খেলাধুলা

তামিম-লিটনকে ছাড়াই আহসান মঞ্জিলে বিপিএল ফাইনালের ফটোসেশন 

ঘড়ির কাঁটায় দশটার আগেই গণমাধ্যম কর্মীরা হাজির পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী আহসান মঞ্জিলে। কিন্তু যথাসময়ে দেখা মেলেনি বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) ফাইনালে ওঠা দুই দলের কাউকে কিংবা কর্তৃপক্ষের কেউ। প্রায় এক ঘণ্টা দেরিতে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের গাড়িতে হাজির হন কুমিল্লা ও ফরচুন বরিশালের দুজন ক্রিকেটার। 

ফাইনালের ফটো সেশনে অলিখিত নিয়ম হিসেবে উপস্থিত থাকেন দুই অধিনায়ক। কিন্তু বিপিএল বলে কথা। কুমিল্লা থেকে আসেন জাকের আলী অনিক আর বরিশালের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। অথচ সবার প্রত্যাশা ছিল দুই অধিনায়ক লিটন দাস কিংবা তামিম ইকবাল ট্রফি উন্মোচন করবেন।  মিরাজ-অনিকরা এসে প্রথমে সম্প্রচার প্রতিষ্ঠানের হয়ে শুটিং করেন এরপর অংশগ্রহণ করেন ফটোসেশনে। 

বৃহস্পতিবার সকালে বিপিএল ট্রফি উন্মোচন হয়। ফাইনালে ট্রফির লড়াইয়ে লড়বে কুমিল্লা-বরিশাল। এই নিয়ে পঞ্চম বার ফাইনালে উঠেছে চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা। অন্যদিকে বরিশালের এটা দ্বিতীয় ফাইনাল। প্রথম কোয়ালিফায়ারে রংপুর রাইডার্স কে হারিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করেছে লিটন দাসের দল। আর এলিমেনিটরে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে হারিয়ে দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রংপুরকে পরাজিত করে ফাইনাল নিশ্চিত করে বরিশাল। 

কুমিল্লা চারবার ফাইনালে উঠে চারবারই শিরোপা জিতেছে। ফাইনাল হারের তিক্ত অভিজ্ঞতা তাদের নেই। তবে কখনো হারেনি বলে যে সামনে হারবে না এমন কথা বিশ্বাস করতে চান না বরিশালের অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম। নিজের ও বরিশালের প্রথম শিরোপার অপেক্ষা মুশফিক এবারের আসরের ঘুচাতে চান। 

দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে রংপুরকে হারিয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসে মুশফিক বলেন, ‘দেখা যাক, আমার তো ইচ্ছা আছে (প্রথমবার ট্রফি জয়ের)। সবারই তো ইচ্ছা থাকে, বাকিটা ওপরওয়ালার ইচ্ছা। এত দূর এসেছি… চেষ্টা থাকবে যেন চ্যাম্পিয়নশিপটা নিতে পারি। কুমিল্লা কখনও হারেনি ফাইনালে। কে জানে, হয়তো এবারই প্রথম হারবে!’

শুক্রবার সন্ধ্যায় মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফাইনালের লড়াই অনুষ্ঠিত হবে। ফাইনাল নিয়ে এবার বিপিএল কর্তৃপক্ষের বাড়তি কোন আয়োজন নাই। সাদামাটা লেজার শো দিয়ে দেশের সবচেয়ে বড় ফ্র‍্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক এই লীগের আয়োজন শেষ করবে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।