খেলাধুলা

জুভেন্টাসকে উড়িয়ে শেষ ষোলোয় ম্যানসিটি

জুভেন্টাসের বিপক্ষে ৫-২ গোলের দাপুটে জয়ে ক্লাব বিশ্বকাপে নিজেদের শক্ত অবস্থান আরও একবার তুলে ধরল গার্দিওলার দল। ফুটবল মাঠে সিটি যেন এক তরঙ্গের মতো ছড়িয়ে পড়ল; গতি, কৌশল, নতুন মুখ এবং পুরনো তারকাদের পারস্পরিক মেলবন্ধনে তৈরি হলো এক নিখুঁত সিম্ফনি।

শুরু থেকেই বলের দখল, আক্রমণের ধার এবং মাঝমাঠে নিয়ন্ত্রণ; সবদিক থেকেই সিটি ছিল সম্পূর্ণ আধিপত্যে। নবম মিনিটে জেরেমি ডোকু ম্যাচের সূচনা করেন এক চমৎকার গোলে। যার পরপরই (২৬ মিনিটে) সাভিনহোর ক্রস থেকে জুভেন্টাসের কালুলু আত্মঘাতী গোল করে বসেন। কিন্তু সবচেয়ে দৃষ্টি কেড়েছেন আর্লিং হালান্ড। যিনি দ্বিতীয়ার্ধে বদলি নেমে সপ্তম মিনিটেই নিজের পেশাদার ক্যারিয়ারের ৩০০তম গোলটি করেন চূড়ান্ত ফুটওয়ার্ক ও শীতল স্নায়ুর দুর্দান্ত সমন্বয়ে।

সিটির চতুর্থ গোলটি আসে ফিল ফোডেনের পা থেকে। আর জয় নিশ্চিত করেন সাভিনহো যিনি ম্যাচ জুড়েই ছিলেন দুর্দান্ত ছন্দে। ওদিকে, জুভেন্টাস ম্যাচে কিছু মুহূর্তে প্রতিরোধ গড়লেও কুপমেইনার্স ও ভ্লাহোভিচের গোলগুলো ছিল অনেকটাই সান্ত্বনার মতো।

এই ম্যাচে নতুন মুখদের পারফরম্যান্স ছিল অত্যন্ত আশাব্যঞ্জক। মিডফিল্ডে রেইজেন্ডার্স ও চেরকি বলের নিয়ন্ত্রণ ও ডিস্ট্রিবিউশনে দেখিয়েছেন পরিপক্বতা। রায়ান আইত-নৌরি রক্ষণে যেমন বল কাড়ায় কার্যকর ছিলেন, তেমনই আক্রমণেও রেখেছেন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা। সিটির সাম্প্রতিক রিক্রুটমেন্ট যে নিখুঁত ছিল, তা মাঠেই প্রমাণিত।

দলের নেতৃত্বে পরিবর্তনের পর নতুন অধিনায়ক বার্নার্ডো সিলভার অধীনে সিটি যেন মানসিকভাবে আরও ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। ম্যাচ শেষে সিলভা বলেন, বিগত মৌসুমের ব্যর্থতা ভুলে গিয়ে তারা এবার নিজেদের নতুনভাবে গড়ে তুলতে চায়। তার মতে, নেতৃত্ব এখন ব্যক্তিনির্ভর না হয়ে দলনির্ভর হয়ে উঠেছে, যেখানে প্রত্যেকেই নিজ নিজ জায়গা থেকে দলকে এগিয়ে নিতে সচেষ্ট।

গ্রুপ পর্বে তিন ম্যাচে তিন জয় আর ১৩ গোল করে ম্যানচেস্টার সিটি দেখিয়ে দিলো তারা আর পিছনে তাকাতে রাজি নয়। জুভেন্টাস এই হারেও নকআউটে উঠলেও সিটির বার্তা ছিল স্পষ্ট, বিশ্ব ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের মুকুট এবার তাদেরই চাই।

আগামী ১৩ জুলাই নিউ জার্সিতে নির্ধারিত ফাইনালে ওঠার দৌড়ে এই আত্মবিশ্বাসই হতে পারে তাদের সবচেয়ে বড় অস্ত্র।