নির্বাচন

ঝিনাইদহের ৪টি আসনে অর্ধশতাধিক প্রার্থী মাঠে

ফয়সাল আহমেদঝিনাইদহ, ১২ সেপ্টেম্বর: ঝিনাইদহের রাজনীতিতে নির্বাচনী হাওয়া বইছে। এ জেলার ৪টি নির্বাচনী এলাকা চষে বেড়াচ্ছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের অর্ধশতাধিক প্রার্থী। দিচ্ছেন নানা প্রতিশ্র“তি। করছেন বিগত সময়ের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের কাজের কঠোর সমালোচনা। দলের ক্ষত দূর করে সবাইকে এক কাতারে আসার আহ্বানও জানাচ্ছেন কোন কোন প্রার্থী। পুরনোরা অতীতের ভুল-ভ্রান্তি ক্ষমার চোখে দেখতে বলছেন। ঝিনাইদহের ৬টি উপজেলা নিয়ে ৪টি সংসদীয় আসনই বর্তমান ক্ষমতাসীন মহাজোটের দখলে। সম্ভাব্য প্রার্থীরা আগে ভাগে মাঠ নিজেদের দখলে রাখতে চাইছেন। জনসংযোগের পাশাপাশি রঙ-বেরঙের ব্যানার ফেস্টুন আর ডিজিটাল বিল বোর্ডে ছেয়ে ফেলছেন স্ব-স্ব নির্বাচনী এলাকা। ঝিনাইদহ-১: শৈলকুপা উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ১৪টি ইউনিয়ন নিয়ে এ আসন গঠিত। মোট ভোটার ২,৪৯,২৪২ জন। নতুন ভোটার ১৭ হাজার ৬৭৪ জন। সংখ্যালঘু ভোটার ৫৫ হাজার। এ আসনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির মধ্যে রয়েছে ব্যাপক লবিং গ্র“পিং। দু’দলের একাধিক ব্যক্তি দলের মনোনয়ন লাভের চেষ্টায় গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী আব্দুল হাই এমপি, শৈলকুপা উপজেলা চেয়ারম্যান নায়েব আলী জোয়ার্দ্দার, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবেদ আলী, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা তৈয়ব আলী জোয়ার্দ্দার, সাবেক ছাত্রলীগ নেতা রেজাউল ইসলাম রাজু ও সাবেক যুগ্ম সচিব মীর শাহাবুদ্দিন। এ আসনে দলের নেতাদের লবিং গ্র“পিংয়ের প্রভাব তৃণমূল পর্যন্ত বিস্তৃত। গত সাড়ে ৪ বছরে এখানে সংঘর্ষে অন্তত ১০ জন আওয়ামী লীগ কর্মী নিহত এবং ২ শতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। এছাড়া অনেকে হামলা মামলার স্বীকার হয়ে পথে বসেছেন। একইভাবে এ আসনে বিএনপির মধ্যেও রয়েছে তীব্র গ্র“পিং। দলীয় নেতাদের গ্র“পিংয়ের কারণে সাধারণ কর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছে। একে অপরের সঙ্গে সাপে-নেউলে সম্পর্ক। সম্ভাব্য প্রার্থীরা গণসংযোগ করে যাচ্ছেন পৃথক পৃথকভাবে। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থীরা হলেন- শৈলকুপা উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল ওহাব, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা সাবেক সচিব খোন্দকার শহিদুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় বিএনপির সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুণ্ডু। বিএনপির আব্দুল ওহাব এর আগে এ আসন থেকে একাধিকবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি এবারও সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে কোমর বেঁধে নির্বাচনী ময়দানে নেমেছেন। সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগ করে যাচ্ছেন তিনি। এ ছাড়া অন্য প্রার্থীরাও দলীয় মনোনয়ন লাভের প্রত্যাশায় জোর লবিং-গ্র“পিং ও গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। জাতীয় পার্টি (এরশাদ)’র সম্ভাব্য প্রার্থী মনিকা আলম। তিনি দলের একক প্রার্থী হিসেবে গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। নিয়মিত সভা সমাবেশ করছেন নির্বাচনী এলাকায়। এ আসনে যারা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন - ১৯৭৩ সালে ডাঃ কাজী খাদেমুল ইসলাম (আ’ লীগ), ১৯৭৯ সালে গোলাম মোস্তাফা (জাসদ), ১৯৮৬ সালে অধ্যক্ষ মোঃ কামরুজ্জামান (আঃ লীগ), ১৯৮৮ সালে দবির উদ্দিন জোয়ার্দ্দার (জাসদ), ১৯৯১ সালে ও ১৯৯৬ সালে আব্দুল ওহাব (বিএনপি) ২০০১ সালে ও ২০০৮ সালে আব্দুল হাই (আঃ লীগ)। এ আসনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সাথে বিএনপির হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হবে বলে সাধারণ ভোটাররা মনে করেন। ঝিনাইদহ-২: হরিণাকুণ্ডু উপজেলা ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার একাংশ, ২টি পৌরসভা ও ২১টি ইউনিয়ন নিয়ে ঝিনাইদহ ২ আসন গঠিত। ভোটার ৩ লাখ ৮৯ হাজার ৭৩৯ জন। নতুন ভোটার ৩২ হাজার ৭৬৪ জন। সংখ্যালঘু ভোটার ৯০ হাজার। এ আসনে আওয়ামী লীগের মধ্যে মনোনয়ন নিয়ে চলছে চরম লবিং-গ্র“পিং। আওয়ামী লীগ থেকে এ পর্যন্ত ৭ জন মনোনয়ন প্রত্যাশীর নাম শোনা যাচ্ছে। তাঁরা হলেন- বর্তমান সংসদ সদস্য শফিকুল ইসলাম অপু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস, ঝিনাইদহ পৌর মেয়র স্বেচ্ছাসেবক লীগের কেন্দ্রীয় নেতা সাইদুল করিম মিন্টু, এ্যাডভোকেট আব্দুর রশিদ, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নাসের শাহরিয়ার জাহেদী মহুল ও সদর উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান জেএম রশিদুল আলম রশিদ। মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান ও উপজেলা চেয়ারম্যান কনক কান্তি দাস । হরিণাকুণ্ডু উপজেলা আওয়ামী লীগও দু’শিবিরে বিভক্ত। এক গ্রুপে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মশিউর রহমান জোয়ার্দ্দার। অপর গ্রুপে আছেন উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক আফজাল হোসেন। সাবেক ছাত্রলীগ নেতা বিশিষ্ট শিল্পপতি নুরে আলম সিদ্দিকীর বড় ছেলে তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি ঝিনাইদহের রাজনীতিতে নামার চেষ্টা করছেন। সম্ভাব্য প্রার্থীর তালিকায় তার নামও শোনা যাচ্ছে। অন্যদিকে এ আসনে এখনও পর্যন্ত সাবেক সংসদ সদস্য জেলা বিএনপির সভাপতি ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক মসিউর রহমান দলের একক সম্ভাব্য প্রার্থী। ঝিনাইদহ সদর উপজেলার পশ্চিমাঞ্চল ও হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় জামায়াতের শক্ত অবস্থান রয়েছে। তারাও এ আসনে ছাড় দিয়ে বিএনপির সঙ্গে ঐক্যবদ্ধ নির্বাচন করবে বলে শোনা যাচ্ছে। এ আসনে জাতীয় পার্টির (এরশাদ) প্রার্থী এক রকম ঠিক হয়ে গেছে। কিছুদিন আগে দলের মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার ঝিনাইদহ সফরে এসে তাঁদের দলের প্রার্থীকে পরিচয় করিয়ে দেন। জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে তিনি এনজিও সৃজনী বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ও জেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ড. হারুন অর রশিদের নাম ঘোষণা করে যান। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ বজলুর রহমান সাঈদকে তাদের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে।  এ আসনে যারা এর আগে সংসদ সদস্য হয়েছিলেন তাঁরা হলেন- ১৯৭৩ সালে নূরে আলম সিদ্দিকী (আ’ লীগ), ১৯৭৯ সালে মাওলানা নুরুন্নবী সামদানী (আইডিএল), ১৯৮৬ সালে আনোয়ার জাহিদ (জাতীয় পার্টি), ১৯৮৮ সালে আশরাফুল আবেদীন আশা (জাতীয় পার্টি), ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে মসিউর রহমান (বিএনপি) এবং ২০০৮ সালে শফিকুল ইসলাম অপু (আ’ লীগ)। ঝিনাইদহ-৩: জেলার মহেশপুর ও কোটচাঁদপুর উপজেলার ২টি পৌরসভা ও ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে ঝিনাইদহ ৩ আসন। এ আসনে মোট ভোটার ৩ লাখ ২০ হাজার ৫৫৮ জন। নতুন ভোটার ১৭ হাজার ৯০৯ জন। সংখ্যালঘু ভোটার ৩০ হাজার। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হচ্ছেন বর্তমান সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খান চঞ্চল, মহেশপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান সাজ্জাতুজ জুম্মা, যুবলীগ নেতা অধ্যক্ষ নবী নেওয়াজ ও মহেশপুর উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ময়েজ উদ্দিন হামিদ। বর্তমান আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য শফিকুল আজম খান চঞ্চল নির্বাচনী ময়দানে বেশ সরব হয়ে উঠেছেন। যুবলীগ নেতা নবী নেওয়াজকে যোগ্য প্রার্থী মনে করছেন অনেক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী। তিনি গণসংযোগ করে যাচ্ছেন মাঠে ময়দানে। বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হচ্ছেন মহেশপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি সহিদুল ইসলাম মাস্টার, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক সংগঠনের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক কণ্ঠশিল্পী মনির খান ও মহিলা দল নেত্রী এ্যাডভোকেট শেলী সুলতানা জামান। তারা সকলেই দলীয় মনোনয়ন পেতে তৎপর। জাতীয় পার্টির (এরশাদ) আব্দুর রহমান মনোনয়ন প্রত্যাশায় গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। কণ্ঠশিল্পী মনির খান বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশায় এলাকায় ভোটারদের সঙ্গে সভা-সমাবেশ ছাড়াও ব্যাপক গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি সহিদুল ইসলাম মাস্টারও অসুস্থ। