খেলাধুলা

কথায় নয়, কাজে মিলের খোঁজে মুশফিক

আমিনুল ইসলাম বুলবুলের ‘শেয়ার অ‌্যান্ড কেয়ার’ প্রোগ্রামে অভিজ্ঞতায় সবচেয়ে এগিয়ে ছিলেন মুশফিকুর রহিম। বাংলাদেশের ক্রিকেটের নানা পরিবর্তন চোখের সামনে দেখেছেন তিনি। অনেক সাফল‌্যের সাক্ষী তিনি। অনেক ব‌্যর্থতারও ভাগিদার মিস্টার ডিপেনডেবল। প্রোগ্রামে মুশফিকুর নিজের বক্তব‌্য এবং বিসিবির পাঠানো আট প্রশ্নের জরিপে বেশ কিছু বিষয় সামনে তুলে এনেছেন। যেখানে ক্রিকেটারদের ফ‌্যাসিলিটিজ উন্নতিতে বেশি গুরুত্বরোপ করেছেন।

শুধু তিনিই নয়, বাকিরাও নিজেদের কথা বলেছেন মন খুলে। নিজ থেকে এগিয়ে ক্রিকেটাররা কথা বলায় খুশি হয়েছেন সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলও। তবে যেসব সমস‌্যা চিহ্নিত হয়েছে, যেসব জায়গায় উন্নতি করার কথা বলা হয়েছে সেসব কতটুকু বাস্তবায়ন হয় সেসব দেখার অপেক্ষায় মুশফিকুর।

বুধবার (২০ আগস্ট) রাজধানীর বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে মুশফিকুর গিয়েছিলেন ফিজিক্যাল চ্যালেঞ্জড ক্রিকেটারদের ট্রায়াল দেখতে। সেখানে গণমাধ‌্যমের মুখোমুখি হয়ে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক বলেছেন, ‘‘কথা তো অনেক কিছুই হয়েছে (গতকালের শেয়ার অ‌্যান্ড কেয়ার প্রোগ্রাম)। খুবই ভালো উদ্যোগ। এর আগেও যে হয়নি, এটা বললে ভুল হবে। তবে এরকম ফ্রিকুয়েন্টলি অনেক সময় হয় নাই। যেগুলো ভালো কথা হয়েছে, কী কী ইনফ্রাস্টাকচার আরও বৃদ্ধি করতে হবে। প্লেয়ারদের দিক থেকে, অফিশিয়ালসের দিক থেকে, বোর্ড ডিরেক্টর যারা আছে; তাদের দিক থেকে। সেগুলো কথা হয়েছে। আমরা আশা করি ইম্প্লিমেন্ট যতদিন না হবে, বৈঠক বলেন বা মিটিং বলেন, এগুলো আসলে ফ্রুটফুল হবে না।’’

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দুই দশক পার করেছেন মুশফিকুর। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন। অপেক্ষায় আছেন নিজের শততম টেস্ট খেলার। যেসব কথা বলেছেন সেসব বাস্তবায়ন হলে পরবর্তী প্রজন্ম বেশ এগিয়ে যাবে বলে দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করেন তিনি, ‘‘আমার তো ধরেন ক্যারিয়ারের প্রায় শেষ দিকে, আশা করবো এরকম যেন পরিবেশ করে দিতে পারি পরের প্রজন্মের জন্য, তারা যেন ফ্রিক্যুয়েন্টলি সব জায়গায় গিয়ে খেলতে পারে ওরকম মাঠ করে দিয়ে যেতে পারি, অনুশীলনের সুযোগ-সুবিধা করতে পারি। কারণ, বিশ্ব ক্রিকেট যতদূর এগিয়ে গেছে, বাংলাদেশ তাদের থেকে অনেক পিছিয়ে। এদিক থেকে যদি আমরা সেই সাপোর্টটা দিতে পারি, তাহলে আরও এগিয়ে যাবে বাংলাদেশের ক্রিকেট।’’

এদিকে বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্সের সুযোগ-সুবিধা দেখে মুগ্ধ মুশফিকুর। স্পোর্টস কমপ্লেক্সের ভেতরে পৃথক খেলার মাঠ, জিমনেশিয়াম, সুইমিংপুল, ইনডোরসহ আরো অনেক কিছু রয়েছে। এসব নিয়ে তার মূল‌্যায়ন, ‘‘এই সুযোগ-সুবিধা দেখে আমাদের নীতি-নির্ধারকরা যদি উজ্জীবিত না হয়, তাহলে আফসোস ছাড়া আর কিছু বলার নেই। তবে এটা অবশ্যই প্রেরণাদায়ী একটা জিনিস। একটু দেরি হলেও, উনাদের (বসুন্ধরা) মতো এত বড় একটা গ্রুপ এই কাজটা করেছে। আশা করি, এখান থেকে অনেক ক্রিকেটার উপকৃত হবে, অনেক মানুষ উপকৃত হবে এবং এটা দেখে অনেকে অনুপ্রাণিত হবে।’’

জাতীয় দল এখন টানা টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলবে। আগামী ১৫ সেপ্টেম্বর মাঠে গড়াবে জাতীয় লিগ টি–টোয়েন্টি, এরপর জাতীয় লিগের চার দিনের আসরও হবে। ঘরোয়া দুটি প্রতিযোগিতাতেই খেলার ইচ্ছা তার, ‘‘জাতীয় লিগে খেলার ইচ্ছে আছে যদি কোনো দল নেয়। শারিরীক ও মানসিকভাবে সবদিক দিয়ে চেষ্টা করছি, এখন দেখা যাক।’’