ঘরের মাঠে শোচনীয় সেই পরাজয়ের সাক্ষী হতে হয়নি তামিম ইকবালকে।
২০১৯ সালের কথা। আফগানিস্তানের বিপক্ষে চট্টগ্রামে টেস্টে মুখোমুখি বাংলাদেশ। চোটে ঘরের ছেলের খেলা হয়নি। তাতে সাদা পোশাকে একটি পরাজয়ের গ্লানি থেকে নিশ্চিত মুক্তি পেয়েছেন বাঁহাতি ওপেনার। প্রতিপক্ষের মাটিতে রশিদ খান, মোহাম্মদ নবীরা যেভাবে বাংলাদেশকে নাস্তানাবুদ করেছে তা কল্পনাতীত ছিল। অথচ নিজেদের ডেরায় স্বাগতিক সব সুবিধা নিয়েও তালগোল পাকানো পারফরম্যান্স করে বাংলাদেশ।
চার বছর পর আবার আফগানিস্তানকে আতিথেয়তা দিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এবারের আফগানিস্তান আরো শক্তিধর, আরো পরিণত। এমন একটি দলের বিপক্ষে খেলা কোনোভাবেই সহজ হবে না তা আগেভাগে জানিয়ে রাখলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক।
১৪ জুন দুই দল মিরপুরে টেস্ট ম্যাচে মুখোমুখি হবে। জুলাইয়ে খেলবে তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি সিরিজ। সব ফরম্যাট মিলিয়েই আফগানিস্তানকে কঠিন প্রতিপক্ষ মানছেন তামিম। এক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তামিম গণমাধ্যমে বলেছেন, ‘আমাদের তিন বিভাগেই পারফরম্যান্স নিশ্চিত করতে হবে। এটা বাংলাদেশের জন্য কঠিন সিরিজ হবে। কারণ তাদের মানসম্পন্ন বোলিং আক্রমণ রয়েছে। আশা করি আমরা ভালো করে প্রস্তুত হবো। আমরা টেস্ট দিয়ে শুরু করছি। এরপর মাঝখানে ওয়ানডের জন্য প্রস্তুতি নেব। এখন আমরা মূলত টেস্ট নিয়েই চিন্তা করছি।’
আফগানিস্তান সিরিজের ক্যাম্প শুরু হয়েছে গত সপ্তাহ থেকে। প্রচণ্ড গরমে ক্রিকেটাররা স্কিলের পাশাপাশি ফিটনেস নিয়ে কাজ করেছেন। জাতীয় দলের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে আজ ঢাকায় পৌঁছবেন। কাল থেকেই শুরু হবে মূল ট্রেনিং। প্রস্তুতিতে নিজেদের সর্বোচ্চ ঝালিয়ে নেওয়ার গুরুত্ব দিচ্ছেন তামিম।
‘পাঁচ-ছয় দিন ধরে আমরা অনুশীলনের মধ্যে আছি। অনেক গরম, এর মধ্যেও আমরা অনুশীলন করছি। প্রচণ্ড কষ্ট করছে সবাই। এই একটা ক্যাম্পে সাধারণত আমরা ফিটনেসে অনেক নজর দিই। ফিটনেসে অসম্ভব গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। সঙ্গে ব্যাটিং-বোলিং তো আছেই।’
‘আমার মনে হয়ে প্রধান কোচ এসে যাবেন ৩ বা ৪ জুন। তখন থেকে আমরা মূলত স্কিল ক্যাম্পে চলে যাবে। আফগানিস্তান সিরিজ নিয়ে আমার এটাই বলার আছে, এটা সবসময় ইন্টারেস্টিং সিরিজ, আমার কাছে মনে হয়। আফগানিস্তান মানসম্পন্ন দল। তাদের পারফরম্যান্স দেখেছেন (শ্রীলঙ্কাকে হারিয়েছে)।’- যোগ করেন তামিম।