিং করেন নাঈম শেখ। মাত্র ৪২ বলে ফিফটি করেছেন এই বাঁহাতি ওপেনার। শেষ পর্যন্ত ৪৬ বলে ৫৮ রান করে ফেরেন সাজঘরে।
আয়ারল্যান্ড সিরিজের পর এই প্রথম ঢাকা লিগে খেলতে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত ২১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। এছাড়া আর কোনো ব্যাটসম্যান বিশের বেশি রান করতে পারেননি।
শেখ জামালের হয়ে বাঁহাতি স্পিনার আরিফ আহমেদ সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন। এছাড়া, ইবাদত হোসেন ও মৃত্যুঞ্জয় ২টি করে উইকেট নেন। ফিফটির পাশাপাশি ১টি উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হন তাইবুর।
নবম রাউন্ড শেষে একটি হারে রানরেটে এগিয়ে থেকে শীর্ষে আছে আবাহনী। সমান ম্যাচে এক হারে শেখ জামালের অবস্থান দ্বিতীয় স্থানে।