ভ্রমণ

টাকশালের নিরাপত্তা ও বিদেশ নির্ভরতা

মো. আবুল হাসান, খন রঞ্জন রায় : ইংরেজরা বলেন ‘নো মানি নো ওয়ার্ল্ড’। যার টাকা নেই তার জন্য এই গ্রহে বসবাস অর্থহীন। এই টাকা সৃষ্টির পেছনে রয়েছে অনেক অজানা রহস্যজনক ইতিহাস। কেউ বলেন, রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার মূলেই রয়েছে মুদ্রার জন্ম। আবার অনেকে বলেন, মুদ্রার জন্ম পুরোটাই এর নিজস্ব একটি ব্যাপার; সরকার বা রাষ্ট্রের অস্তিত্ব না থাকলেও মুদ্রা থাকবে। বিতর্কটা অনেক জটিল। তবে মানব সমাজে মুদ্রার প্রচলন কোন সময়, কোথায় হয়েছে তা সঠিকভাবে নিরূপণ করা যায় না। মুদ্রা বিশারদ ও ঐতিহাসিকগণ বিভিন্ন সূত্র বিশ্লেষণ করে মুদ্রা আবিষ্কারের তারিখ ও স্থান সম্পর্কে বিভিন্ন মতামত ব্যক্ত করেছেন। আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব সপ্তম শতাব্দীতে প্রাচ্যে ও পশ্চাত্যে মুদ্রার ব্যবহার শুরু হয় বলে ধারণা করা হয়।সামাজিকভাবে লেনদেনের মাঝে পরস্পর মিলেমিশে থাকতেই মানুষ ভালবাসে। প্রকৃত বাস্তবতা হচ্ছে মানুষ স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। জীবন-যাপনের বিভিন্ন পর্যায়ে মানুষকে একে অন্যের উপর নির্ভর করতে হয়। এই পরস্পর নির্ভরশীলতা দিয়ে গড়ে উঠেছে মানুষের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক জীবনের ব্যষ্টিক ও সামষ্টিক কাঠামো। এই কাঠামো সচল থাকার মূলে রয়েছে ‘লেনদেন’। জীবনের সব ক্ষেত্রেই প্রয়োজন হয় লেনদেনের। প্রাথমিকভাবে লেনদেন চলত ‘পণ্য বিনিময় প্রথার মাধ্যমে’। এই প্রথার মাধ্যমে মানুষ নিজের উৎপাদিত কোন জিনিসের বিনিময়ে অন্যের কাছ থেকে সংগ্রহ করে নিত অপর একটি প্রয়োজনীয় জিনিস। কিন্তু প্রত্যাশিত দ্রব্যের আকার, আয়তন, ওজন বা বিনিময় মূল্যে গরমিলের ফলে পণ্য বিনিময় প্রথা এক সময় অচল হয়ে পড়ে। তখন প্রয়োজন দেখা দেয় এমন একটি বিনিময় মাধ্যমের যেটি সকল ক্ষেত্রে সবার কাছে সমানভাবে গ্রহণযোগ্য হবে। অনেক চড়াই উৎরাই, আকার-আয়তন, বিবর্তন অতিক্রম করে খ্রিস্টপূর্ব ৬৫০ অব্দে লিডিয়ায় (বর্তমানে পশ্চিম তুরস্ক) স্বর্ণ ও রূপার সংকর ধাতু ইলেকট্রামকে মুদ্রা বানানোর কাজে ব্যবহার শুরু হয়। ১০০০ খ্রিস্টাব্দের দিকে চীনে প্রথম কাগজের মুদ্রার প্রচলন শরু। দ্বাদশ শতাব্দীতে দক্ষিণ আমেরিকার আজটেকরা মুদ্রা হিসেবে ব্যবহার করত কোকা বীজ। কোথায় কখন কী বস্তু মুদ্রা হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে তা গুরুত্বপূর্ণ নয়;  গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে সেই বস্তুটিকে মুদ্রা হিসেবে ব্যবহারের জন্য সবাই সম্মত হলো কীভাবে? এই উপমহাদেশে লখনৌতে গঙ্গানদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত বাংলার আদি টাকশাল শহর। ১২০৫ খ্রিস্টাব্দে ইখতিয়ার উদ্দীন মুহাম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজী কর্তৃক মুসলিম শাসন প্রতিষ্ঠার সাথে