ওয়ানডে ক্রিকেট বাংলাদেশের গর্বের জায়গা ছিল। ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে যে গতিতে পঞ্চাশ ওভারের ক্রিকেটে এগিয়েছে বাংলাদেশ, তা বিশ্ব ক্রিকেটের জন্যও বিরাট পাওয়া।
২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলা, ২০১৭ চ্যাম্পিয়নস ট্রফির সেমিফাইনালে যাওয়া, ঘরের মাঠ ও বাইরে একাধিক বড় সিরিজ জয় বাংলাদেশকে এই ফরম্যাটে এগিয়ে নিয়েছিল বহুদূর।
অথচ সময়ের ব্যবধানে পরিস্থিতি এমন দাঁড়িয়েছে আফগানিস্তানের কাছেও হোয়াইটওয়াশ হতে হয় বাংলাদেশকে। আবুধাবিতে গতকাল ২০০ রানে ম্যাচ হেরেছে বাংলাদেশ। যা আফগানিস্তানের ক্রিকেট ইতিহাসের দ্বিতীয় বড় জয়। বাংলাদেশকে তারা ৯৩ রানে অলআউট করেছে।
দলের মাত্র এক ব্যাটসম্যান সাইফ হাসান কেবল দুই অঙ্কে যেতে পারেন। বাকিরা ছিলেন নিষ্প্রভ। উইকেটে গিয়েছেন, খাবি খেয়েছেন, ফিরে এসেছেন। ব্যাটসম্যানদের দায়িত্ববোধের বিশাল ঘাটতি আছে তা বারবারই বলে আসছেন অধিনায়ক মিরাজ।
এই অবস্থা থেকে উতরানোর পথ একটাই রান করা। ব্যাটিংয়ে পর্যাপ্ত স্কোর করা। এজন্য খেলতে হবে পুরোপুরি ৫০ ওভার। যেই কাজটা করতেই পারছে না দল। আফগানিস্তানের বিপক্ষে তিন ওয়ানডেতেই কোনোটিতেই ৫০ ওভার ব্যাটিং করতে পারেনি দল।
সবশেষ গতকাল ৯৩ রানে অলআউট হওয়া ম্যাচে ২৭.১ ওভার ব্যাটিং করতে পেরেছে দল। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে মিরাজ ঘুরেফিরে বারবার নিজেদের ব্যাটিংকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন,
‘‘আমরা স্বীকার করছি যে, আমরা এই সিরিজে ভালো খেলিনি। আমরা রান পাচ্ছি না, আমাদের সুযোগ ছিল কিন্তু আমরা তা কাজে লাগাতে পারিনি। সবাই মেনে নিয়েছে যে আমরা ভালো খেলছি না। তাদের বোলিং আক্রমণ ভালো কিন্তু আমাদের তা সামলাতে হবে।’’
‘‘আমরা বিশেষ কিছু জায়গা নিয়ে চিন্তিত, যেমন অনেক বেশি উইকেট নষ্ট করা। আমাদের টপ এবং মিডল অর্ডারে এবং তারপর শেষের দিকে দায়িত্ব নিতে হবে। আমরা কীভাবে আরও ভালো করা যায় তা নিয়ে কথা বলব।’’
‘‘আমাদের ৫০ ওভার খেলতে হবে, শেষ তিনটি ম্যাচ আমরা তা করতে পারিনি।’’ - বলেছেন মিরাজ।
তবে নিজেদের ভুল শুধরানোর তেমন সুযোগ পাচ্ছেন না মিরাজরা। ১৮ অক্টোবর বাংলাদেশের হোম সিরিজ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। আজ দেশে ফিরে বিশ্রামে থাকবে দল। একদিনের অনুশীলনেই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দল মাঠে নামবে।
এখনও দল ঘোষণা করেননি নির্বাচকরা। আজ দেশে ফিরলে কোচিং স্টাফদের সঙ্গে তাদের একটি বৈঠক হওয়ার কথা। সেখানেই সিরিজের রূপরেখা তৈরি হবে।