রোববার (০৭ সেপ্টেম্বর) রাতে শারজাহতে অনুষ্ঠিত ফাইনালে ব্যাট হাতে খুব বড় রান তুলতে না পারলেও স্পিন জাদুতেই আফগানিস্তানকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় সিরিজের শিরোপা ঘরে তুলল পাকিস্তান। আফগানদের ৬৬ রানে অলআউট করে ৭৫ রানের জয়ের মূল নায়ক ছিলেন বাঁহাতি স্পিনার মোহাম্মদ নওয়াজ।
১৪২ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে আফগানিস্তান শুরুতেই পড়ে যায় চাপের মুখে। শাহীন শাহ আফ্রিদি প্রথম ওভারেই ফেরান গুরবাজকে (৫)। এরপর আবরার আহমেদের ঘূর্ণিতে সাজঘরে ফেরেন আরেক ওপেনার সেদিকুল্লাহ অটল (১৩)।
কিন্তু আসল কাজটা করেন নওয়াজ। ষষ্ঠ ওভারে টানা দুই বলে ফেরান দারবিশ রাসুলি ও আজমতউল্লাহ ওমরজাইকে। পরের ওভারের প্রথম বলেই এলবিডব্লিউ করেন ইব্রাহিম জাদরানকে, পূর্ণ হয় হ্যাটট্রিক। সেই ওভারেই বিদায় করেন করিম জানাতকেও। মুহূর্তেই ভেঙে পড়ে আফগান ব্যাটিং।
শেষ চেষ্টা করেছিলেন অধিনায়ক রশিদ খান (১৭)। কিন্তু তাকেও আউট করে পাঁচ উইকেট পূর্ণ করেন নওয়াজ। ৪ ওভারে মাত্র ১৯ রান দিয়ে ৫ উইকেট; এই জাদুকরী স্পেলেই শেষ হয়ে যায় আফগানদের স্বপ্ন। শেষ পর্যন্ত ১৫.৫ ওভারে মাত্র ৬৬ রানে গুটিয়ে যায় আফগানিস্তান।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে ধাক্কা খায় পাকিস্তান। ফারহান শূন্যতে ফেরেন। সাইম আইয়ুব (১৭) ও ফখর জামান (২৭) কিছুটা চেষ্টা করলেও নুর আহমেদ ও রশিদ খানের ঘূর্ণিতে চাপে পড়ে দল। একপর্যায়ে ৭২ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে দিশাহারা অবস্থায় দাঁড়ায় পাকিস্তান। তবে অধিনায়ক সালমান আলী আগা (২৪), মোহাম্মদ নওয়াজ (২৫) ও ফাহিম আশরাফের (১৫) ছোট ছোট ইনিংসে ভর করে শেষ পর্যন্ত ২০ ওভারে ১৪১ রান তুলতে সক্ষম হয় তারা।
সিরিজে দুই দল একে অপরকে একবার করে হারিয়েছিল। কিন্তু আসল লড়াইতে মোহাম্মদ নওয়াজের স্পিন ম্যাজিকই হয়ে যায় পার্থক্য। তার হ্যাটট্রিক ও ফাইফারের দাপটে পাকিস্তান বড় জয় নিয়ে ঘরে তোলে ত্রিদেশীয় সিরিজের ট্রফি। ম্যাচ ও সিরিজসেরা নির্বাচিত হন এই স্পিন অলরাউন্ডার।
আগামীকাল (০৯ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে এশিয়া কাপ। তার আগে নওয়াজের এমন দুর্দান্ত পারফরম্যান্স নিঃসন্দেহে পাকিস্তানকে এনে দিবে বাড়তি আত্মবিশ্বাস।