বিপিএলকে না করে বিগ ব্যাশে রিশাদ হোসেন।
পাঠক ঠিকই পড়ছেন। আসন্ন বিপিএলে দেখা যাবে না রিশাদ হোসেনকে। তাকে দেখা যাবে অস্ট্রেলিয়ায় বিগ ব্যাশ টুর্নামেন্টে। নিজের স্বপ্ন পূরণে যাত্রা শুরু করেছেন রিশাদ। রবিবার রাতে এক ফ্লাইটে যাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ায়।
টানা দ্বিতীয় মৌসুমে বিগ ব্যাশে দল পেয়েছেন রিশাদ। অস্ট্রেলিয়ার ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন হোবার্ট হারিকেনস আবার বাংলাদেশের লেগ স্পিনারকে নিয়েছে। গত আসরেও রিশাদকে ড্রাফট থেকে দলে নিয়েছিল হোবার্ট। তবে, জাতীয় দলের ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর ও পরে বিপিএলের জন্য সেবার খেলতে যাওয়া হয়নি তরুণ লেগ স্পিনারের।
আগামী ১৪ ডিসেম্বর শুরু হবে বিগ ব্যাশের নতুন আসর। ফাইনাল হবে আগামী বছরের ২৫ জানুয়ারি। বিপিএল শুরু হচ্ছে ২৬ ডিসেম্বর থেকে। এবার বিপিএলে খেলার চেয়ে বিগ ব্যাশকে বেছে নিয়েছেন তিনি। বিসিবি থেকেও মিলেছে সাড়া। আসরের সব ম্যাচ খেলার অনুমতি পেয়ে গেছেন রিশাদ।
কেন এই সিদ্ধান্ত? গত ৬ অক্টোবর হোবার্ট হারিকেনসের সংবাদ সম্মেলনে যোগ দিয়ে রিশাদ দিয়েছিলেন উত্তর, ‘‘একজন লেগ-স্পিনার হিসেবে, যদি আমি এই বিদেশি লিগে খেলতে পারি, তাহলে এটা আমার জন্য এবং আমার বোলিংয়ের জন্য ভালো হবে। আমি আমার দক্ষতা উন্নত করার সুযোগ পাব।’’
এই সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষেত্রে আরো কিছু ভাবনা কাজ করেছে তার, ‘‘আমি নিজেকে জিজ্ঞাসা করছিলাম, আমার খেলার উন্নতির জন্য আমি কী করতে পারি। তারপর আমি ভাবলাম, যদি আমি এই লিগগুলিতে খেলতে পারি, তাহলে এটি আমার জন্য উপকারী হবে। যদি আপনি দেখেন, ম্যাচগুলো বিভিন্ন ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হবে- আমার খেলার স্বপ্নের মাঠ।’’
রিশাদকে দলে নেয়ার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছেন রিকি পন্টিং। শেষ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩ ওভারের স্পেলে ২৩ রানে ২ উইকেট পেয়েছিলেন রিশাদ। বিশ্বকাপের ম্যাচেই রিশাদে মন মজেছিলেন হোবার্টের হেড অব স্ট্র্যাটেজি রিকি পন্টিং।
কিংবদন্তি পন্টিংয়ের সঙ্গে কাজ করার অপেক্ষায় রিশাদ, ‘‘ছোটবেলায় পন্টিং আমার প্রিয় খেলোয়াড়দের একজন ছিলেন। আমি তার খেলা দেখতাম। আমি সত্যিই তার সঙ্গে কাজ করার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। খেলোয়াড়দের চেয়েও বেশি, আমি রিকি পন্টিংয়ের সঙ্গে কাজ করার এবং তার কোচিংয়ে খেলার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি।’’
সাকিব আল হাসানের পর প্রথম বাংলাদেশি ক্রিকেটার হিসেবে বিগ ব্যাশে খেলার অপেক্ষায় রিশাদ। ২০১৪ সালে অ্যাডিলেইড স্ট্রাইকার্সের হয়ে দুটি ও ২০১৫ সালে মেলবোর্ন রেনেগেডসের হয়ে চারটি ম্যাচ খেলেন সাকিব। প্রথমবার তিনি সুযোগ পান ইয়োহান বোথার বদলি হিসেবে আর পরের বার খেলেন আন্দ্রে রাসেলের বদলি হয়ে। ড্রাফট থেকে সরাসরি সুযোগ পাওয়া রিশাদই প্রথম।
নিজের লক্ষ্যে জানাতে গিয়ে রিশাদ যোগ করেন, ‘‘একজন লেগ স্পিনার হিসেবে আমার কাজ হলো পাওয়ার প্লের পর উইকেট নেওয়া। আশা করি হোবার্টেও এটা অব্যাহত থাকবে। আমি আমার শক্তিতে বিশ্বাস করি এবং দিনের পর দিন আমি উন্নতি করার চেষ্টা করছি, এমনকি যদি তা মাত্র এক বা দুই শতাংশও হয়; ভবিষ্যতের কথা খুব বেশি না ভেবে।’’