দীর্ঘ সময় ইনজুরির সাথে লড়াই করে, সমালোচনার বৃত্তে বন্দি হয়ে যেন খেই হারিয়ে ফেলেছিলেন নেইমার দ্য সিলভা জুনিয়র। এক সময় যিনি ছিলেন মাঠের রাজপুত্র, তার পায়ের জাদু যেন ধুলোয় লুকিয়ে পড়েছিল। ঘরের মাঠেও সমর্থকদের অসন্তোষ, প্রিয় ক্লাব সান্তোসে ফিরেও মুখোমুখি হতে হয়েছিল বিদ্রুপের। কিন্তু শেষমেশ ফুটবলই জানিয়ে দিলো নেইমার এখনও শেষ হয়ে যাননি।
সান্তোসের জার্সিতে জুভেন্টুদের বিপক্ষে সোমবার (০৪ আগস্ট) রাতে মাঠে নামেন তিনি। আর সেই ম্যাচেই নিজের চেনা ছন্দে ফিরলেন ব্রাজিলিয়ান সুপারস্টার। পুরো ম্যাচজুড়ে আত্মবিশ্বাসী খেলা, দারুণ নিয়ন্ত্রণ, আর দীর্ঘ সময় পর একটি ম্যাচে দুইটি গোল করে আবারও খবরের শিরোনামে উঠে এলেন নেইমার।
প্রথম গোলটি আসে ম্যাচের ৩৬ মিনিটে। ডিফেন্স চিরে বল নিয়ে এগিয়ে গিয়ে নিখুঁতভাবে জালে পাঠান বল। যা সান্তোসকে এনে দেয় লিড। এরপর মাত্র তিন মিনিটের মাথায় আলভারো ব্যারেল দ্বিতীয় গোলটি করেন। যা আরও মজবুত করে সান্তোসের নিয়ন্ত্রণ।
তবে বিরতির ঠিক আগে, কর্নার থেকে একটি হেডে গোল করে ব্যবধান কমায় জুভেন্টুদের উইলকার অ্যাঞ্জেল। দ্বিতীয়ার্ধে সামান্য চাপে পড়ে সান্তোস। কিন্তু নেইমারের ক্লাস আলাদা। ম্যাচের ৮০ মিনিটে প্রতিপক্ষের ডিফেন্সের ভুলে পাওয়া পেনাল্টি থেকে দ্বিতীয় গোলটি করেন নেইমার। নিখুঁত শটে জালে বল জড়ান। নিশ্চিত করেন দলের ৩-১ ব্যবধানের জয়।
এই ম্যাচ শুধু জয়ই এনে দেয়নি সান্তোসকে। বরং নেইমারের জন্য ছিল এক বিশেষ পুনর্জন্ম। টানা পাঁচ ম্যাচে খেলেছেন, যা ২০২২ সালের পর প্রথম। আর একটি ম্যাচে দুটি গোল, এমন কীর্তি তিনি এর আগে করেছিলেন ২০২৩ সালের সেপ্টেম্বরে, বিশ্বকাপ বাছাইয়ে বলিভিয়ার বিপক্ষে।
নেইমারের এই প্রত্যাবর্তন কেবল মাঠেই নয়, মন জয় করেছে সমর্থকদেরও। তারা স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছেন- পুরনো নেইমার আবার ফিরবেন।