ক্রীড়া ডেস্ক : রাজ্যের যত চাপ নেইমারের ওপর। দ্বিতীয় মেয়াদে ব্রাজিল জাতীয় দলের দায়িত্ব নেওয়ার পর কার্লোস দুঙ্গার সামনেও উঠে আসছে নেইমার প্রসঙ্গ। প্রাণভোমরাকে সঠিক ব্যবহার করাই এখন তার প্রধান দায়িত্ব। কেননা নেইমার পারেন ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে। পারেন দলের স্প্রিট বাড়িয়ে দিতেও। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপে নেইমারকে সঠিক স্থানে ব্যবহার করতে পারেননি স্কলারি। যে কারণে বার্সেলোনা ফরোয়ার্ডের থেকে সেরাটা বের করে আনতে পারেননি সদ্য সাবেক কোচ। ব্রাজিল দলে ফলস নাইনে খেলতেন পেলে। তাই দুঙ্গাও চাইছেন, নেইমারও সেই পজিশনে খেলাতে। এক সংবাদ সম্মেলনে নেইমারকে নিয়ে করা মন্তব্যের পক্ষে যুক্তি দেখিয়েছেন কার্লোস দুঙ্গা, ‘আধুনিক ফুটবল বৈচিত্রময়। মাঠে নেমে অনেক কিছু করতে হয়। স্ট্রাইকারকে যদি একটা নির্দিষ্ট জায়গায় বেঁধে দেওয়া হয়, তা হলে সে কিছু টুর্নামেন্টে ভালো করতে পারে। কিন্তু সব টুর্নামেন্টে নয়। পেনাল্টি বক্সের বাইরেও নড়াচড়া জরুরি। নিজের জন্য জায়গা তৈরি করে নিতে হয়। নেইমারকে ফলস নাইন হিসেবে ব্যবহার করলে ভালো হয়। তা হলেই জাতীয় দলের হয়ে সে সেরাটা দিতে পারবে।’বিশ্বকাপে ভালো খেলতে হলে জাতীয় দলের হয়ে অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। দু’চারটি ম্যাচ খেলে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হওয়ার আসরে ভালো করা যায় না। এ বিষয়ে দুঙ্গা বলেন, ‘কিছু খেলোয়াড়র আছে, যারা ১৭-১৮ বছর বয়সে বাইরের ক্লাবে খেলতে চলে গেছে। জাতীয় দলের হয়ে খেলেনি। ফলে অভিজ্ঞতা নেই। নিজের সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণাও নেই। যার খেসারতই দিতে হয়েছে জাতীয় দলকে। ’নেইমারকে দলের সেরা খেলোয়াড় মেনেই তার পজিশন ঠিক করে দিতে হবে। তাহলে সাবলিলভাবে খেলতে পারবেন বাইশের মহাতারকা। কার্লোস দুঙ্গার ভাষ্যে ফুটে উঠেছে সেটাই, ‘নেইমার ব্রাজিলের সেরা খেলোয়াড়, এতে সন্দেহ নেই। তাই তাকে সেরা জায়গাতেই খেলানো উচিত। বাকিরা ওকে দেখে শিখবে। পেলে যদি নিজের সঠিক জায়গা না পারতেন, তা হলে এতো ভালো খেলতে পারতেন না। পেলেকে যেমন পেলের পজিশনে খেলতে দিতে হয়, ঠিক সেভাবেই নেইমারকেও দিতে হবে।’
রাইজিংবিডি/ঢাকা/৬ আগস্ট ২০১৪/নেছার