ভারতের হয়ে এখন আর টি-টোয়েন্টি বা টেস্ট, কিছুই খেলেন না বিরাট কোহলি। তার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার পরিচয় টিকে আছে কেবল ওয়ানডেতেই।
ভারত লম্বা সময় পর ওয়ানডেতে ফিরেছে। তাই বিরাটেরও মাঠে ফিরতে লাগল সময়। সময়ের হিসেবে ২২৪ দিন পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরলেন সময়ের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান। আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে পঞ্চাশ সেঞ্চুরির মালিক অস্ট্রেলিয়ার পার্থে ফিরেছেন লম্বা বিরতির পর।
নিশ্চিতভাবেই তার ব্যাটের দিকেই তাকিয়ে ছিল সবাই। কিন্তু ২২ গজে বিরাট পারেননি নিজেকে মেলে ধরতে। ৮ বল খেলে কোনো রান করতে পারেননি। স্টার্কের বলে পয়েন্টে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাজঘরে।
তবে ম্যাচের আগে বিরাট জানিয়েছেন, এখন আগের থেকেও অনেক বেশি ফিট তিনি। ‘ফক্স স্পোর্টস’-এ অ্যাডাম গিলক্রিস্ট ও রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেন বিরাট। সেখানেই শাস্ত্রী তার ফিটনেস ও মানসিক অবস্থা নিয়ে প্রশ্ন করেন।
দুইটি ফরম্যাট ছেড়ে দেওয়ার পর শুধুমাত্র একটি ফরম্যাটের জন্য নিজেকে তৈরি রাখা কতটা কঠিন, সেই প্রশ্নও উঠে আসে। জবাবে বিরাট বলেছেন, ‘‘গত ১৫-২০ বছরে প্রচুর ক্রিকেট খেলেছি। বিশ্রামই পাইনি। আমিই বোধহয় সবচেয়ে বেশি ক্রিকেট খেলেছি। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি আইপিএলও খেলেছি। তাই এই বিশ্রাম আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। মানসিকভাবে নিজেকে তরতাজা রাখতে খুব সুবিধা হয়েছে।”
বিরতিতে থাকলেও শারীরিক ভাবে তিনি এখনও আগের মতোই রয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিরাট, ‘‘এই সিরিজ়ের আগে নিজেকে শারীরিক ভাবে তৈরি রাখাটাই গুরুত্বপূর্ণ ছিল। লন্ডনে যে সময় কাটিয়েছি সেটা কাজে লাগিয়েছি। আমি এমন একজন ক্রিকেটার, যে প্রস্তুতি ছাড়া খেলতে নামে না। এই সিরিজ়েও সেটাই দেখা যাবে। আমি তৈরি। শারীরিক ভাবে এখন আগের থেকেও বেশি ফিট।”
আজকের ইনিংসের শুরু থেকে তার মাঝে জড়তা ছিল। ওয়ানডেতে এর চেয়ে বেশি বল খেলে একবারই কেবল শূন্যতে আউট হয়েছেন। অস্ট্রেলিয়াতে তার বহু স্মরণীয় ইনিংস রয়েছে তার। সে কথা তাকে স্মরণ করিয়ে দিয়েছিলেন গিলক্রিস্ট। বিরাটের বিশ্বাস সেই অভিজ্ঞতাই সামনে কাজে আসবে, ‘‘অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে সব সময় ভাল লাগে। এখানে খেলা কঠিন। অনেক লড়াই লড়েছি। অনেক অভিজ্ঞতা হয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার সমর্থকেরা সব সময় আপনাকে চাপে রাখবে। কিন্তু ভাল খেললে দু’হাত তুলে হাততালিও দেবে। এখানে খেলার অভিজ্ঞতাই আমাকে কোহলি বানিয়েছে।”