হাবিবুর রহমান স্বপন : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মৃত্যুর মাত্র তিন মাস আগে লিখেছিলেন ‘সভ্যতার সংকট’ প্রবন্ধ। তিনি লিখেছেন, ‘সভ্যতাকে যারা চরিত্র-উৎস থেকে উৎসারিতরূপে স্বীকার করেছে, রিপুর প্রবর্তনায় তারা তাকে কী অনায়াসে লঙ্ঘন করতে পারে?’
এ প্রসঙ্গে তিনি পারস্য দেশসমূহ কীভাবে ইউরোপের দুটি অংশের দ্বারা পিষ্ট হয় এবং এ থেকে তারা কীভাবে মুক্ত হলো উল্লেখ করেছেন। একই সঙ্গে রাশিয়ার (তৎকালীন সোভিয়েত ইউনিয়ন) সঙ্গে আরব রাষ্ট্রসমূহের সুসম্পর্কের কথা উল্লেখ করেছেন। ব্রিটিশদের দ্বৈত নীতির সমালোচনা করেছেন। আফিমের বিষে চীনের একটি অংশ দখল করে নেয়া এবং ব্রিটিশদের দস্যুবৃত্তির কথাটিও উল্লেখ করেছেন। জাপানিদের চীন আক্রমণ তাকে ব্যথিত করেছিল। তিনি ইউরোপের বর্বরতায় মানবাত্মার অপমান এবং কলুষিত হওয়ায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। সভ্যতার সংকট এখনও চলছে। যদিও বলা হয়ে থাকে, মানুষ জ্ঞানে-বিজ্ঞানে অনেক এগিয়েছে। বাহ্যিক দৃষ্টিতে সভ্যতার চরম শিখরে এখন বিশ্ববাসী। কিন্তু প্রকৃত সত্য তার উল্টো। এখনও চলছে বৈষম্য, হত্যা, লুণ্ঠন, দখল, অনিয়ম, অনাচার, নির্যাতন, বর্বরতা। বিজ্ঞানের উৎকর্ষ যতটা মানব কল্যাণে তার চেয়েও বেশি মানবতাকে নষ্ট করার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রতিদিন গুলি আর বোমার আঘাতে মৃত্যু যন্ত্রণা ভোগ করছে শত-সহস্র মানুষ। সভ্যতার মুখোশে চলছে অসভ্য আচরণ। এখনও ক্রীতদাস আছে। এখনও দেশ দখল চলছে। তবে এখন সে সব হচ্ছে সভ্যতার আবরণে। আধুনিক ক্রীতদাসকে বেতন বা পারিশ্রমিক দেয়া হয়। তার শ্রম শোষণ করা হয় স্বল্প পারিশ্রমিকে। এ ছাড়াও কোথাও কোথাও বন্দি করে নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে আটকে রেখে শ্রম আদায় করা হয়। কম মূল্যে শ্রম বিক্রি করতে বাধ্য করা হয়। আগে সরাসরি দেশ দখল করে লুটপাট করা হতো। যেমন আলেকজান্ডার, সুলতান মাহমুদ, নাদির শাহ, ব্রিটিশ বেনিয়ারা বিভিন্ন সময় ভারত আক্রমণ করে লুটপাট করে সম্পদ নিয়ে গেছে। এখনও চলছে লুটপাট, দেশ দখল। এখনকার দখল ভিন্ন কায়দায় হচ্ছে। এক দেশের সঙ্গে অপর দেশের গণ্ডগোল বাধিয়ে দিয়ে অস্ত্র বাণিজ্য এবং সেই সাথে তাদের প্রাকৃতিক সম্পদ নিজেদের করায়ত্ব করার বৈজ্ঞানিক কায়দা খুঁজছে নব্য সাম্রাজ্যবাদীরা।বিভিন্ন দেশে উগ্র ধর্মান্ধ গোষ্ঠীর হাতে প্রতিদিন শত সহস্র মানুষের জীবন যাচ্ছে। বিশ্বের অন্যতম সভ্য দেশ বলে দাবিদার গণতন্ত্রের প্রবক্তা এবং রক্ষক হিসেবে পরিচিত আমেরিকা এবং ইংল্যান্ডে প্রতিদিনই হত্যাকাণ্ড ঘটছে। সাদা-কালোর দ্বন্দ্ব এখনো চলছে। একদা দেশ দখল ও লুটপাট ছিল বৈধ। স্পেনের রানী ইসাবেলা কলম্বাসকে কয়েকটি জাহাজ এবং অস্ত্র দিয়ে পাঠিয়েছিলেন নতুন দেশ আবিষ্কার করার জন্য। উদ্দেশ্য ছিল আবিষ্কৃত দেশটি নিজেদের আয়ত্বে নেয়া। আমেরিকা এক সময় ইংল্যান্ডের দখলে ছিল। অর্থাৎ আমেরিকা ছিল ব্রিটিশদের করদ বা