ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজে ইতোমধ্যেই ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে আছে অস্ট্রেলিয়া। এবার দল পাচ্ছে আরেক বড় স্বস্তির খবর। অ্যাডিলেডে তৃতীয় টেস্টে ফিরতে পুরোপুরি প্রস্তুত অধিনায়ক প্যাট কামিন্স।
তবে সুখবরের মাঝেও হতাশা আছে। গতিময় বোলার জশ হ্যাজলউড অ্যাকিলিস টেন্ডনের চোটে পুরো সিরিজ থেকেই ছিটকে গেছেন। এখন তার লক্ষ্য ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে ওঠা।
এদিকে ওপেনার উসমান খাজাও চোট কাটিয়ে তৃতীয় টেস্টে ফেরার সম্ভাবনায় আছেন। পিঠের ব্যথায় ব্রিসবেন টেস্টে খেলতে পারেননি তিনি। তার অনুপস্থিতিতে জেক ওয়েদারাল্ডের সঙ্গে ইনিংসের শুরুতে নেমেছিলেন ট্রাভিস হেড। খাজা ফিরলে সম্ভবত তিনি জায়গা নেবেন জশ ইংলিসের স্থানে। তবে কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড জানিয়েছেন- দল চাইলে খাজাকে মিডল অর্ডারেও খেলানোর পথ খোলা আছে। যাতে হেড-ওয়েদারাল্ড জুটি ওপেনিংয়ে অব্যাহত থাকতে পারে।
আজ মঙ্গলবার তৃতীয় টেস্টের জন্য অস্ট্রেলিয়া দল ঘোষণা করার কথা রয়েছে। আর ১৫ সদস্যের স্কোয়াডে একমাত্র নতুন সংযোজন হিসেবে থাকবেন কামিন্স।
এ বিষয়ে কোচ ম্যাকডোনাল্ড বলেন, “ওর শরীর সম্পূর্ণ প্রস্তুত। আগামী এক সপ্তাহে অন্য কোনো সমস্যা না হলে আশা করছি অ্যাডিলেডে টস করতে দেখবেন প্যাটকেই।”
হ্যাজলউডকে হারানোর দুঃখের কথাও লুকাননি কোচ, “দুর্ভাগ্যজনকভাবে জশ অ্যাশেজের আর কোনো ম্যাচেই থাকতে পারবে না। ওর জন্য খুব খারাপ লাগছে। কিছু অপ্রত্যাশিত জটিলতা তৈরি হয়েছে। আমরা ভেবেছিলাম সিরিজে ওর ভূমিকা হবে অনেক বড়। চোটটা আগের থেকে আলাদা। পেশির নিচের অংশ থেকে অ্যাকিলিস পর্যন্ত। এখন ওর পুরো প্রস্তুতি যাবে বিশ্বকাপকে ঘিরে।”
জুলাইয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরের পর কোমরের হাড়ে স্ট্রেস ইনজুরিতে পড়েছিলেন কামিন্স। চার মাস কোনো ম্যাচ না খেলেও কোচ তার প্রস্তুতি নিয়ে চিন্তিত নন কোচ।
তিনি বলেন, “প্যাটের ম্যাচ প্র্যাকটিসের সুযোগ নেই। তবে এটা নতুন কিছু নয়। এর আগেও দীর্ঘ বিরতির পর আমরা ওকে একইভাবে তৈরি করেছি। গ্যাবায় যখন বাকিরা প্রস্তুতি নিচ্ছিল, প্যাট তখন অ্যালান বর্ডার ফিল্ডে ম্যাচ সিচুয়েশন ধরে একাধিক স্পেল করে শরীরকে ম্যাচের মতোই অভ্যস্ত করেছে। আমরা মনে করি যে প্রস্তুতি প্রয়োজন, সে পুরোটাই ও পেয়েছে।”
তিনি আরও যোগ করেন, “আমরা ভেবেছিলাম তার চেয়ে অনেক ভালো অবস্থায় ছিল কামিন্স। ব্রিসবেন টেস্টের আগেও ওকে নিয়ে বেশ আলোচনা হয়েছে। লোড, স্কিল রেডিনেস, সবই। এখন যেভাবে তাকে এগিয়ে থাকতে দেখছি, তাতে অ্যাডিলেডের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার জন্য ও পুরোপুরি প্রস্তুত। নেটে যে উচ্চমানের সিমুলেশন করেছে, তা ওকে ম্যাচরেডি করেই দিয়েছে।”