১৪ বছর পর লিওনেল মেসি কলকাতায়। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী তারকাকে ঘিরে উৎসবে সেজেছিল কলকাতা। কিন্তু চরম বিশৃঙ্খলতায়, অব্যবস্থাপনায় পণ্ড মেসিকে ঘিরে কলকাতার প্রায় সব আয়োজন।
যাদের জন্য মেসিকে কলকাতায় নিয়ে আসা, সমর্থকরা… তারা দেখাই পাননি মেসির। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে তারা সল্ট লেগে তাণ্ডব চালান। গ্যালারির সিট উপড়ে ফেলা, বোতল ছোঁড়া, মাঠে ঢুকে লণ্ডভণ্ড করাসহ স্টেডিয়ামের কার্পেট তুলে নিয়ে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছে।
কেন এমন কিছু হয়েছিল? মেসিকে ভারতে আনার মূল কারিগর শতদ্রু দত্ত জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছেন, বারবার স্পর্শ করা পছন্দ হয়নি মেসির। অস্বস্তিতে ভুগছিলেন তিনি। সল্ট লেকে ২০ মিনিট ছিলেন মেসি। কিন্তু বারবারই তাকে অস্বস্তিতে ভুগতে দেখা গিয়েছিল।
শতদ্রু জানান, ব্যক্তিগত স্পর্শ একেবারেই পছন্দ করেন না মেসি। বিষয়টি বিদেশ থেকে আসা নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের জানানো হলেও তা মানা হয়নি। অভিযোগ উঠেছে, পশ্চিমবঙ্গের ক্রীড়ামন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে আত্মীয়স্বজনদের অনুষ্ঠানে উপস্থিত করেছিলেন এবং মেসির সঙ্গে অস্বস্তিকরভাবে ছবি তুলেছিলেন। মেসিকে ভারতে নিয়ে যাওয়ার জন্য কত টাকা খরচ হলো? সেই উত্তরও জিজ্ঞাসাবাদে দিয়েছেন শতদ্রু। তিনি বলেছেন, ‘‘ভারত সফরের জন্য লিওনেল মেসিকে পারিশ্রমিক হিসেবে দেওয়া হয়েছে ৮৯ কোটি রুপি। পাশাপাশি কর বাবদ ভারত সরকারকে পরিশোধ করা হয়েছে আরও ১১ কোটি। সব মিলিয়ে মোট ব্যয়ের পরিমাণ দাঁড়ায় ১০০ কোটি রুপি ।’’
মেসিকে দেখার টিকিট ও মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানের বিশেষ পাস বিক্রি করে তোলা গেছে মোট ব্যয়ের মাত্র ৩০ শতাংশ। কলকাতায় মেসিকে দেখার জন্য ন্যূনতম সাড়ে চার হাজার টাকার টিকিট কিনেছিলেন ভক্তরা। হোটেলে মিট অ্যান্ড গ্রিট অনুষ্ঠানে ছবি তোলার জন্য নির্ধারিত মূল্য ছিল ২৫ লাখ টাকা। এছাড়া স্পনসরদের কাছ থেকেও এসেছে আরও ৩০ শতাংশ অর্থ।
শতদ্রু দত্তের জব্দ করা ব্যাংক হিসাবে ২০ কোটি রুপির বেশি পেয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া শতদ্রুর বাড়িতে তল্লাশি করে আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি জব্দ করেছেন তারা।