প্রথমে ফ্র্যাঞ্চাইজি ফি দিতে গড়িমসি। এরপর ব্যাংক গ্যারান্টি দিতেও টালবাহানা। নিলামের আগে চট্টগ্রাম রয়্যালসকে নিয়ে আলোচনা ছিল তুঙ্গে। তবুও তারা আত্মবিশ্বাসী ছিল, বিপিএলে দল বাছাই করতে পারবে এবং দল মাঠে নামাতে পারবে।
নিলামে নাঈম শেখের পারিশ্রমিক উঠে ১ কোটি ১০ লাখ টাকা। চট্টগ্রাম সর্বোচ্চ বিডিং করে নাঈকে দেল নেয়। কিন্তু বল মাঠে গড়ানোর ৪৮ ঘণ্টা আগে হুট করেই চট্টগ্রামের মালিকানা ছেড়ে দিয়েছেন ফ্র্যাঞ্চাইজিটির মালিক আবদুল কাইয়ুম। গত দুদিন ধরে তাকে পাওয়া যাচ্ছিল না। দলের একাধিক বিদেশি ক্রিকেটার, কোচ চট্টগ্রামে যোগ দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পরিস্থিতি অনেকটাই অনুমান করা যাচ্ছিল কী হতে যাচ্ছিল। সেটাই হয়েছে।
বিপিএল শুরুর আগের দিন মালিকানা ছেড়ে দিয়েছেন চট্টগ্রাম রয়্যালস ফ্র্যাঞ্চাইজির স্বত্বাধিকার। ই-মেইলকে বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলকে চিঠি দিয়েছে চট্টগ্রাম রয়্যালস। তারা জানিয়েছে, আর্থিক অবস্থা ভালো না হওয়াতে বিপিএল থেকে সরে যেতে হচ্ছে তাদেরকে। খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক, অন্যান্য খরচসহ যে টাকা ব্যয় করতে হতো সেটা তাদের কাছে নেই এবং পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান থেকেও প্রত্যাশিত সাড়া তারা পাননি।’
ট্রায়াঙ্গুল সার্ভিসেস নামে একটি প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম রয়্যালস দলটি কিনেছিল। শুরু থেকেই তাদের আচরণ এবং কার্যকালাপ পছন্দ হচ্ছিল না বিসিবির। কিন্তু বারবারই তারা সময় চাওয়ায় বিসিবিও অনেকটা নিরুপায় হয়ে পড়ে। এবার বিসিবিকেই সেই দলের দায়িত্ব নিতে হচ্ছে।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের সদস্য সচিব ইফতেখার রহমান মিঠু বৃহস্পতিবার দুপুরে রাইজিংবিডিকে বলেছেন, ‘‘চট্টগ্রাম রয়্যালস জানিয়েছে, দল পরিচালনা করার মতো পর্যাপ্ত অর্থ তাদের কাছে নেই। এ অবস্থায় দল পরিচালনা করা ঠিক না। আমরা আলোচনা আগেই করেছি কোনো দল যদি শেষ মুহূর্তে বিসিবির ক্রাইটেরিয়া ফুলফিল না করে তাহলে বিসিবি দল চালাবে। সেটাই সিদ্ধান্ত।’’
বিপিএলের আগে পারিশ্রমিকের ২৫ শতাংশ টাকা পাওয়ার কথা ছিল ক্রিকেটারদের। চট্টগ্রামের কোনো ক্রিকেটার এখনও এক টাকাও পাননি। ডি/এর টাকাও বকেয়া পড়েছে। জমতে শুরু করেছে হোটেলের বিল। এদিকে বিসিবি দলটির দায়িত্ব দিয়েছে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক হাবিবুল বাশারকে। ম্যানেজার হিসেবে থাকবেন নাফিস ইকবাল এবং কোচ হিসেবে মিজানুর রহমান বাবুল দায়িত্ব পালন করবেন।