সাথেই লখনৌ রাজধানী শহর হিসেবে আর্বিভূত হয় এবং এখানেই প্রথম টাকশাল হয়। ১৩৩২ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত টাকশাল শহর হিসেবে এটি চালু ছিল। ফখরুদ্দীন মুবারক শাহের রাজত্বকালে ৭৪০ হিজরি থেকে ৭৫০ হিজরি পর্যন্ত রাজধানী ছিল সোনারগাঁয়ে। তার আমলের সব মুদ্রায় সুস্পষ্টভাবে আঁকা হয়েছে সোনারগাঁও টাকশালের কথা। সেখান থেকে সর্বশেষ মুদ্রা তৈরি হয় ১৪২১ সালে। সোনারগাঁও এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে টাকশাল শহর হিসেবে পরিচিত ছিল। উপমহাদেশে সর্বপ্রথম মুদ্রা আইন পাস হয় ১৮৩৫ সালে ও কাগুজে মুদ্রার প্রচলন হয় ১৮৫৭ সালে। কাগজের মুদ্রার প্রচলন করেন লর্ড ক্যানিং। সেই সময় যে অভিন্ন মুদ্রা ছিল তার নাম রুপি। কিন্তু বাংলাদেশের মানুষ মুদ্রাকে ‘টাকা’ বলতো। ১৯৪৭ সালে ভারত ও পাকিস্তান রাষ্ট্রের সৃষ্টির পর পূর্ব ও পশ্চিম পাকিস্তানের মুদ্রার নাম ছিল রুপি। কিন্তু পূর্ব পাকিস্তানে তখনো মুদ্রাকে  টাকা বলা হতো। টাকা শব্দটি সংস্কৃত ‘টঙ্কা’ শব্দ থেকে এসেছে। প্রাচীন যুগে এমনকি মধ্য যুগেও এ টঙ্কার প্রচলন ছিল। ভারতের বিভিন্ন অঞ্চলে ‘টাকা’ শব্দটি ব্যাপকভাবে ও বিভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়। উত্তর ভারতের টাকা ছিল তাম্র মুদ্রাবিশেষ যা দু’পয়সার সমান এবং দক্ষিণে ছিল চার পয়সা বা এক আনা মূল্যের সমান। তখন বাংলাতে টাকা বলতে একটি রুপার রুপিকে বোঝানো হতো। ভারতের সব এলাকায় সাধারণত শিথিল ধারণায় নগদ অর্থকে টাকা বলা হতো। বাংলার জনসাধারণ সর্বদাই সোনা বা রুপার মুদ্রাকে টাকা বলে এসেছে। যদিও তুর্কি-আফগান শাসকরা রুপির প্রবর্তন করে এবং মোগল ও ব্রিটিশ শাসকরা রুপিকেই জোর প্রাধান্য দেয়। মরক্কোর পরিব্রাজক ইবনে বতুতার বর্ণনায় বাঙালি জাতি যে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অন্তঃস্থল থেকে গ্রহণ করেছে  এর একটি হলো মুদ্রার নাম টাকা, অন্যটি দেশের নাম বাংলাদেশ।সাধারণত মূল্যবান ধাতু দিয়ে ধাতব মুদ্রা তৈরি হতো বিধায় তা একদিকে যেমন ছিল ওজনে ভারী; অন্যদিকে তা নিয়ে চলাফেরা করা ছিল ঝুঁকিপূর্ণ। ধাতব মুদ্রার নানা সমস্যা মানুষকে যখন বিকল্প পথ খুঁজতে বাধ্য করলো তখন স্বর্ণকারদের কাছে মানুষ সোনা গচ্ছিত রেখে একটি প্রতিজ্ঞাপত্র নিত। প্রতিজ্ঞাপত্রে লেখা থাকতো, ‘মালিককে চাওয়ামাত্র ঐ নির্দিষ্ট পরিমাণ সোনা প্রদান করতে বাধ্য থাকবে’। এ সব  প্রতিজ্ঞাপত্রের ব্যাপক সামাজিক স্বীকৃতি ছিল। কেউ কাউকে ঐ নির্দিষ্ট পরিমাণ সোনার বদলে প্রতিজ্ঞাপত্রটি দিলে তা আস্থার সাথে গৃহীত হতো। দিনে দিনে এ ব্যবস্থা জনপ্রিয় হয়ে উঠলো। কাগজে লেখা প্রতিজ্ঞাপত্রের জনপ্রিয়তাই পরবর্তীতে কাগজী মুদ্রা চালুর ভিত্তি তৈরি করেছে। সোং রাজবংশের আমলে (৯৬০-১১২২ খ্রিস্টাব্দ) চীন দেশে কাগজী মুদ্রা জনপ্রিয় হয়ে ওঠে। বাগদাদের মুসলিম শাসকরা চীনে উদ্ভাবিত কাগজী মুদ্রার প্রচলন ও প্রসারে ভূমিকা