খেলাধুলা

ভরসার হাত এখন ছড়ানো

ব্যাটিংয়ে প্রাণ খুঁজে পাচ্ছিল না বাংলাদেশ। টপ অর্ডার, মিডল অর্ডার কিংবা লোয়ার অর্ডার খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে চলছিল। প্রশ্নবিদ্ধ পারফরম্যান্সে ক্রিকেটাররা যখন জর্জরিত হয়ে যাচ্ছিলেন তখনই আশার আলো দেখাতে শুরু করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ও পারভেজ হোসেন ইমন।

দুজনের জমাট জুটি এখনো যুৎসইভাবে জমেনি। তবে অদ্ভুতভাবে তারা ভরসা হয়ে উঠেছেন। পারভেজ হোসেন ইমন রান না পেলে তানজিদ হাসান তা পুষিয়ে দিচ্ছেন। আবার তানজিদ না পারলে পারভেজ নিয়ে নিচ্ছেন দায়িত্ব।

শেষ চার ম্যাচের পারফরম্যান্সের মূল্যায়ন করলে এমন চিত্রই উঠে আসবে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে পারভেজ ৩৮ রান করেন। তানজিদের ইনিংস থেমে যায় ১৬ রানে। উদ্বোধনী জুটি ৪৬ রানের। যা তাদের জুটির দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।  দ্বিতীয় ম্যাচে তারা কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। তৃতীয় ম্যাচে পারভেজ রানের খাতা খুলতে পারেননি। ঝড় তুলে তানজিদ করেন ৭৩ রান। গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে তানজিদের ব্যাট থেকে আসে ১ রান। পারভেজ ৫৬ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থেকে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। জয়ের নায়কও হয়েছেন তিনি।

একজন ব্যর্থ হলে আরেকজন দায়িত্ব নিচ্ছেন। তা নিশ্চিতভাবেই ভালো এবং ইতিবাচক দিক। তবে দুজনের ব্যাট একসঙ্গে জ্বলে উঠলে কতটা ভয়ংকর হয়ে উঠতে পারেন তার প্রমাণও আছে। পাকিস্তানের বিপক্ষে লাহোরে দুজনের ১০.৪ ওভারে ১১০ রান তুলেছিলেন চোখের পলকে। বাংলাদেশ সেই ম্যাচটি হারলেও তাদের জমাট জুটি বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ।

একজন আরেকজনের বিকল্প হয়ে লড়াই করার কথা জানাতে গিয়ে পারভেজ হোসেন বলেছেন, ‘‘অবশ্যই এটা ভালো। কারণ, একজনকে না একজনকে খেলতেই হবে। আর টি-টোয়েন্টিতে বিশেষ করে যে সেট হয় এমন একটা ইনিংস খেললে কাজটা সহজ হয়।’’

ভয়ডরহীন ক্রিকেট খেলার চাহিদা এখন পুরো দলের। সেই চাহিদা পূরণ করতে গিয়ে আগেভাগে উইকেট হারালেও দমে যাওয়া যাবে না এমনটাই পরিকল্পনা থাকে দলের। এজন্য উইকেট বিবেচনা করে এগিয়ে যাওয়ার কথা বললেন পারভেজ, ‘‘দুটো উইকেট আর্লি পড়তেই পারে এটা স্বাভাবিক। কিন্তু আমরা অন্যরা যারা ব্যাটিং করছি উইকেটটা অ্যাসেস করছি।’’

৩৯ বলে ৫৬ রানের ইনিংসে পারভেজ গতকাল ৫ ছক্কা হাঁকিয়েছেন। পাকিস্তানের পুরো দল যেখানে ৫ ছক্কা পেয়েছেন সেখানে তানজিদের একার ব্যাটেই ছক্কার স্রোত।

আলাদা করে ছক্কা নিয়ে পারভেজ বলেছেন, ‘‘টি-টোয়েন্টি খেলতে এই দক্ষতা থাকতেই হবে। আমাদের সবার এই দক্ষতা আছে। একদম শেষে যে ব্যাটসম্যান নামে তারও ছক্কা মারার দক্ষতা আছে। এটা আরও যত বেশি মানিয়ে নিতে পারবো তত ভালো।’’