খেলাধুলা

অভিভাবক হারিয়ে স্তব্ধ শরিফুল, মেন্টরকে আজীবন মনে রাখবেন নাভিদ

যে মাঠ, সবুজ ঘাসে পায়চারী করেছেন ক্রিকেট বল আর ক্রিকেটারদের নিয়ে, সেই মাঠ থেকেই চিরবিদায় নিলেন কোচ মাহবুব আলী জ্যাকি। বিপিএলের মঞ্চে শনিবার নেমে এলো শোকের ছায়া।  

ঢাকা ক‌্যাপিটালসের সহকারী কোচ জ‌্যাকি মাঠে হার্ট অ‌্যাটাকের পর হাসপাতালে মারা যান। তার মৃত‌্যুতে শোক প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি), ঢাকা ক‌্যাপিটালস ও রাজশাহী ওয়ারিয়র্স। উল্লেখিত দুই দলের  ম‌্যাচের ইনিংস বিরতিতে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।

মাহবুব আলী জ্যাকির মৃত্যুর খবরে সিলেটের আল হারমাইন হাসপাতালে ছুটে গেছেন বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, পরিচালক নাজমুল আবেদীন ফাহিম, ক্রিকেটার নাঈম শেখ, হাসান মাহমুদ, শরিফুল ইসলামরা। 

গেম ডেভেলপমেন্টের কোচ জ‌্যাকি ২০০৮ সালে বিসিবিতে যোগ দেন। পেসারদের নিয়েই মূল কাজটা করেছেন তিনি। তাসকিন, শরিফুল, তানজিমসহ একাধিক ক্রিকেটারের উঠে আসার পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছেন তিনি। তার হঠাৎ প্রয়াণ এ কারণে মেনে নিতে পারছেন না কেউই। 

শরিফুল ইসলাম ফেসবুক পেজে লিখেছেন: ‘‘খবরটা শুনে এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না আপনি আর আমাদের মাঝে নেই মাহবুব আলী জ্যাকি স্যার। অনূর্ধ্ব-১৯ সময় থেকে আপনার হাত ধরেই আমাদের শেখা শুরু, এরপর বিশ্বকাপ জয়—প্রতিটি মুহূর্তে আপনি পাশে ছিলেন অভিভাবকের মতো। গত পরশু দিনও প্র্যাকটিসে আমরা কত হাসি-আড্ডা করেছি, ভাবতেই বুকটা ভার হয়ে আসে।’’

২০২০ সালে বাংলাদেশ জিতেছিল অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ। সে দলের পেস বোলিং কোচ ছিলেন জ‌্যাকি। প্রধান কোচ ছিলেন নাভিদ নওয়াজ। সতীর্থর মৃত্যুতে স্তব্ধ নাভিদ। তিনি লিখেছেন: ‘‘মাহবুব আলী জ‌্যাকির মৃত্যুতে গভীরভাবে শোকাহত। তিনি কেবল একজন বোলিং কোচই ছিলেন না, তিনি দক্ষিণ আফ্রিকায় ২০২০ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ জয়যাত্রায় একজন পরামর্শদাতা, পথপ্রদর্শক এবং বিশ্বাসের এক অবিচল উৎস ছিলেন। তার সাথে কাজ করা ছিল সম্মানের, এবং তার নিষ্ঠা, জ্ঞান এবং উদারতা আমাদের সকলের উপর স্থায়ী প্রভাব ফেলেছে। তার গড়ে তোলা খোয়াড়দের মাঝেই তার উপস্থিতি টের পাওয়া যাবে আজীবন। তোমাকে সবসময় মনে রাখা হবে।’’

লেগ স্পিনার রিশাদ হোসেন আছেন অস্ট্রেলিয়াতে। খেলছেন বিগ ব‌্যাশে। সেখানে জ‌্যাকির মৃত্যুর খবর শুনে ভেঙে পড়েছেন। রিশাদ লিখেছেন: ‘‘সুদূর অস্ট্রেলিয়াতে যখন শুনছি মাহবুব আলী জ্যাকি স্যার আর আমাদের মাঝে নেই, অনেক কষ্ট অনুভব করছি। স্যারের সাথে আমাদের তৎকালীন অনূর্ধ্ব-১৯ দলের একটা আলাদা ভালোবাসার জায়গা ছিলো। আল্লাহ ওনাকে জান্নাতবাসী করুন।’’