আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরুর আগে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু এক সপ্তাহের ব্যবধানেই সব পাল্টে গেল। মাঠের ভালো ক্রিকেটে ফল নিজেদের পক্ষে আসার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বও মিটে গেছে।
সিরিজ শুরুর আগে আচমকা বোমা ফাঁটিয়েছিলেন লিটন। জাতীয় দলের নির্বাচক প্যানেলের স্বেচ্ছাচারিতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন তিনি। জানিয়েছেন, দল নির্বাচনে তার কোনো ভূমিকা নেই। একটি দল দেওয়া হয়, সেই দল নিয়েই খেলতে বলা হয়। তার অভিযোগ আবার অস্বীকার করে উড়িয়ে দিয়েছিলেন প্রধান নির্বাচক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু। তার দাবি, লিটনের সঙ্গে দল নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছিল। কিন্তু তারা সিদ্ধান্ত দিয়েছেন নিজেদের মতো করে।
দুজনের বক্তব্যের মধ্যে কিছু ফাঁক ছিল। কে পুরোপুরি সত্যি বলেছেন সেটা বোঝা কঠিন। তবে একটা বিষয় স্পষ্ট, কোচ-অধিনায়ক এবং নির্বাচক দুই মেরুতে ছিলেন।
মঙ্গলবার (০২ ডিসেম্বর) সিরিজ জয়ের পর লিটন দিলেন নতুন খবর। জানালেন, সেদিনের পর সংশ্লিষ্ট সকলের মধ্যেই দূরত্ব কমেছে। দ্বন্দ্ব দূর হয়েছে। বসে আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের উপায় খুঁজে পেয়েছেন সবাই।
লিটনের ভাষ্য, ‘‘জ্বি (যোগাযোগ হয়েছে কিনা)। দেখেন, হিট অব দ্য মোমেন্টে অনেক কিছু হয়েছে। দুই দিক আমাদের হয়েছে। কিন্তু যে জিনিসটা হয়েছে সেটা ভালো না। ক্রিকেটের জন্য ভালো না। সামনের থেকে এই জিনিসগুলো হবে না এবং এরপরে আমরা সুন্দর করে বসে কথা বলছি এবং এটার একটা ভালো একটা সমাধান এসেছে।’’
প্রথম ম্যাচে দল ৩৯ রানে হেরে যায়। পরের দুই ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ নিশ্চিত করেছে সিরিজ। মাঠের বাইরের ইস্যুতে প্রথম ম্যাচে ক্রিকেটাররা চাপে ছিলেন কিনা সেই প্রশ্নের উত্তরে লিটন বলেছেন, ‘‘না, আমার মনে হয় দলের কোনো প্রভাব পড়েনি। স্বাভাবিক ছিল সবকিছু। যেহেতু আমরা পেশাদার খেলোয়াড়। আমরা মাঠে গেলে ক্রিকেটটাই খেলি। ওদিক দিয়ে আমাদের কোনো সমস্যা হয়নি।’’