খেলাধুলা

মুশফিক শূন্য, শান্ত ৩১, নাঈমের হ্যাটট্রিক 

প্রায় সপ্তাহ খানেক ছুটি কাটিয়ে জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) দিয়ে খেলায় ফেরেন মুশফিকুর রহিম ও নাজমুল হোসেন শান্তসহ বিশ্বকাপ দলে থাকা একঝাঁক ক্রিকেটার। তবে প্রথম দিন ভালো কাটেনি মুশফিক-শান্তদের। অন্যদিকে হ্যাটট্রিক করেছেন স্পিনার নাঈম হাসান। 

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে শনিবার (১৮ নভেম্বর) মুখোমুখি হয় চট্টগ্রাম-রাজশাহী। টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে রাজশাহী ১৮৯ রানে অলআউট হয়। ব্যাটিং করতে নেমে ২ উইকেটে ৮৯ রানে দিন শেষ করে চট্টগ্রাম। এখনো ১১৭ রানে পিছিয়ে আছে তারা। ইরফান শুক্কুর ২২ ও সাব্বির হোসেন ২১ রানে ক্রিজে আছেন। 

এর আগে শান্তর নেতৃত্বে রাজশাহী দুইশ রানও করতে পারেনি। বিশ্বকাপ খেলা ওপেনার তানজীদ হাসান ফেরেন মাত্র ১০ রানে। আরেক ওপেনার সাব্বির হোসেনের ব্যাট থেকে আসে সর্বোচ্চ ৭৩ রান। তিনে নামা শান্ত ৩১ রান করলেও মুশফিক ফেরেন শূন্য রানে।

শেষ দিকে একাই দলের হাল ধরেন প্রীতম কুমার। তার ব্যাট থেকে আসে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৭ রান। সানজামুল ইসলাম করেন ১৬ রান। আর কেউ দুই অঙ্কের মুখ দেখেননি। নাঈমের হ্যাটট্রিকে শেষ হয়ে যায় রাজশাহীর ইনিংস।

৪৭ তম ওভারের শেষ বলে মোহর শেখকে (৬) এলবিডব্লিউ করে ফেরান নাঈম। এরপর ৪৯তম ওভারে বোলিংয়ে এসে প্রথম দুই বলে সাকলাইন সজীব-নাহিদ রানাকে বোল্ড করে সাজঘরে পাঠেন এই স্পিনার। সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন হাসান মুরাদ। আর বিশ্বকাপ খেলে আসা পেসার হাসান মাহমুদ নেন ৩ উইকেট। 

শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে টস হেরে খুলনার বিপক্ষে ব্যাটিং করতে নেমে বরিশাল ২৩৯ রানে অলআউট হয়। জবাবে ১৬ রানে কোনো উইকেট না হারিয়ে দিন শেষ করে খুলনা। এনামুল হক বিজয় ১১ ও প্রান্তিক নওরোজ নাবিল ৫ রানে অপরাজিত আছেন। তাদের প্রয়োজন এখনো ২২৩ রান। 

এর আগে ব্যাটিং করতে নেমে ধসের মুখে পড়ে বরিশাল। মাত্র ৯২ রানে হারিয়ে ফেলে ৮ উইকেট। এরপর দুই জুটিতে লড়াকু স্কোর করতে পারে তারা। নবম জুটিতে কামরুল ইসলাম রাব্বি-রুয়েল মিয়ার জুটিতে ৩৬ রান আসে। আর তানভীরকে সঙ্গে নিয়ে শেষ জুটিতে রাব্বি যোগ করেন ১১১ রান! রাব্বি ৬১ রান করে আউট হলেও তানভীর ৬৪ রানে অপরাজিত ছিলেন। বিশ্বকাপ খেলা শেখ মেহেদী হাসান নেন সর্বোচ্চ ৪ উইকেট। ২ উইকেট নেন আওলাদ হোসেন। 

শহীদ চান্দু স্টেডিয়ামে রংপুরের বিপক্ষে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে মাত্র ১২৫ রানে অলআউট হয় সিলেট। জবাবে রংপুর খেলেতে নেমে ১২৪ রান তুলতে হারিয়ে ফেলে ৬ উইকেট। সর্বোচ্চ ৩৪ রান নিয়ে মাহমুদুল হাসান ও ১১ রানে নিহাদ উজ জামান অপরাজিত আছেন। ৩৩ রানে আউট হন তানভীর হায়দার। সিলেটের হয়ে আবু জায়েদ রাহী নেন সর্বোচ্চ ৩ উইকেট। 

ব্যাট হাতে সিলেটের ব্যাটাররা কোনো লড়াই করতে পারেনি। ৩২ রানে অপরাজিত ছিলেন নাসুম আহমেদ। এ ছাড়া অমিত হাসান ৩২, জাকির হাসান ১৯ ও জাকের আলী অনিক ১০ রান করেন। রংপুরের হয়ে সর্বোচ্চ ৪ উইকেট নেন আব্দুল গাফফার শাকলাইন। ২ উইকেট করে নেন আসাদুল্লাহ হিল গালিব ও আবুদল্লাহ আল মামুন।