খেলাধুলা

আসালঙ্কাকে সরিয়ে বিশ্বকাপের ব্যাটন শানাকার হাতে

২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ঘর গোছাতে শুরু করেছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি)। বড় টুর্নামেন্টের আগে নেতৃত্বে অস্থিরতা কাটাতে আবারও অভিজ্ঞ দাসুন শানাকার ওপরই আস্থা রাখল লঙ্কান বোর্ড। নির্বাচক কমিটির নতুন সিদ্ধান্তের ফলে ২০২৬ বিশ্বকাপ পর্যন্ত দ্বীপরাষ্ট্রের টি-টোয়েন্টি দলের সেনাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন তিনি।

মূলত চারিথ আসালঙ্কার সাম্প্রতিক অফ-ফর্ম এবং দলের অভ্যন্তরীণ কিছু স্পর্শকাতর ইস্যুর কারণেই নেতৃত্বের এই গুরুত্বপূর্ণ রদবদল ঘটিয়েছে প্রমোদয়া বিক্রমাসিংহের নেতৃত্বাধীন নতুন নির্বাচক কমিটি।

গত মাসে পাকিস্তানে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় সিরিজে আসালঙ্কার অসুস্থতার কারণে ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক হিসেবে দায়িত্ব সামলান শানাকা। তার অধীনে লঙ্কানরা সেই সিরিজের ফাইনালে জায়গা করে নেয়। যদিও পাকিস্তানের কাছে হেরে রানার্স-আপ হয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের। তবে শানাকার সুশৃঙ্খল নেতৃত্ব মন জয় করেছে বোর্ডের। নির্বাচক কমিটির চেয়ারম্যান প্রমোদয়া বিক্রমাসিংহে সাফ জানিয়েছেন, ‘‘আসন্ন বড় আসরগুলোর কথা মাথায় রেখে আমরা নেতৃত্বে একটি দীর্ঘমেয়াদী স্থিরতা চাইছিলাম। সেই লক্ষ্যেই শানাকাকে পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।’’

২০২৫ সালটি চারিথ আসালঙ্কার জন্য একেবারেই সুখকর ছিল না। ব্যাট হাতে চরম ব্যর্থতার পাশাপাশি অধিনায়ক হিসেবেও তিনি সাফল্যের মুখ দেখেননি। পরিসংখ্যান বলছে; এ বছরে টি-টোয়েন্টিতে তার মোট রান মাত্র ১৫৬, যেখানে ব্যাটিং গড় ছিল নগণ্য (১৫.৬০)। তার নেতৃত্বে ২০২৫ সালের টি-টোয়েন্টি এশিয়া কাপের ফাইনালের টিকিট পেতে ব্যর্থ হয় লঙ্কানরা।

ব্যক্তিগত ফর্মের পাশাপাশি পাকিস্তান সফরের একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাও তার বিপক্ষে গিয়েছে। রাওয়ালপিন্ডিতে স্টেডিয়ামের সন্নিকটে হওয়া এক সন্ত্রাসী হামলার পর খেলোয়াড়দের মধ্যে তৈরি হওয়া অসন্তোষ এবং পরবর্তী প্রশাসনিক পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার ক্ষেত্রে আসালঙ্কার ভূমিকায় বোর্ড সন্তুষ্ট ছিল না বলে বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে।

নেতৃত্বে পরিবর্তন আনলেও দল নির্বাচনে ধারাবাহিকতা বজায় রাখছে লঙ্কান বোর্ড। প্রমোদয়া বিক্রমাসিংহে নিশ্চিত করেছেন যে, পূর্ববর্তী কমিটির ঘোষিত ২৫ সদস্যের প্রাথমিক স্কোয়াডে কোনো রদবদল করা হচ্ছে না। চারিথ আসালঙ্কাও সেই স্কোয়াডের অংশ হিসেবে দলে থাকছেন।

নতুনভাবে পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব পাওয়ার পর শানাকার প্রথম চ্যালেঞ্জ হতে যাচ্ছে পাকিস্তান ও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আসন্ন সাদা বলের সিরিজ। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট আশা করছে, শানাকার অভিজ্ঞ কাঁধে ভর করেই ২০২৬ বিশ্বকাপের আগে লঙ্কান লায়নরা তাদের হারানো গৌরব ফিরে পাবে।