বাংলাদেশ: ১৮৬/১০ (৩৯.৪ ওভার) শ্রীলঙ্কা: ২৮৫/৭ (৫০ ওভার)
ফল: ৯৯ রানে জয়ী শ্রীলঙ্কা
৯৯ রানে হারলো বাংলাদেশ। সঙ্গে ২-১ ব্যবধানে সিরিজও হেরেছে মিরাজের দল। ২৮৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দুইশও করতে পারেনি বাংলাদেশ। অলআউট ১৮৬ রানে। সর্বোচ্চ ৫১ রান করেন হৃদয়। ২৮ রান করে আসে মিরাজ-ইমনের ব্যাট থেকে। ২৭ রান করেন জাকের আলী। আর কেউ বিশের বেশি রান করতে পারেননি। লঙ্কানদের হয়ে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট করে নেন আসিথা-দুশমন্থ।
৮ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ:
অন্য প্রান্তে যখন নিয়মিত বিরতিতে উইকেট পড়ছিল হৃদয় ছিলেন সাবলীল। তিন চার ও ১ ছয়ের মারে তুলে নেন ফিফটিও। কিন্তু বেশিদূর এগোতে পারলেন না। ফিফটির পর মাত্র ১ রান করতে পারেন। তার আউটে বড় ধাক্কা খেলো বাংলাদেশ। ক্রিজে আসা তানজীম ৮ বলে ৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। জাকের আলীর নতুন সঙ্গী তাসকিনও ফেরেন মাত্র ১ রানে। ৮ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ।
পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছে বাংলাদেশ
এবার আউট শামীম পাটওয়ারি। হাসারাঙ্গাকে এগিয়ে এসে মারতে গিয়ে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন এই ব্যাটার। ১৮ বলে ১২ রান করেন তিনি। তার আউটে ৫ উইকেট হারিয়ে বিপাকে বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে মাত্র ১২৪ রান না হতেই অর্ধেক উইকেট নেই। ক্রিজে হৃদয়ের সঙ্গী জাকের আলী। এই জুটিই এখন শেষ ভরসা।
বাংলাদেশের একশর পর সাজঘরে মিরাজ:
উইকেটে আসার পর দারুণ েলছিলেন মিরাজ। কিন্তু ইনিংস লম্বা করতে পারলেন না। চার চার ও ১ ছক্কায় ২৫ বলে ২৮ রান করেন এই ব্যাটার। বাংলাদেশের একশর পর ফিরেন সাজঘরে। ক্রিজে হৃদয়ের সঙ্গী শামীম।
ছক্কা মারতে গিয়ে ইমনের বিদায়:
ছক্কা মারতে গিয়ে ইমনের বিদায়দ্রুত দুই উইকেটের পতনের পর প্রতিরোধ গড়ে এগোচ্ছিলেন ইমন-হৃদয়। হঠাৎ ছন্দপতন। ভেলালাগেকে স্লগ সুইপে ছক্কা মারতে গিয়ে ধর পড়েন বাউন্ডারি লাইনে।তার ব্যাট থেকে আসে ৪৪ বলে ২৮ রান। তার আউটে ভাঙে ৪২ রানের জুটি। ক্রিজে হৃদয়ের সঙ্গী মিরাজ।
পাওয়ার প্লে’তে বাংলাদেশের লড়াই: শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টায় বাংলাদেশ। ২০ রানে তানজিদ ও শান্তর উইকেট হারিয়েছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকে জুটি বাঁধেন পারভেজ ও তাওহীদ। তৃতীয় উইকেটে দলের হাল ধরেছেন তারা।
পাওয়ার প্লে’ শেষে বাংলাদেশের রান ২ উইকেটে ৫৫। ৩৫ রান যোগ করেছেন তারা। জয়ের জন্য ৪০ ওভারে ২৪১ রান প্রয়োজন বাংলাদেশের। হাতে আছে ৮ উইকেট।
পঞ্চাশ পেরিয়ে বাংলাদেশ: নবম ওভারের পঞ্চম বলে দলীয় পঞ্চাশ রান পেয়েছে বাংলাদেশ।
