আফ্রিকা কাপ অব নেশনসের (আফকন) মঞ্চে দীর্ঘ চার দশকের এক বিষণ্ণ অধ্যায়ের অবসান ঘটল। অবশেষে ‘মাম্বাস’দের মুখে ফুটল জয়ের হাসি। ৩৯ বছরের দীর্ঘ অপেক্ষা আর টানা ১৬ ম্যাচের জয়হীন খরা কাটিয়ে গ্যাবনের বিপক্ষে ৩-২ গোলের মহাকাব্যিক এক জয় ছিনিয়ে নিয়েছে মোজাম্বিক। এই জয়ে কেবল কলঙ্কিত রেকর্ডই মুছল না, বরং প্রথমবারের মতো নকআউট পর্বে ওঠার প্রবল সম্ভাবনাও জাগিয়ে তুলেছে দলটি।
মোজাম্বিকের রোমাঞ্চকর জয়: মোজাম্বিক বনাম গ্যাবন ম্যাচে লড়াই ছিল সমানে সমান। ম্যাচের ৩৭ মিনিটে ফয়সাল বাংগালের জোরালো হেডে লিড নেয় মোজাম্বিক। পাঁচ মিনিট পরই গেনি কাতামোর সফল পেনাল্টি কিকে ব্যবধান দ্বিগুণ হয়। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে পিয়েরে-এমেরিক অবামেয়াং গোল করে গ্যাবনকে ম্যাচে ফেরালেও দ্বিতীয়ার্ধে কালিলার গোল মোজাম্বিকের জয় প্রায় নিশ্চিত করে ফেলে। ৭৬ মিনিটে মুসসুন্দা গ্যাবনের পক্ষে আরও এক গোল শোধ করলেও শেষ পর্যন্ত ৩-২ ব্যবধানের ঐতিহাসিক জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে মোজাম্বিক।
মাহরেজের ম্যাজিকে শেষ ষোলোতে আলজেরিয়া: একই রাতে দাপট দেখিয়েছে দুইবারের চ্যাম্পিয়ন আলজেরিয়াও। রিয়াদ মাহরেজের দুর্দান্ত পেনাল্টি গোলে বুরকিনা ফাসোকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়েছে তারা। চলতি আসরে এটি মাহরেজের তৃতীয় গোল। এই জয়ের ফলে মিসর ও নাইজেরিয়ার পর তৃতীয় দল হিসেবে আসরের শেষ ষোলো নিশ্চিত করল আলজেরিয়া। ম্যাচ শেষে আলজেরীয় ফরোয়ার্ড ইব্রাহিম মাজা বলেন, ‘‘লক্ষ্য ছিল কেবল জয়, ম্যাচটা কঠিন হলেও আমরা সফল হয়েছি।’’
চ্যাম্পিয়নদের অপেক্ষা ও সুদানের স্বস্তি: ম্যারাকেশে বর্তমান শিরোপাধারী আইভরি কোস্ট ও ক্যামেরুনের হাইভোল্টেজ ম্যাচটি ১-১ ড্রয়ে শেষ হয়েছে। ফলে নকআউট পর্বের জন্য চ্যাম্পিয়নদের আরও কিছুক্ষণ অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। অন্যদিকে, ক্যাসাব্লাঙ্কায় ইকুয়েটোরিয়াল গিনির বিপক্ষে আত্মঘাতী গোলের কল্যাণে ১-০ ব্যবধানে জয় পেয়েছে সুদান। ১৯৭০ সালের চ্যাম্পিয়নদের জন্য এটি গত ১৮ ম্যাচে মাত্র দ্বিতীয় জয়, যা তাদের আসরে টিকে থাকার অক্সিজেন জোগাল।
পয়েন্ট টেবিলের সমীকরণ: গ্রুপ ‘এফ’-এ টানা দুই হারে খাদের কিনারায় গ্যাবন। অন্যদিকে, জয় পেলেও গোল ব্যবধানে পিছিয়ে থেকে পয়েন্ট তালিকার তিনে অবস্থান করছে মোজাম্বিক। এই গ্রুপে ৪ পয়েন্ট নিয়ে যৌথভাবে শীর্ষে রয়েছে আইভরি কোস্ট ও ক্যামেরুন।