আনুষ্ঠানিক প্রশ্নোত্তর পর্ব তখনো শুরু হয়নি। সঞ্চালক নিজ থেকে শোয়েব আখতারকে জানতে জানতে চাইলেন, ‘‘ঢাকা ক্যাপিটালস থেকে আপনার প্রত্যাশা কি?’’
বিপিএলে প্রথমবার যুক্ত হয়েছেন কিংবদন্তি শোয়েব আখতার। ঢাকা ক্যাপিটালসে তাকে মেন্টর হিসেবে যুক্ত করেছে। সোজাসাপ্টা শোয়েব নিজের চাওয়া জানিয়ে দিলেন, ‘‘আমি চাই তাসকিন আমার গতির রেকর্ড ভাঙুক।’’
সরাসরি সাইনে এবার তাসকিনকে যুক্ত করেছে ঢাকা। মেন্টর শোয়েব উড়ে এসেছেন পাকিস্তান থেকে। খেলা ছাড়ার পর কোচিং পেশায় শোয়েবকে দেখা যায়নি তেমন। ধারাভাষ্য এবং নিজের ইউটিউবে বিশ্লেষণ করতেই দেখা যায় তাকে। হুট করে বাংলাদেশে এসে ঢাকার দায়িত্ব কেন নিলেন?
উত্তরটা তার মুখ থেকেই শুনুন, ‘‘আমি সবসময় এই দেশকে ভালোবাসি এবং দীর্ঘদিন ধরে এখানে আসতে চেয়েছিলাম, কিন্তু পারিনি। বাংলাদেশের মানুষের প্রতি আমার অগাধ ভালোবাসা রয়েছে এবং সারা জীবন আপনাদের কাছ থেকে যে ভালোবাসা আমি পেয়েছি, তা আমার কাছে অনেক বড় কিছু। ধন্যবাদ। আমি এখানে আসতে পেরে সত্যিই আনন্দিত।’’
বিপিএল নিয়ে শোয়েব যোগ করেন, ‘‘আমি এর আগে কখনো বিপিএলের অংশ ছিলাম না, তবে শুনেছি এটি খুব ভালো চলছে। অবশেষে, আমার এখানে আসার এবং এর অংশ হওয়ার সুযোগ হলো। আমি আমার শেখা জ্ঞানগুলো, বিশেষ করে ফাস্ট বোলিং সম্পর্কে, খেলোয়াড়দের মাঝে ছড়িয়ে দিতে চাই, তাদের অনুপ্রাণিত করতে চাই, ম্যাচ জেতার কিছু কৌশল শিখিয়ে দিতে চাই এবং তাদের মানসিকতাকে উন্নত করতে চাই।’’
তিনি আরো যোগ করেন, ‘‘আমার কাজ হবে আত্মবিশ্বাস দেওয়া, ম্যাচ জেতার কৌশল শেখানো এবং ঢাকা ক্যাপিটালসের মাধ্যমে বিশ্বের অন্যতম সুন্দর জাতি বাংলাদেশের মানুষের সাথে পুনরায় সংযোগ স্থাপন করা।’’
ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৬১.৩৭ কিলোমিটার গতির বলের মালিক শোয়েব। প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানদের জন্য তিনি ছিলেন হুমকির কারণ। পেস বোলিংয়ের যে ভাষা, যে মনোভাব তা সবটুকুই ছিল শোয়েবের বোলিংয়ে।
বাংলাদেশের পেস বোলিংয়েও বর্তমান সময়ে সেই একই তেজ, নিবেদন দেখতে পান শোয়েব, ‘‘পেস ব্যাটারি এখন বেশ ভালো দেখাচ্ছে। আমি সত্যিই আশা করি, ওরা বিশ্বকাপে অনেক দূর এগিয়ে যাবে। বাংলাদেশের পেস আক্রমণ এখন অন্যতম সেরা। যে দলগুলো এখন রোমাঞ্চ ছড়াচ্ছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশও অন্যতম।’’