খেলাধুলা

ইতিহাসের পাতায় নতুন রাজকন্যা, উইম্বলডনের ঘাসে শিয়নটেকের রাজত্ব

উইম্বলডনের অভিজাত সবুজ কোর্টে শনিবার (১২ জুলাই) রাতে লেখা হলো নতুন ইতিহাস। যেখানে পোল্যান্ডের ইগা শিয়নটেক নিজের টেনিস ক্যারিয়ারের সবচেয়ে জমকালো পালকটি পরলেন মুকুটে। প্রথমবার উইম্বলডনের ফাইনালে খেলতে নেমেই তিনি দেখালেন কীভাবে শিরোপা জেতা যায় কেবল দক্ষতা দিয়ে নয়, বরং দাপটে, আক্রমণে আর নিখুঁত একচেটিয়া শৈলীতে। আমেরিকার আমান্ডা আনিসিমোভাকে তিনি ৬-০, ৬-০ গেমে হারিয়ে তুলে নিলেন নিজের প্রথম উইম্বলডন ট্রফি।

মাত্র ৫৭ মিনিটে শেষ হয় এই ম্যাচ, যা কেবল একতরফা ছিল না, বরং শতবর্ষের পুরোনো রেকর্ড ভেঙে গড়ে দিলো এক নতুন নজির। ১৯১১ সালের পর এই প্রথম কোনো নারী খেলোয়াড় ফাইনালে প্রতিপক্ষকে একটিও গেম না জিতিয়ে ‘ডাবল বাগেল’ স্কোরে জয় পেলেন। আর সেই কীর্তির মালিক শিয়নটেক।

গ্র্যান্ডস্লাম জয়ের অভিজ্ঞতা তার আগেও ছিল—চারবার ফ্রেঞ্চ ওপেন আর একবার ইউএস ওপেন জিতেছেন আগেই। তবে উইম্বলডনের ট্রফি ছিল এতদিন স্বপ্নের মতো অধরা। এবার সেই স্বপ্নকে রূপ দিলেন বাস্তবে। ম্যাচ শেষে আবেগ আপ্লুত শিয়নটেক জানান, ‘‘আমি কখনো উইম্বলডন জয়ের কল্পনাও করিনি। এটা ছিল অনেক দূরের ভাবনা। তাই এটা যে সত্যি হয়েছে, তা এখনও বিশ্বাস হচ্ছে না।’’

প্রথম সেটে মাত্র ২৫ মিনিটেই আনিসিমোভাকে উড়িয়ে দেন শিয়নটেক। আমেরিকান প্রতিপক্ষ পুরো ম্যাচজুড়েই ছিলেন চাপে। প্রথম সেটে মাত্র ৯টি পয়েন্ট তুলতেই পেরেছেন, দ্বিতীয় সেটে অবস্থাটা আরও করুণ—২৮টি আনফোর্সড এরর এবং ৫টি ডাবল ফল্ট তার ব্যর্থতার সাক্ষী। ম্যাচ শেষে কাঁদতে কাঁদতে আনিসিমোভা বলেন, “গত দুই সপ্তাহ ছিল আমার জীবনের অন্যতম সেরা সময়। তবে আজ যা চেয়েছিলাম, তা হলো না।”

বয়সে সমান হলেও অভিজ্ঞতায় শিয়নটেক যোজন যোজন এগিয়ে। এবারের জয়ের মাধ্যমে তিনি সব গ্র্যান্ডস্লাম ফাইনালেই জয়ী থাকার রেকর্ড ধরে রাখলেন। উইম্বলডনের ট্রফি জিতে গ্র্যান্ডস্লাম সংগ্রহে সংখ্যা দাঁড়াল ছয়টিতে।