খেলাধুলা

নিউ জিল্যান্ডের প্রেরণা নাইরোবির স্মৃতি

নিউ জিল্যান্ড-ভারতের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে পর্দা নামতে যাচ্ছে আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি ২০২৫ এর। সন্দেহাতীতভাবেই আসরের সেরা দুটি দলই খেলবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ। রবিবার বেলা ৩টায় দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুরু হবে এই মহারণ।

ভারত এবারের আসরে নিরাপত্তার অজুহাতে আয়োজক পাকিস্তানে গিয়ে খেলেনি। আইসিসির কাছ থেকে বরাবরই বাড়তি সুবিধা পাওয়া দলটি আসরের প্রতিটি ম্যাচই খেলার সুবিধা পাচ্ছে একই ভেন্যুতে। হোটেল আর স্টেডিয়াম ছাড়া রোহিত শর্মার দলকে পোহাতে হচ্ছে না অন্য কোন ভ্রমণ ঝাঁকি। তাছাড়া ৫টি ম্যাচের কন্ডিশন একই জেনে, তারা স্কোয়াডে ৫ জন বিশেষজ্ঞ স্পিনার নিয়ে আসার বিলাসিতা দেখাতে পেরেছে।

অন্যদিকে ফাইনালের আরেক দল নিউ জিল্যান্ড এবারের আসরে বাকি ৭ দলের তুলনায় সবচেয়ে বেশি ভ্রমণ করেছে। আসরে তারা এখন পর্যন্ত তাদের ৪ ম্যাচ খেলেছে ভিন্ন ৪ ভেন্যুতে! কিউরা ভ্রমণ করেছে ৭০০০ কিলোমিটার!

নিউ জিল্যান্ড আসর শুরু করেছিল স্বাগতিক পাকিস্তানকে ৬০ রানে হারিয়ে। এরপর স্বাছন্দ্যেই বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫ উইকেট ও ২৩ বল হারে রেখে জেতে তারা। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে অবশ্য ভারতের বিপক্ষে ৪৪ রানে হেরে সেই ছন্দে ছেদ পড়ে দলটির। তবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে সেমি ফাইনালে ৫০ রানের বিশাল ব্যবধানে হারায় মিচেল স্যান্টনারের দল। এই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে কিউইরা স্কোরবোর্ডে পাহাড়সম ৩৬২ রান জড় করেছিল।

এই আসরে এখন পর্যন্ত ৫টি সেঞ্চুরি করেছে নিউ জিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। যার মাঝে আছেন, উইল উয়ং, টম ল্যাথাম, কেন উইলিয়ামসন ও রাচিন রাবীন্দ্র। অলরাউন্ডার রাচিনের শতক আবার দুটি।

অন্যদিকে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে টিম ইন্ডিয়ার সবচেয়ে উজ্জ্বল দুই ব্যাটসম্যানের নাম বিরাট কোহলি ও শুবমান গিল। দুজনেই পেয়েছেন সেঞ্চুরির দেখা। তবে আসরে শতভাগ জয় পাওয়া ভারতের মূল অস্ত্র তাদের স্পিন। কেবল বাংলাদেশ ছাড়া এই ঘূর্ণি বিষেই প্রতিপক্ষকে প্রতিবার ঘায়েল করেছে রোহিতের দল।

ভারত দলে চার জন বিশেষজ্ঞ স্পিনার খেলছে এই আসরে। প্রতিপক্ষ নিউ জিল্যান্ড শিবিরেও স্পিনারের সংখ্যা সমান চার জন। তবে স্যান্টনার ও মাইকেল ব্রেসওয়েল ছাড়া বাকিরা খন্ডকালীন হাত ঘুড়ায়। তবে পার্টটাইমার হলেও রাচিন আর গ্লেন ফিলিপস প্রয়োজনে দশ ওভারের কোটা পূরন করতে পারেন।

এই আসরে ভারতের পর সবচেয়ে শক্তিশালী স্পিন ডিপার্টমেন্টটা নিউ জিল্যান্ডেরই। তাই দুবাইয়ের ‘স্লো এবং লো’ উইকেটে কেউ যদি টিম ইন্ডিয়াকে হারাতে পারে তবে সেটা নিউ জিল্যান্ড।

এই দুই দলের এখন পর্যন্ত ১১৯ মোকাবেলায় ৬১ ম্যাচ জিতে এগিয়ে আছে ভারত। তবে ৫০ জয়ে খুব একটা পিছিয়ে নেই নিউ জিল্যান্ড। অন্যদিকে ৭ ম্যাচ পরিত্যাক্ত হয়েছিল; অমিমাংসীত ছিল ১ ম্যাচ।

ফাইনালের আগে কিউদের অনুপ্রেরণা হতে পারে শতাব্দীর প্রথম আইসিসির বৈশ্বিক আসরটি। কেনিয়ার নাইরোবিতে ২০০০ সালে চ্যাম্পিয়নস ট্রফির দ্বিতীয় আসর বসেছিল। সেবার ফাইনালে এই ভারতকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল তারা। এখন পর্যন্ত যেটি তাদের একমাত্র আইসিসি শিরোপা।