খেলাধুলা

খালেদের আগুন ঝরানো স্পেলে রংপুরের গ্লোবাল যাত্রা বিজয়ের সুরে

গ্লোবাল সুপার লিগে রংপুর রাইডার্স তাদের যাত্রা শুরু করল এক রোমাঞ্চকর জয়ে। গায়ানা অ্যামাজন ওয়ারিয়র্সকে ৮ রানে হারিয়ে উজ্জ্বল সূচনা করল নুরুল হাসান সোহানের দল।

তবে এই জয়ের নায়ক একজনই— খালেদ আহমেদ। আগুন ঝরানো পেস আর দুর্দান্ত লাইন-লেন্থে গায়ানার ব্যাটিং লাইনআপ ধসিয়ে দেন এই ডানহাতি পেসার। তার দুরন্ত স্পেলেই জয় নিশ্চিত করে রংপুর।

সকালে টসে জিতে ব্যাটিং নেওয়ার পর ভালোই শুরু করেছিলেন সাইফ হাসান ও সৌম্য সরকার। কিন্তু সেই জুটি বেশিক্ষণ টিকেনি। গুড়াকেশ মোতির ঘূর্ণিতে ফেরেন সাইফ (১৮), এরপর সৌম্যও থামেন ৩৫ রানে।

এরপর তাণ্ডব চালান ইমরান তাহির। এক বলের ব্যবধানে আজমতউল্লাহ ওমরজাই ও ইয়াসির আলী রাব্বিকে ফিরিয়ে রংপুর শিবিরে নেমে আসে বিপর্যয়। অধিনায়ক সোহানও বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি।

তবে ছয় নম্বরে নেমে দৃঢ়তার প্রাচীর গড়েন কাইল মেয়ার্স ও ইফতিখার আহমেদ। দুজনই পান জীবন, আর সেটাকেই কাজে লাগিয়ে গড়েন ৭৬ রানের অপরাজিত জুটি। তাদের ব্যাটেই রংপুর দাঁড় করায় লড়াই করার মতো সংগ্রহ, ১৬২ রান।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে গায়ানা ব্যাটিং শুরু করে ধীর গতিতে, আর সেই ছন্দ ভাঙে দ্রুত। ৮ রানেই ফিরিয়ে দেন গুরবাজকে, উইকেট শিকার করেন ওমরজাই।

জনসন চার্লস (৪০) কিছুটা চেষ্টা করলেও পাশে সঙ্গী পাননি। মঈন আলীও থেমে যান ২৭ রানে, দুর্দান্ত ক্যাচে তাকে ফেরান সোহান।

এরপর রানের চাপ আর রংপুরের বোলিং দাপট মিলিয়ে গায়ানার ইনিংসে নামে ধস। একে একে ফিরে যান রাদারফোর্ড, হেটমায়ার, প্রিটোরিয়াস, স্প্রিঙ্গার, আর শেষে ভিসে।

আর এই ধসের নেতৃত্বে ছিলেন খালেদ আহমেদ। ১৯তম ওভারে টানা দুই বলে দুটি উইকেট— প্রিটোরিয়াস ও স্প্রিঙ্গারকে ফিরিয়ে কার্যত কফিনে পেরেক ঠুকে দেন। শেষ উইকেটটা ছিল ওমরজাইয়ের শিকার, যিনি বোল্ড করে দেন ডেভিড ভিসেকে। গায়ানার ইনিংস থামে ১৫৪ রানে। ৮ রানের হার নিয়ে মাঠ ছাড়ে তারা।

খালেদ আহমেদ ৪ উইকেট নিয়ে রংপুরের জয়ের নায়ক। ম্যাচসেরাও হন তিনি।