রেখেছিলেন। ইউরোপের কাগজী মুদ্রার প্রচলন ঘটেছিল আরও পরে। পাকিস্তান আমলে এ দেশে ধাতব মুদ্রা এবং উচ্চ মূল্যমানের ক্ষেত্রে ‘কাগজের নোট’ বা ব্রিটিশ পদ্ধতি অনুযায়ী ‘কারেন্সি নোট’-এর প্রচলন বলবৎ ছিল। এক টাকা থেকে আটআনা, চারআনা, দুইআনা, একআনা, দুই পয়সা এবং এক পয়সার মুদ্রা রূপা, নিকেল, তামা ইত্যাদি ধাতুতে তৈরি হতো। উচ্চতর মূল্যমানের কারেন্সি নোট ছিল একটাকা। পরবর্তীতে পঞ্চাশ টাকা ও পাঁচশত টাকার কাগজের নোটও জারি করা হয়। পাকিস্তানি আমলের প্রথম পর্যায়ে কিছু নোটে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহর আবক্ষ ছবি ছাপা হয়। ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরের বছর ১ জানুয়ারি বাংলাদেশের অফিসিয়াল মুদ্রা হিসেবে ‘টাকার’ আত্মপ্রকাশ হয় এবং এর পরের বছর ৪ মার্চ থেকে সমমূল্যমানে বাংলাদেশ টাকা   পাকিস্তানি রুপির স্থলাভিষিক্ত হয়। এভাবেই স্বাধীন বাংলাদেশের মুদ্রা ব্যবস্থার গোড়াপত্তন হয়। পৃথিবীর অনেক দেশই তাদের ব্যাংক নোটের চাহিদা মেটানোর জন্য অন্য দেশের উপর নির্ভরশীল। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশের পক্ষে নিরাপত্তা ছাপাখানা স্থাপন করে ব্যাংক নোট মুদ্রণের মত উচ্চ প্রযুক্তিগত মুদ্রণ শিল্পে পদার্পণ অবশ্যই একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা। নিরাপত্তা মুদ্রণ প্রতিষ্ঠান যে কোনো জাতির সার্বভৌমত্বের অন্যতম প্রতীক। স্বাধীনতার ঊষালগ্ন থেকে স্বাধীন-সার্বভৌম দেশের নিজস্ব কারেন্সি ও ব্যাংকনোটের প্রচলন শুরু হলেও বাংলাদেশ, কারেন্সি ও ব্যাংক নোটের মুদ্রণের ক্ষেত্রে ছিল পরনির্ভরশীল। টাকার উৎপাদন ও প্রবর্তন কেন্দ্রকে বলা হয় টাকশাল। বাংলাদেশের একমাত্র টাকশালের নাম সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেস। এটি গাজীপুরে অবস্থিত। ১৯৮৯ সালে প্রিন্টিং প্রেসটি চালু হয় সর্বপ্রথম ১০ টাকার নোট ছাপার মাধ্যমে। টাকা ছাপানোর জন্য বিশেষ ধরনের কাগজ আমদানি করা হয় সুইজারল্যান্ড থেকে। ৫০০ টাকার নোট ছাপানো হয় জার্মানি থেকে। এ ছাড়া ২০০০ সালের ১৪ ডিসেম্বর সর্বপ্রথম ১০ টাকা মূল্যমানের পলিমার নোট ছাপা হয়। ১০ টাকার পলিমার নোট তৈরি হয় অস্ট্রেলিয়ায়। ১ ও ৫ টাকা মূল্যমানের যে ধাতব মুদ্রা বাংলাদেশে প্রচলিত তা তৈরি করা হয় কানাডায়। বাংলাদেশে ১ টাকার ধাতব মুদ্রা চালু হয় ৯ মে ১৯৯৩ সালে এবং ৫ টাকার ধাতব মুদ্রা চালু হয় ১ অক্টোবর ১৯৯৫ সালে। বাংলাদেশে নতুন নোট বাজারে চালু করার ক্ষমতা আছে একমাত্র বাংলাদেশ ব্যাংকের। ১ ও ২ টাকার নোটের মালিকানা বাংলাদেশ সরকারের। এগুলোতে স্বাক্ষর থাকে অর্থ সচিবের। ১ ও ২ টাকার নোট ছাড়া বাকি সব বাংলাদেশ ব্যাংকের নোট, এগুলোতে স্বাক্ষর থাকে বাংলাদেশ ব্যাংক গভর্নরের।