বাংলায় একটা প্রবাদ চালু আছে- চোরের মা’র বড় গলা। আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ভারত দলকে দেখলে সেই ব্যাপারটাই অবচেতন মনে চলে আসে। না, ভারত অবশ্য কোন চুরি কিংবা দূর্নীতি করেনি। তবে আইসিসির কাছ থেকে পেয়েছ কোন ভ্রমণ না করে একই ভেন্যুতে খেলার অবাধ সুবিধা। যেখানে ফাইনালে তাদের প্রতিপক্ষ নিউ জিউল্যান্ড ভ্রমণ করেছে ৭০০০ কিলিমিটার। তবে এই ব্যাপরটা সংবাদ সম্মেলনে আসলেই ‘তেলে-বেগুনে জ্বলে ওঠে’ ভারতীয় দলের অফিশায়ালরা।
প্রথম সেমি ফাইনালে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর পর সংবাদ সম্মেলনে সুবিধা পাওয়ার প্রসঙ্গ ওঠায়, ভারতের হেড কোচ গৌতম গাম্ভীর তো রীতিমত ক্ষেপে গিয়েছিলেন সাংবাদিকদের ওপর। এবার একই সুরে কথা বললেন দলটির ব্যাটিং কোচ সিতানশু কোটাক। অস্বীকার করলেন ভারতের বাড়তি সুবিধা পাওয়ার ব্যাপারটি। বললেন তারা টানা ৪ ম্যাচ জিতেছে বলেই এমন আলোচনা হচ্ছে!
প্রতিপক্ষ দলগুলোও এই ব্যাপারে খোলামেলা কথা বলেছে। অনেকে এমনও বলেছে যে, টুর্নামেন্টের সূচি ভারতকে সুবিধা দিতে প্রস্তুত করা হয়। তবে অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং প্রধান কোচ গৌতম গম্ভীর ইতিমধ্যেই এসব দাবি অস্বীকার করেছেন। বলছেন এটি তাদের বাড়ি নয় এবং তারা এই অবস্থায় নতুন!
এবার সেই সুরে ব্যাটিং কোচ সিতানশু বলেন, “আমি বুঝতে পারি না, কী ধরনের সুবিধা লাভ করা হয়েছে। কোনো ধরনের সুবিধা পাওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। আমরা খেলা সমানভাবে খেলেছি। ভারত পরপর চারটি ম্যাচ জিতেছে এই কারণে যদি মানুষ মনে করে এটা একটি সুবিধা, তাহলে আমি জানি না কী বলতে হবে। শেষ পর্যন্ত আপনাকে প্রতিদিন ভালো ক্রিকেট খেলতে হবে যখন আপনি মাঠে নামবেন।”
কোটাক আরও যোগ করেন, “আমরা এখানে আইসিসি একাডেমিতে অনুশীলন করছি এবং সেখানে ডিআইসিএস-এ ম্যাচ খেলছি। আমরা তখন স্পষ্টতই আলাদা উইকেটে অনুশীলন করছি। সুতরাং, একমাত্র বিষয় হলো আমরা দুবাই খেলেছি। কিন্তু এটাই তো ড্রয়ের বিষয়। এটা এমন নয় যে, এখানে এসে তারা (আইসিসি) কিছু বদলেছে এবং আমরা সুবিধা পেয়েছি।”
ভারত রবিবার (৯ মার্চ, ২০২৫) নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে নামবে দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।