শান্ত আসলেন, গেলেন: পরপর দুই ওভারে দুই উইকেট হারাল বাংলাদেশ।
তানজিদের পর এবার বোল্ড হয়ে আউট হলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। পেসার চামিরার বলের গতিতেই আটকা পড়ে গেলেন শান্ত। ৩ বলে কোনো রান না করেই শান্ত ফিরলেন হতাশ করে। ডানহাতি পেসারের বল উইকেটে পড়েই ছোবল দেয়। অফস্টাম্পের বেলসে আঘাত করে। বোল্ড হয়ে শান্ত অবাক হয়ে তাকিয়ে ছিলেন। ওয়ানডে ক্যারিয়ারে এটি তার সপ্তম ডাক। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম।
বাংলাদেশ হারাল দ্বিতীয় উইকেট। উইকেটে নতুন ব্যাটসম্যান তাওহীদ হৃদয়।
তানজিদকে বোল্ড করলেন আসিথা: আগের বলেই রিভিউ নিয়ে তানজিদ হাসানকে ফেরাতে চেয়েছিলেন আসিথা ফার্নান্দো। কিন্তু বল লেগ স্টাম্পের বাইরে পিচ করেছিল। রিভিউ ভেস্তে যায়। উইকেট ক্ষুধায় মগ্ন তানজিদ চেষ্টা চালিয়ে গেলেন।
পরের বল আবার একই লেন্থে। একই জায়গায়। বাড়তি গতি ও সুইংয়ে পরাস্ত তানজিদ। এবার প্যাডে আঘাত করে বল গেল স্টাম্পে। বোল্ড হয়ে তানজিদ ফিরলেন সাজঘরে। বাংলাদেশ হারাল প্রথম উইকেট। ক্রিজে নতুন ব্যাটসম্যান নাজমুল হোসেন শান্ত।
চামিরা-হাসারাঙ্গার ব্যাটে ২৮৫ রান তুললো শ্রীলঙ্কা: জানিথ লিয়ানাগে যখন আউট হন তখন শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ছিল ৪৫ ওভারে ২৪৯ রান। এরপর সেঞ্চুরিয়ান কুসল মেন্ডিস ও দুনিথ ভেল্লালাগের উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। কিন্তু এরপর ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা ও দুশমান্থে চামিরা শ্রীলঙ্কার সংগ্রহ ৫০ ওভারে ২৮৫ পর্যন্ত নিয়ে যান ৭ উইকেটে। হাসারাঙ্গা ২ চারে ১৮ ও চামিরা ৮ বলে ১ চারে ১০ রানে অপরাজিত থাকেন।
বল হাতে বাংলাদেশের তাসকিন ও মিরাজ ২টি করে উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট নেন তানজীম, তানভীর ও শামীম পাটোয়ারী।
সিরিজ জিততে বাংলাদেশকে করতে হবে ২৮৬ রান।
তাসকিনের দ্বিতীয় শিকার ভেল্লালাগে: তাসকিনের করা ৪৭তম ওভারের পঞ্চম বলটি উড়িয়ে মারতে যান ওয়েলালাগে। সেটি দৌড়ে গিয়ে তালুবন্দি করেন শামীম পাটোয়ারী। ৬ বল খেলে ১ চারে ৬ রান করে যান এই অলরাউন্ডার। শ্রীলঙ্কার দলীয় রান তখন ৭ উইকেটে ২৫৯।
শামীম ফেরালেন সেঞ্চুরিয়ান কুসলকে: শামীম হোসেন পাটোয়ারীর করা চতুর্থ ওভারের চতুর্থ বলে আউট হন সেঞ্চুরিয়ান কুসল মেন্ডিস। শামীমের বলে পুল শট খেলতে গিয়ে টপ এজ হয়। শামীম বোলিং প্রান্ত থেকে পেছনে দৌড়ে গিয়ে বল তালুবন্দি করেন। কুসল ১১৪ বলে ১৮ চারে ১২৪ রানের দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলে যান।
হিট উইকেট হয়ে ফিরলেন লিয়ানাগে: মেহেদী হাসান মিরাজের কোটার শেষ ওভারের শেষ বলে আউট হলেন জানিথ লিয়ানাগে। অবশ্য তার উইকেটটি এসেছে হিট উইকেটের খাত থেকে। মিরাজের বল একটু পেছনে সরে গিয়ে অ্যাক্রোস দ্য ব্যাটে খেলতে চেষ্টা করেন। কিন্তু তার পায়ে লেগে স্ট্যাম্পের বেল পড়ে যায়। ১৭ বল খেলে ১২ রান করে যান তিনি।
