এমন কিছু আগে হয়েছে কিনা বলা মুশকিল। বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের নানা দুর্নীতির অভিযোগ, অব্যবস্থাপনা ও পদ্ধতিগত ঘাটতি খতিয়ে দেখতে বিসিবি স্বাধীন তদন্ত কমিটি গঠন করেছিল।
তিন সদস্যের সেই স্বাধীন কমিটি লম্বা সময় ধরে একাধিক ফ্রাঞ্চাইজি, ক্রিকেটার, বিসিবি কর্মকর্তা, অফিসিয়াল এবং সংশ্লিষ্ট সকলের সাক্ষাৎকার নিয়ে উপসংহারে পৌঁছাতে পেরেছে। সেই কমিটিতে ছিলেন, আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মির্জা হোসেইন হায়দার, আইনজীবী ড. খালেদ এইচ চৌধুরী ও সাবেক ক্রিকেটার শাকিল কাসেম। তাঁরা একটি প্রতিবেদনও জমা দিয়েছেন বিসিবিকে। যেখানে করণীয় সুপারিশ করেছেন। কিন্তু তাঁদের সেই সুপারিশও রিভিউ করবে বিসিবি। এজন্য একটি কমিটিও গঠন করেছে গতকালের বোর্ড সভায়। যা রীতিমত হাস্যরসে পরিণত হয়েছে।
চার সদস্যের গঠিত এই কমিটির কাজ কী হবে? বিসিবির পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম পরিস্কার করেছেন সব,“বিপিএল সংক্রান্ত যে ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করা হয়েছিল, তাদের রিপোর্ট আমরা পেয়েছি। এখন একটি টিম গঠন করা হয়েছে, যারা এটা রিভিউ করবে। এটা ট্রাইব্যুনাল নয়, এখানে প্রতিটি ব্যাপারের সঙ্গে আইনি ব্যাপার জড়িত থাকে। সেটাকে কাভার করার জন্য, আইনি দিকটা দেখার যারা দক্ষ, তাদের নিয়েই একটি টিম গঠন করা হয়েছে, যারা তারা দ্রুতই ক্রিকেট বোর্ডের কী করণীয় (তা জানাবে)। কারণ, রিপোর্টে সুপারিশগুলো আছে, যে বিষয়গুলো উঠে এসেছে, সেগুলো নিয়ে ক্রিকেট বোর্ডও অবিলম্বে কাজ করতে চায়। এখানে অনেক বিষয় হয়তো থাকতে পারে, যেটা আমাদের ক্রিকেটকে এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা তৈরি করেছে। সেগুলো যত দ্রুত সম্ভব চিহ্নিত করা ও আমাদের করণীয় কী থাকতে পারে, সেসব জানাবে (এই কমিটি)।”
এদিকে বিসিবি গত ২৬ আগস্ট জানিয়েছিল, স্বাধীন তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে যাদের নাম এসেছে, তাদেরকে বিসিবির গঠনতন্ত্র, আইসিসির দুর্নীতি দমন ধারা ও দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী প্রক্রিয়ার আওতাধীন করা হবে। তবে পুরো প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও সবার অধিকার রক্ষার্থে এই পর্যায়ে কোনো ব্যক্তি বা সত্তার নাম প্রকাশ করা হবে না।
নতুন এই রিভিউ কমিটিতে বিসিবির একাধিক পরিচালক, সাবেক অধিনায়ক এবং বিপিএল টেকনিক্যাল ডিরেক্টরকে রাখা হতে পারে বলে জানা গেছে। কবে নাগাদ তারা কাজ শুরু করবেন এবং কবে নাগাদ রিভিউ প্রতিবেদন জমা দেবেন তা নিশ্চিত করতে পারেননি কেউ।