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তাঁর বাড়ির মাটি খুঁড়ে ত্রাণের টিন, শাড়ি, লুঙ্গি, কম্বলসহ বিপুল পরিমাণ ত্রাণসামগ্রী উদ্ধার করে যৌথবাহিনী। এরপর থেকে তিনি একটু চুপসে যান। মহেশপুর-কোটচাঁদপুর জামায়াতের ঘাঁটি এলাকা হিসেবে পরিচিত। ১৮ দলের শরিক দল হিসেবে এ আসনটি এবার জামায়াত দাবি করতে পারে বলে জানা গেছে। সেক্ষেত্রে জামায়াতের কেন্দ্রীয় মসলিশে সূরা সদস্য ও জেলা রাজনৈতিক সেক্রেটারি অধ্যাপক মতিয়ার রহমান এ আসনে জামায়াতের সম্ভাব্য প্রার্থী বলে জানা গেছে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মুফতি আব্দুল কুদ্দুসকে তাদের প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছে।  এর আগে এ আসনে নির্বাচিতরা হলেন- ১৯৭৩ সালে ময়েজউদ্দিন মিয়াজী (আ’ লীগ), ১৯৮৯ সালে মাওলানা মোজাম্মেল হক (আইডিএল), ১৯৮৬ সালে মাওলানা মোজাম্মেল হক (জামায়াত), ১৯৮৮ সালে শামসুল হুদা খান (জাতীয় পার্টি), ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে সহিদুল ইসলাম মাস্টার (বিএনপি) এবং ২০০৮ সালে শফিকুল আজম খান চঞ্চল (আ’ লীগ)। ঝিনাইদহ-৪: কালীগঞ্জ উপজেলার ১১টি ইউনিয়ন, ১টি পৌরসভা ও ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ৪টি ইউনিয়নসহ মোট ১৫টি ইউনিয়ন নিয়ে ঝিনাইদহ-৪ আসন। ভোটার ২ লাখ ৪৯ হাজার ২৪২ জন। নতুন ভোটার ১৭ হাজার ৬৭৪ জন। সংখ্যালঘু ৫৫ হাজার। এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীরা হচ্ছেন কালীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নান, সাধারণ সম্পাদক উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল আজিম আনার, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি আক্কাছ আলী ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী নেতা জাহাঙ্গীর সিদ্দিকী ঠান্ডু। বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুল মান্নানের সঙ্গে কালীগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল আজিম আনারের মধ্যে দা-কুমড়ার সম্পর্ক। অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের জেরে গত ৪ মাসে ৪ জন দলীয় কর্মী খুন হয়েছে। অন্যদিকে বিএনপির মধ্যেও এ আসনে তীব্র গ্র“পিং রয়েছে। বিএনপির দু’গ্র“পের মধ্যে বোমাবাজিসহ সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটছে। বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক সংসদ সদস্য এম শহিদুজ্জামান বেল্টু, কালীগঞ্জ পৌরসভার সাবেক মেয়র মাহবুবার রহমান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুল ইসলাম হামিদ। এ আসনে জাপার (এরশাদ) সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আব্দুল কাদের গণসংযোগ করছেন। বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য এম শহীদুজ্জামান বেল্টু গত ওয়ান-ইলেভেনের সময় দলে সংস্কারপন্থী হিসেবে চিহ্নিত হন। ফলে ওই সময় দলের একটি অংশ তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নেয়। তাঁকে নিয়েই মূলত কালীগঞ্জ উপজেলা বিএনপি প্রকাশ্যে দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। বিএনপির সাবেক পৌর মেয়র মাহবুবার রহমান ও উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক হামিদুল ইসলাম হামিদ লাইম লাইটে আসার চেষ্টা করছেন। এ আসনে আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল মান্নান ও আনোয়ারুল আজিম আনার ঐক্যবদ্ধ নির্বাচন করলে বিএনপির সঙ্গে তাদের লড়াই হবে হাড্ডা হাড্ডি এমন ধারণা সাধারণ মানুষের। এ আসন থেকে এর আগে নির্বাচিতরা হলেন- ১৯৭৩ সালে জেকেএমএ আজিজ (আ’ লীগ), ১৯৭৯ সালে এবাদত হোসেন মন্ডল (বিএনপি), ১৯৮৬ সালে আব্দুস সাত্তার (জাতীয় পার্টি), ১৯৮৮ সালে মুক্তিযোদ্ধা মো. নুরুদ্দিন (জাতীয় পার্টি), ১৯৯১, ১৯৯৬ ও ২০০১ সালে শহিদুজ্জামান বেল্টু (বিএনপি) ও ২০০৮ সালে আব্দুল মান্নান (আ’ লীগ)।

   

রাইজিংবিডি/ শামটি