খেলাধুলা

রান না পাওয়ার আফসোসে পুড়েছেন লিটন 

স্ট্যাম্পে করা মোহাম্মদ নাওয়াজের বল। ব্যাক ফুটে গিয়ে পুল করলেন লিটন দাস। ছক্কা! আবারও স্ট্যাম্পে করা নাওয়াজের শর্ট বল, এবারও আগের শটের কপি। ফল, ছক্কা! পরপর দুই ছয়ের আগেও লিটন দুটি ছক্কা হাঁকিয়েছেন। হ্যারিকেন দিয়ে রানের খোঁজে থাকা লিটনের ব্যাটে এমন নান্দনিক শট যেন দিয়ে রেখেছে ফেরার বার্তাও।

খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে বুধবার (৭ ফেব্রুয়ারি) ৩০ বলে ৪৫ রানের ইনিংস খেলেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের অধিনায়ক লিটন। তার ব্যাটে ভর করে কুমিল্লা ১৫০ রানের লক্ষ্য দেয়। তাড়া করতে নেমে ১১৫ রানে থামে খুলনার ইনিংস।

পাঁচ ম্যাচ পর হেসেছে লিটনের ব্যাট। আজকের আগে সব মিলিয়ে লিটনের রান ছিল ৩৭! তার মধ্যে এক ম্যাচে ফেরেন শূন্যরানে, আর দুই ম্যাচে পেরোতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘর। ষষ্ঠ ম্যাচে এসে রানের দেখা পাওয়া স্বস্তি দিচ্ছে কী না?

সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নে লিটনের উত্তর, ‘রিলিফ...ব্যাটার হিসেবে আমার কাজ রান করা। প্রথম পাঁচ ম্যাচে করতে পারিনি। আফসোস ছিল আমি যে ধরনের খেলোয়াড় সে হিসেবে রান করতে পারিনি। এখনও আমার উন্নতির জায়গা আছে। লম্বা টুর্নামেন্ট, অনেকগুলো ম্যাচ বাকি। দলও চায় যেন আমি রান করি।’

লিটন রান না পাওয়ায় শুরু হয় সমালোচনা। কুমিল্লার কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিনকেও এই নিয়ে মুখ খুলতে হয়েছে বার কয়েক। একে ক্যাপ্টেন, সঙ্গে রান পাচ্ছেন না, প্রশ্ন ওঠারই কথা ছিল। তবে সালাউদ্দিন জানিয়েছিলেন তার প্রতি আস্থার কথা। লিটনও চাপ হিসেবে নেননি!

‘আমার কাছে চাপ হিসেবে আসেনি (রান না পাওয়া)। কারণ, দল আমাকে চাপ দেয়নি। দ্বিতীয়ত আমি জানি এটা লম্বা টুর্নামেন্ট, একটা ম্যাচই লাগে একটা ব্যাটারের রানে ফেরার জন্য, মোমেন্টাম চেঞ্জ করতে।’

অল্পের জন্য ফিফটি পাননি এই ব্যাটার। পাঁচ রান দূরে থেকে ফেরেন সাজঘরে। এই নিয়ে তার কোনো আফসোস নেই, সামনে কীভাবে এই ফর্ম ধরে রাখা যায় এই চেষ্টা করবেন লিটন।

‘দেখেন আমি কখনই পঞ্চাশের জন্য খেলি না। আমার কাছে মনে হয় না একটা পঞ্চাশ হলেই লিটন দাস বদলে যাব, না হলে বদলে যাব না। আমার কাছে আফসোস এটাই ছিল দুজন মিলে আলাপ করছিলাম পানি পানের বিরতির পরের ওভার নরমাল খেললে কীভাবে পরের ওভার থেকে আক্রমণে যাওয়া যায়। ওই ওভার যদি খেলে ফেলতাম তাহলে পরের ওভার থেকে ফ্রি হিট গেইম থাকত। পরেরবার এমন হলে চেষ্টা করব কন্টিনিউ করার।’