বাংলাদেশের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজের আগে পাকিস্তানের ওপেনার মোহাম্মদ হারিসের টি-টোয়েন্টি র্যাংকিং ছিল ২৪০। লাহোরে তিন ম্যাচের সিরিজে ১৭৯ রান করে ডানহাতি ওপেনার সিরিজ সেরার পুরস্কার জিতেছেন। সাথে র্যাংকিংয়েও বিশাল লাফ দিয়েছেন।
যেন তেন লাফ নয়। ২১০ ধাপ উন্নতি করেছেন। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে র্যাংকিংয়ে এতো বড় লাফ নিকট অতীতে কেউ দেননি নিশ্চিত করেই বলা যায়।
পাকিস্তান নিজেদের মাটিতে ৩-০ ব্যবধানে বাংলাদেশকে হারিয়েছে। ৩১ রানে সিরিজ শুরু করা হারিস পরের ম্যাচে করেন ৪১ রান। সেরা ইনিংসটি হয়তো শেষ ম্যাচের জন্যই জমিয়ে রেখেছিলেন। রান তাড়ায় সেই ম্যাচে ১০৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন।
যা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তার প্রথম সেঞ্চুরি। এর আগে কোনো ফিফটিও ছিল না আগের ষোলো ইনিংসে। শুধু তাই নয়, স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতেও ১২৭ ম্যাচে এটি তার প্রথম সেঞ্চুরি।
বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে তাওহীদ হৃদয়ের (৪১) সাত ধাপ অবনমন হয়েছে। লিটন দাস (৫১) পিছিয়েছেন এক ধাপ। ওপেনার তানজিদ হাসানের উন্নতি হয়েছে ২৮ ধাপ। র্যাংকিংয়ে তার অবস্থান এখন ৫৩তম স্থানে। জাকের আলীর (৬৮) উন্নতি হয়েছে তিন ধাপ। সাত ধাপ নেমে শান্তর অবস্থান এখন ৬৬তম স্থানে। এছাড়া পারভেজ হোসেন ইমনে (৯৫) উন্নতি হয়েছে ২৮ ধাপ।
পাকিস্তানের ক্রিকেটারদের মধ্যে হাসান নওয়াজের উন্নতি হয়েছে ৫৭ ধাপ। ১২১ রান করে যৌথভাবে ৪৫তম স্থানে রয়েছেন তিনি। চার ধাপ এগিয়ে সায়েমের অবস্থান এখন ৬১তম স্থানে। বোলিংয়ে আব্বাস আফ্রিদি আফ্রিদি ১৮ ধাপ, শাদাব খান ২৪ ও আবরার আহমেদ ৪৫ ধাপ এগিয়েছেন।
বাংলাদেশের বোলারদের মধ্যে মেহেদী হাসান (২২) ও তাসকিন আহমেদের (২৪) তিন ধাপ অবনমন হয়েছে। মোস্তাফিজ (২৬) পিছিয়েছেন এক ধাপ। রিশাদ হোসেন (২৯) পিছিয়েছেন নয় ধাপ। এছাড়া হাসান মাহমুদের (৩৫) নয় ধাপ অবনমন হয়েছে।