বাংলাদেশে জাল নোটের ইতিহাস খুবই পুরনো। ১৯৭২ সালে একশ টাকার জাল নোট ব্যাপক হারে বিস্তার করে সদ্য স্বাধীন দেশের অর্থনীতিকে নড়বড়ে করে দেয়। বর্তমানে ঈদ, পূজা পার্বনকে সামনে রেখে সক্রিয় হয়ে ওঠে জালিয়াত চক্র। বড় বড় মার্কেট থেকে শুরু করে ছোটখাটো ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেও জাল নোট সুকৌশলে ছড়িয়ে দেয় জাল নোট কারবারিরা। পঞ্চাশ টাকার নোট থেকে শুরু করে একশ, পাঁচশ এবং ১ হাজার টাকার নোট জাল করা হচ্ছে। ১৯৯৮ সাল থেকে ২০১২ সালের জুন পর্যন্ত সারাদেশে জাল নোট সরবরাহ ও বাজারজাতকরণে জড়িতদের বিরুদ্ধে এ পর্যন্ত বিভিন্ন থানায় ৫ হাজার ৮৪টি মামলা হয়েছে। এরপরও ঠেকানো যাচ্ছে না জাল নোট কারবারিদের।জাতিসংঘের সদস্য দেশ ১৯৩টি। প্রতিটি দেশই আঞ্চলিক মুদ্রা, জাতীয় মুদ্রা ব্যবহার করে। এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণে পাসপোর্ট, ডাক টিকেট, ধন দৌলত হস্তান্তরে প্রয়োজন হয়। বিশ্বব্যাপী ৩৭ হাজার ৩১৪টি সিকিউরিটি প্রিন্টিং প্রেসে ২০ লক্ষাধিক কর্মকর্তা/কর্মচারীর নিবিড় তত্ত্বাবধানে কারেন্টেন্সি পাসপোর্ট প্রিন্টিং হচ্ছে। তাদের বেতন হাজার ডলার থেকে লাখ ডলার পর্যন্ত। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় বাংলাদেশের কারেন্সি প্রিন্টিং প্রযুক্তবিদ্যায় কোন ডিপ্লোমা ইনস্টিটিউট না থাকায় লোভনীয় পদগুলোতে কোন বাংলাদেশীর চাকরি হচ্ছে না। সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন বাংলাদেশ লি. ৩৮ বছরে স্বাধীন দেশের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণে চরম ব্যর্থ হয়েছে। এই ব্যর্থতার কারণে স্বাধীনতার চার দশক পরও টাকা, পাসপোর্ট, ডাকটিকেট, দলিলের স্টাম্প  প্রিন্টিং সম্পূর্ণভাবে বিদেশের উপর নির্ভরশীল। বিদেশে জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাগজপত্র ছাপাতে প্রতিবছর আমাদের ৩-৪ হাজার কোটি টাকা চলে যায়। জাতীয় সিকিউরিটি প্রিন্টিং করপোরেশন সম্প্রতি মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েটদের মূল সনদপত্র ছাপাতে অপারগতা প্রকাশ করে। নিন্মমানের কাগজ ও প্রিন্টিংয়ের কারণে বিদেশে বাংলাদেশের শিক্ষার্থীদের মূল সনদপত্র অবমূল্যায়ন করা হয়। জাতীয় প্রতিষ্ঠানের এই ব্যর্থতার কারণ অনুসন্ধানে দেখা যায় টাকশালে কর্মরত ৭১৪ জন কর্মকর্তা- কর্মচারী কারোরই কারেন্সি ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজি বা সিকিউরিটি প্রিন্টিং টেকনোলজিতে নূন্যতম শিক্ষা প্রশিক্ষণ নেই। জাতীয় ও অতীব গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানটিতে কারেন্সি প্রযুক্তিবিদের নিয়োগ নিশ্চিত করে উন্নত বিশ্বের আবিষ্কৃত মেশিনারি সংযুক্ত করা হলে দেশের প্রিন্টিং চাহিদা পূরণ হতো, প্রিন্টিং টেকনোলজিতে স্বয়ংসম্পূর্ণতা ও টাকশালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতো বাংলাদেশ।লেখকদ্বয় : মো. আবুল হাসান, সভাপতি; খন রঞ্জন রায়, মহাসচিব; ডিপ্লোমা শিক্ষা গবেষণা কাউন্সিল, বাংলাদেশ। রাইজিংবিডি/ঢাকা/৪ মার্চ ২০১৫/তাপস রায়