কুশলের সেঞ্চুরির পর আসালাঙ্কার বিদায়: আসালাংকাকে থামালেন তাসকিন। লো ফুলটসে টাইমিং গড়বড় করে ক্যাচ তুলে দেন। তার ব্যাট থেকে আসে ৬৮ বলে ৫৮ রানে। ভেঙে যায় ১২৪ রানের জুটি। ক্রিজে কুশলের সঙ্গী লিয়ানাগে।
কুশলের সেঞ্চুরি, শ্রীলঙ্কার দুইশ পার
৯৫ রানে শতরানের দেখা পান কুশল। ১৬টি চারে সাজানো ছিল তার ইনিংসটি। তার আগের ওভারেই ফিফটির দেখা পান আসালাংকা। দুজনের ব্যাটে ভর করে এগোচ্ছে শ্রীলঙ্কা। জুটির সেঞ্চুরি হয় ১০০ বলে। শ্রীলঙ্কা দুইশ পার করে ৩৮ ওভারে।
কুশল-আসালাঙ্কায় এগোচ্ছে শ্রীলঙ্কা
৫৮ বলে ফিফটির দেখা পান কুশল। সঙ্গী কামিন্দু ফিরলে এরপর অধিয়ানয়ক আসালাংকাকে নিয়ে এগোতে থাকেন এই ব্যাটার। দুজনের জুটির ফিফটি হয় ৫৭ বলে। দেড়শ পেরিয়ে যায় শ্রীলঙ্কা।
তানভীরের শিকার নিসাঙ্কা
কুশল-নিসাঙ্কায় শ্রীলঙ্কার প্রতিরোধ। ১৩ রানে প্রথম উইকেটের পতনের পর কুশল-নিসাঙ্কায় শ্রীলঙ্কার প্রতিরোধ গড়েন । দুজনের বলে নবম ওভারে দলীয় ফিফটি হয়। প্রথম পাওয়ার প্লেতে আসে ৫১ রান। দুজনের জুটির ফিফটির পর বেশি এগোতে পারেনি। তানভীরকে সুইপ করতে গিয়ে টাইমিংয়ে গড়বড় করে সাজঘরে ফেরেন নিসাঙ্কা। তার ব্যাট থেকে ৩৫ রান আসে। ক্রিজে কুশলের সঙ্গী কামিন্দু।
নিশান মাধুশকাকে ফেরালেন তানজীম
শুরু থেকে সাবলীল ছিলেন না নিশান মাধুশকা। সুযোগ কাজে লাগালেন তানজীম সাকিব। এক্সটা বাউন্সে পরাস্ত হন মাত্র ১ রানে। দারুণ ক্যান নেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। ক্রিজে পাথুম নিসাংকার সঙ্গী কুশল মেন্ডিস।
অলিখিত ফাইনালে ফিল্ডিংয়ে বাংলাদেশ
ক্যান্ডিতে তৃতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা। টস হেরে ফিল্ডিং করবে বাংলাদেশ। তিন ম্যাচের সিরিজে ১-১ সমতা। তাই ম্যাচটি রূপ নিয়েছে অলিখিত ফাইনালে। যে জিতবে তার ঘরে যাবে ট্রফি। মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় শুরু হবে খেলাটি।
বাংলাদেশ একাদশে এক পরিবর্তন
হাসান মাহমুদের পরিবর্তে একাদশে এসেছেন তাসকিন আহমেদ। দ্বিতীয় ম্যাচে তাকে বিশ্রামে রেখেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট।
একাদশে যারা তানজিদ হাসান, পারভেজ হোসেন, নাজমুল হোসেন শান্ত, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলি, শামীম হোসেন, তানজিম হাসান, তাসকিন আহমেদ, তানভির ইসলাম, মুস্তাফিজুর রহমান।
শ্রীলঙ্কা একাদশ
ম্যাচ হারলেও লঙ্কান একাদশে কোনো পরিবর্তন আসেনি।
একাদশে যারা নিশান মাদুশকা, পাথুম নিসাঙ্কা, কুসাল মেন্ডিস, কামিন্দু মেন্ডিস, চারিথ আসালাঙ্কা, জানিথ লিয়ানাগে, দুনিথ ওয়েলালাগে, ওয়ানিন্দু হাসারাঙ্গা, মাহিশ থিকশানা, দুশমান্থ চামিরা, আসিথা ফার্নান্দো।