উপনিবেশ। যুদ্ধ করে ব্রিটিশদের হাত থেকে স্বাধীনতা ছিনিয়ে নিতে হয়েছে আমেরিকানদের। আবার সেই আমেরিকাই কয়েকটি দেশ দখল করে ঔপনিবেশিক রাষ্ট্র করে রেখেছে। ব্রিটেন এখনো প্রায় চার হাজার কিলোমিটার দূরের ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জে ঔপনিবেশিক শাসন চালাচ্ছে। ফ্রান্সও কয়েকটি দেশে ঔপনিবেশিক শাসন চালিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর প্রথম মহাযুদ্ধ দেখলেও দ্বিতীয় মহাযুদ্ধের শেষ দেখে যেতে পারেননি। দেখলে বা জানলে জাপানের হিরোশিমা এবং নাগাসাকির এটম বোমায় মর্মান্তিক মৃত্যু সম্পর্কে অবহিত হয়ে কী মন্তব্য করতেন? ভিয়েতনাম যুদ্ধ এবং ফকল্যান্ড যুদ্ধও দেখতে পারেননি তিনি। ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধ, চীন-ভারত যুদ্ধ, আরব-ইসরাইল যুদ্ধ, ইরান-ইরাক যুদ্ধ কিংবা ইরাক কর্তৃক কুয়েত দখল রবীন্দ্রনাথের দেখার দুর্ভাগ্য হয়নি। যদি দেখতে বা জানতে পারতেন তা হলে তিনি কী আর একটি প্রবন্ধ লিখতেন? তার নাম কী হতো? হয়তো বা প্রবন্ধটির নামকরণ করা হতো ‘সভ্যতার মহাসঙ্কট’। যদি চলমান মধ্যপ্রাচ্যের বর্বর যুদ্ধ, হানাহানি দেখতেন তাহলে বোধ করি লিখতেন ‘সভ্যতার ভয়াবহ সঙ্কট’।প্রাচীন মিশর (খ্রিস্টপূর্ব ৩১০০ অব্দ), আসিরিয়ান সাম্রাজ্য (২৪০০- ৬০৬ খ্রিস্টপূর্বাব্দ), ব্যাবিলিয়ন সাম্রাজ্য (খ্রিস্টপূর্বাব্দ), রোম সাম্রাজ্য (খ্রিস্টপূর্ব ৭৫৩ থেকে ৪৭৬ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত), পারস্য সাম্রাজ্য (খ্রিস্টপূর্ব ৬২ থেকে ৬৫১ পর্যন্ত), মেসিডোনিয়া সাম্রাজ্য (খ্রিস্টপূর্বাব্দ ৩৫৬ থেকে ৩২৩), ভারতীয় উপমাহদেশীয় সাম্র্রাজ্য (৩২২ থেকে ১৮৫ খ্রিস্টপূর্বাব্দ), ইসলামী সাম্রাজ্য (৬৩২ থেকে ১০৫৫ খ্রিস্টাব্দ)। এ ছাড়াও বাইজান্টাইন সাম্রাজ্য (৩৯৫ থেকে ১৮৫৩ খ্রি.), অটোমান সাম্রাজ্য (১৩৬৩ থেকে ১৯২২ খ্রি.), ভারতের মুঘল সাম্রাজ্য (১৫২৬ থেকে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দ), ব্রিটিশ সাম্রাজ্য ইত্যাদি বিশ্লেষণ করলে জানা যায় ক্রমান্বয়ে মানুষ সভ্যতার দিকে অগ্রসর হয়েছে। একটি সভ্যতার উত্তরণ ঘটাতে বহু ত্যাগ এবং জীবন বিসর্জন দিতে হয়েছে। হত্যা-লুটপাট, জোর-জবরদস্তি থেকে মানুষ ক্রমশ কৌশলী হতে শিখেছে। জ্ঞান-বিজ্ঞানে, শিক্ষা-দীক্ষায় উন্নতি লাভ করেছে। এই পরিবর্তনকেই আমরা বলে থাকি সভ্যতার বিকাশ লাভ করা।বিজ্ঞানে ধারাবাহিকভাবে উন্নতি হয়েছে। আদিম মানুষের আগুন আবিষ্কার এবং খ্রিস্টপূর্ব ৩৮০০ বছর আগে চাকা আবিষ্কার থেকে শুরু করে এখন পর্যন্ত যে উন্নতি হয়েছে তার অনেক কিছু কল্যাণের কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। আবার অনেক কিছু ব্যবহৃত হচ্ছে মানবতা ধংসের জন্য। ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে জেমস ওয়াটের স্টিম ইঞ্জিন উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্ববাসী যন্ত্রশিল্পের পথে অগ্রসর হলো। ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে টমাস আলভা এডিসনের বৈদ্যুতিক আলো বা বাল্ব উদ্ভাবনের মাধ্যমে পৃথিবী আলোকিত হলো। ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে রাইট ভাতৃদ্বয় বিমান আবিষ্কার করে সভ্যতার যে সূচনা করে দেন তা ক্রমান্বয়ে ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে রকেটে উন্নীত হয়। এবং এর মাধ্যমে নিল আর্মস্ট্রং চাঁদে পা রাখার মধ্য দিয়ে মানব ইতিহাসে এক নতুন যাত্রা সূচনা করেন। এখন তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গল গ্রহসহ অন্যান্য গ্রহে মানুষ যেতে চাচ্ছে। আলফ্রেড নোবেল ডিনামাইট আবিষ্কার করে বহু অর্থ আয় করে নোবেল পুরস্কার প্রবর্তন করেছেন। তার সমস্ত সম্পদ নোবেল পুরস্কারের জন্য দিয়ে গেছেন। তিনি ডিনামাইট আবিষ্কার করেন দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় সড়ক নির্মাণ এবং খনিজ সম্পদ অনুসন্ধানের লক্ষ্যে। কিন্তু তা ব্যবহার হয় যুদ্ধের অস্ত্র হিসেবে। মানবতার শত্রু এই ডিনামাইট কত মানুষকে যে হত্যা করেছে তার হিসেব কে করেছে? এটম বোমা, হাইড্রোজেন বোমা, নাপাম বোমা এবং অন্যান্য মারাত্মক অস্ত্র যারা তৈরি করেছেন বা উদ্ভাবন করেছেন তারাও এসবের ব্যবহারে মৃত্যু দেখে আঁতকে উঠেছেন। জাপানে হিরোশিমায় আণবিক বোমা নিক্ষেপের পর সেখানকার বিভীষিকা দেখে বোমা নিক্ষেপকারি বিমানের চালক আঁতকে উঠেছিলেন।কিন্তু প্রকৃত অবস্থা কী? যুদ্ধাস্ত্র যারা তৈরি বা আবিষ্কার করেছেন তারও অস্ত্রের ব্যবহারে অসংখ্য মানুষের মৃত্যুতে ব্যথিত হয়েছেন। এর পরেও চলছে আরও আধুনিক এবং স্বয়ংক্রিয় মারণাস্ত্র তৈরির প্রতিযোগিতা। কে কাকে টেক্কা দিতে পারে! যেমন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় জার্মানের আগে আইনস্টাইনের দেয়া ফর্মুলায় এবং পরামর্শ মোতাবেক আমেরিকা পরমাণবিক বোমা তৈরি করেছিল। যদিও আইনস্টাইন বলেছিলেন, ‘যুদ্ধ হলো একটি ভয়াবহ জীবনবিনাশী সংক্রামক রোগ।’আবার মানুষ চেষ্টা করছে কী করে দীর্ঘায়ু হওয়া যায়। রোগে যেন মানুষের অকাল মৃত্যু না হয় তার জন্যও মানুষের নিরন্তর গবেষণা চলছে। মহাবীর আলেকজান্ডার ৩২৩ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে পশ্চিমে গ্রীক থেকে পূর্বে ভারতীয় উপমহাদেশ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ দখল করেন। মাত্র ৩৩ বছর বয়সে সামান্য জ্বরে আক্রান্ত হয়ে তার মৃত্যু হয়। প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে চিকিৎসা পদ্ধতির সূচনা হয়। ১৭৯৬ খ্রিস্টাব্দে এডওয়ার্ড জেনার বসন্ত রোগের প্রতিষেধক আবিষ্কার করে মানবজাতিকে প্রায় ধংসের কিনারা থেকে রক্ষা করেন। এরপর ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে লুই পাস্তরের জলাতঙ্কের টিকা আবিষ্কার আরেকটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। এভাবেই পৃথিবীতে মানুষের গড় আয়ু বেড়েছে।পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতির কারণে বিশ্ব এখন ছোট হয়ে এসেছে। ১৮৪৪ খ্রিস্টাব্দে স্যামুয়েল মোর্সের টেলিগ্রাম আবিষ্কার, ১৮৭৫ খ্রিস্টাব্দে আলেকজান্ডার গ্রাহাম বেলের টেলিফোন উদ্ভাবন এবং ১৮৯৬ খ্রিস্টাব্দে মার্কনির রেডিও উদ্ভাবনের মধ্য দিয়ে এখন কম্পিউটার, ইন্টারনেট, ই-মেইল যোগাযোগ ব্যবস্থা সহজতর হয়েছে। ক্রমবিকাশমান পৃথিবীতে যুগে যুগে আবির্ভুত মহান ধর্ম প্রচারক, বিজ্ঞানী, দার্শনিক, শিক্ষক, সাহিত্যিক তাঁদের অসাধারণ মেধাশক্তি এবং সীমাহীন শ্রমে, ঘামে, ত্যাগে, আগ্রহে ও ইচ্ছায় মানব উন্নয়নের বিভিন্ন ক্ষেত্রে অবদান রেখে আজকের এই উন্নত পৃথিবী গড়ে তুলেছেন। কিন্তু আমরা এখন কী করছি? আমরা ক্রমশ ধংসের বিভীষিকাকে আলিঙ্গন করছি। বিজ্ঞানের বিস্তৃতিকে ধংসের কাজে লাগাচ্ছি। দেশে দেশে চলছে অশান্তি। যুদ্ধের বিভীষিকায় নারী-শিশুরা সবচেয়ে বিপর্যয়ের মধ্যে পতিত হচ্ছে। প্রাচীন সভ্যতা বা ইতিহাসের সাক্ষীসমূহ গোলার আঘাতে ধংস হয়ে যাচ্ছে। মানবতা মাথা কুটে মরছে প্রতিনিয়ত। ধর্মের কারণে যুদ্ধ যা ধর্মযুদ্ধের বর্ণনা প্রায় প্রতিটি ধর্মগ্রন্থেই আছে। ন্যায় যুদ্ধই হোক বা রাজ্য দখলের জন্য যুদ্ধ- প্রতিটি যুদ্ধেই রক্ত ক্ষয় হয়, জীবন নাশ হয়। আবার নিকটজনকে হত্যা করে ক্ষমতাসীন হওয়ার সাক্ষ্য পাওয়া যায় ইতিহাস গ্রন্থ থেকে। পিতা পুত্রকে, পুত্র পিতাকে এবং ভাই ভাইকে খুন করে ক্ষমতায় বসেছে। এখনও ক্ষমতা দখল হয় দেশে দেশে।সভ্যতার ইতিহাস মানবজাতির ধীরগতি ও বেদনাপূর্ণ রাজনৈতিক অধিকার অর্জনের ইতিহাস। তবে মহান দার্শনিক রুশোর কথাটাই বোধকরি শতভাগ সঠিক, ‘সভ্যতা যতই উন্নত হয়, মানুষ ততই অনুন্নত হয়।’ বিশ্বের বর্তমান অবস্থা দেখে মনে করা অবান্তর হবে না যে, মানুষের প্রতি মানুষের দরদ-মমত্ববোধ হ্রাস পেয়েছে। মানুষ, মানুষকে বিশ্বাস করতে পারছে না। মানুষের বর্বরতা পশুকেও হার মানাচ্ছে। উগ্রতা, চরমপন্থা এবং ঠগী কায়দায় চলছে বিশ্ব। ধর্মের নামে কুসংস্কার, গোঁড়ামি চলছে। কন্যা-জায়া-জননীদের এখনো অনেক দেশে অন্ধকারে রাখা হচ্ছে। মানব পাচার হচ্ছে। অভাব ও ক্ষুধার যন্ত্রণায় মা সন্তান বিক্রি করে দিচ্ছে। নতুন পদ্ধতির ক্রীতদাস প্রথা চলছে দেশে-দেশে। নারী পণ্য হিসেবে বিকিকিনি হচ্ছে। সভ্যতার আড়ালে চলছে বর্বরতা।অশান্ত পৃথিবীতে কী এভাবেই অশান্তির বাতাস বইবে? রবীন্দ্রনাথের মতো আমরা কি মানুষের প্রতি বিশ্বাস রাখতে পারবো? নাকি বিশ্বাস হারিয়ে পাপের সাগরে নিমজ্জিত হবো? মনুষ্যত্বের অন্তহীন প্রতিকারহীন পরাভব চরম বলে কি আমরা তা বিশ্বাস করবো? সভ্যতা এখন আমাদের নিজেদের তৈরি করা নিকৃষ্ট উৎপাদন সামগ্রীর দ্বারা দূষিত হচ্ছে। এখনো বিশ্বে অসংখ্য দরিদ্র মানুষ আছে, তাই আমরা বিশ্ববাসী কেউই সভ্য বলে গর্ব করতে পারি না। সভ্যতার এই চরম সঙ্কট মোকাবেলা করার জন্য প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। অন্যথায় মানবতা নামক শব্দটি অভিধানে থাকবে না।লেখক: সাংবাদিক, কলামিস্টরাইজিংবিডি/ঢাকা/২২ জুন ২০১৫/তাপস রায়