খেলাধুলা

ম্যানচেস্টার সিটির দাপুটে জয়

কেভিন ডি ব্রুইনের বিদায়ের পর ম্যানসিটির সমর্থকরা হয়তো শূন্যতা অনুভব করছিলেন। কিন্তু মৌসুমের প্রথম ম্যাচেই সেই অভাব কিছুটা হলেও পূরণ করে দিয়েছেন ডাচ মিডফিল্ডার টিজানি রেইন্ডার্স। এসি মিলান থেকে আসা এই তরুণ অভিষেকেই উজ্জ্বল হয়ে উঠলেন উলভারহ্যাম্পটনের বিপক্ষে ৪-০ গোলের দাপুটে জয়ে।

রেইন্ডার্স মাঝমাঠে খেলার ছন্দ নিয়ন্ত্রণ করেছেন দারুণ দক্ষতায়। শুধু গোলই করেননি, সতীর্থদেরও গোল করিয়েছেন তিনি। সের্হিয়ো আগুয়েরোর পর প্রথম খেলোয়াড় হিসেবে সিটির হয়ে অভিষেক ম্যাচেই গোল ও অ্যাসিস্ট দুটোতেই নাম লেখালেন এই ডাচ তারকা।

তাকে ঘিরে প্রশংসার ঝড় তুলেছেন ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি স্ট্রাইকার অ্যালান শিয়েরার। তার ভাষায়, “রেইন্ডার্স মাঠে প্রায় নিখুঁত ছিলেন। খেলার রাশ ছিল পুরোপুরি তার নিয়ন্ত্রণে। প্রতিপক্ষের জন্য ওকে সামলানো হবে সত্যিকারের দুঃস্বপ্ন।”

স্ট্যাটসে চোখ রাখলেও সিটির প্রাধান্য স্পষ্ট। পুরো ম্যাচে বল দখলে ছিল প্রায় ৫৯ শতাংশ। গোলমুখে ১৫ বার আক্রমণ করে ৪ বার বল পাঠিয়েছে জালে। অপরদিকে উলভসের ৯ শটের মধ্যে ৩টি ছিল লক্ষ্যে।

হলান্ড নিজের ধারা বজায় রেখে জোড়া গোল করেছেন, টানা চার মৌসুমের প্রথম ম্যাচেই গোল করার কীর্তি ধরে রেখেছেন নরওয়েজিয়ান তারকা। বাকি দুই গোল করেছেন নবাগত রেইন্ডার্স ও তরুণ রায়ান শেরকি।

গোলগুলোর ক্রমও ছিল নজরকাড়া। ম্যাচের ৩৪ মিনিটে রেইন্ডার্সের তৈরি আক্রমণ থেকে লুইসের ক্রসে হলান্ডের প্রথম গোল। তিন মিনিট পরই অস্কার ববের পাস থেকে রেইন্ডার্স পেলেন নিজের অভিষেক গোল। দ্বিতীয়ার্ধে আবারও রেইন্ডার্সের পাস থেকে হলান্ডের জোড়া গোল। আর শেষ দিকে শেরকির নিখুঁত শটে ম্যাচের শেষ বাঁধ ভাঙে।

তবে জয় সত্ত্বেও কোচ পেপ গার্দিওলা কিছুটা অস্বস্তির কথা জানালেন। তার মতে, “দলের গভীরতা দরকার, কিন্তু এত বেশি খেলোয়াড় একসাথে রাখাও সমস্যার। আগামী দুই সপ্তাহে খেলোয়াড় ও এজেন্টদের সঙ্গে আলোচনা করে এর সমাধান বের করতেই হবে।”

ম্যানসিটির মৌসুমের শুরুটা তাই শুধু বড় জয়েই সীমাবদ্ধ নয়, নতুন নায়ক রেইন্ডার্সের উত্থানেও রঙিন হয়ে উঠেছে।