খেলাধুলা

আর্সেনালের দারুণ জয়

নতুন মৌসুমের প্রথম ম্যাচেই নর্থ লন্ডনে ফিরে দুঃস্বপ্নের মুখোমুখি হলেন আঞ্জে পোস্টেকগ্লু। নটিংহ্যাম ফরেস্টের দায়িত্ব নেওয়ার মাত্র কয়েকদিন পরই সাবেক টটেনহ্যাম কোচের দলকে ৩-০ গোলে গুঁড়িয়ে দিল আর্সেনাল।

এমিরেটসে এদিন ছিল গ্রীষ্মকালীন সাইনিংদের উৎসব। মিডফিল্ডার মার্টিন জুবিমেন্ডি করলেন দুর্দান্ত জোড়া গোল। আর মাঝে ভিক্টর জিকেরেসের শট নিশ্চিত করল আর্তেতার দলের স্বস্তির জয়। খেলার ৩১ মিনিটে ননি মাদুয়েকের কর্নার থেকে বক্সে আসা বলে দারুণ ভলিতে প্রথম গোল করেন জুবিমেন্ডি। যদিও শটে সামান্য ডিফ্লেকশন ছিল, কিন্তু তাতে গোলের সৌন্দর্য একটুও ম্লান হয়নি।

দ্বিতীয়ার্ধ শুরু হতেই আরও আগ্রাসী হয়ে ওঠে আর্সেনাল। মাত্র এক মিনিটের মাথায় রিকার্দো কালাফিওরির লম্বা পাস ধরে এগিয়ে যান এবেরেচি এজে। তার নিখুঁত ক্রস থেকে জিকেরেস সহজেই বল জালে পাঠান। ৭৯ মিনিটে লিয়ান্দ্রো ট্রসার্ড মাঠে নামার পরপরই তার ক্রসে মাথা ছুঁইয়ে ম্যাচের শেষ গোলটি করেন জুবিমেন্ডি। আর্সেনালে যোগ দেওয়ার পর এটি তার প্রথম ডাবল।

তবে ম্যাচের আনন্দের মাঝেই দুশ্চিন্তার ছায়া নেমে আসে গানার শিবিরে। মাত্র ১৭ মিনিট খেলেই আবারো কাঁধের চোটে মাঠ ছাড়তে হয় অধিনায়ক মার্টিন ওডেগার্ডকে। আগের ম্যাচেও একই কারণে তাকে বদলি করা হয়েছিল। ডাগআউটে ফেরার সময় তার হতাশ মুখ বলে দিচ্ছিল চোটটা কতটা গুরুতর হতে পারে।

চেলসি থেকে আসার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনার শিকার হলেও ননি মাদুয়েক এই ম্যাচে ছিলেন আর্সেনালের সেরা। বারবার ডানদিক দিয়ে প্রতিপক্ষ রক্ষণকে ভেদ করেছেন, গোল বানিয়েছেন, এমনকি জিকেরেসের শট একবার ক্রসবার কাঁপিয়েছে। ১২ মিনিট বাকি থাকতে তাকে তুলে নেওয়া হলে এমিরেটস দর্শকরা দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানান।

ফরেস্টের হয়ে সবচেয়ে কাছাকাছি সুযোগ এসেছিল ক্রিস উডের মাথা থেকে, বলটা গোলকিপার ডেভিড রায়াকে ছাপিয়ে ক্রসবারে লাগে। আর বাকি সময়ে পোস্টেকগ্লুর দল লড়াই করলেও মাদ্রিদের রক্ষণভাগ ও রায়ার দৃঢ়তায় আর ফিরে আসা হয়নি।

শেষ বাঁশি বাজতেই এমিরেটস গর্জে ওঠে। গ্যালারি থেকে শোনা যাচ্ছিল ব্যঙ্গাত্মক স্লোগান, ‘তুমি কি ছদ্মবেশী টটেনহ্যাম?।’ পোস্টেকগ্লুর জন্য যেন দেজাভু আবারো নর্থ লন্ডনে পরাজয়ের স্বাদ।

মিকেল আর্তেতা অবশ্য সন্তুষ্ট। তার চোখে এই জয় শুধু তিন পয়েন্ট নয়, বরং আর্সেনালের ২২ বছরের শিরোপা খরা ভাঙার স্বপ্নের পথে শক্তিশালী এক ধাপ।